মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির জন্মই হলো হত্যা-খুন এবং ষড়যন্ত্রের মধ্যদিয়ে। তারা (বিএনপি) এ কথা অস্বীকার করতে পারবে না। তারাই ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরর সঙ্গে জড়িত ছিল, তারা তো অস্বীকার করে না। যখন তারা বলে ‘১৫ আগস্টের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেক বার’। এ কথায় তারা ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বড় গলায় বলে স্বীকার করে।
আজ ৪ জুন ২০২২ রোজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কৃষক লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ প্রতিরোধ দেয়াল গড়ে তুলবে। সে প্রতিরোধের দেয়াল ভেদ করে বিএনপি এগুতে পারবে না, অতীতেও পারেনি। এটা বারবার প্রমাণ হয়েছে।
সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যে আসন পেয়েছে সেই আসনে সংসদের সামনের সারিতে বসার যোগ্যতা তাদের নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তাদের একজনকে সামনে বসার সুযোগ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদেরকে বিরোধীদলের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম খালেদা জিয়া আমাদেরকে সেই সুযোগ দেননি।
বিএনপি-জামাত কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি এবং কটুক্তির প্রতিবাদে বাংলাদেশ কৃষক লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি।
বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুঃখজনক হত্যাকান্ডই বাঙ্গালী জাতিকে প্রতিবাদী করে তুলেছিল। তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্যে “মুখ সামলিয়ে কথা বলবেন, সংযত থাকুন, এদেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি বিদেশী প্রভুদের সহায়তায় আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র বিরুদ্ধে একের পর এক নানাবিধ ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় বাংলার কৃষক সমাজ ঘরে বসে থাকতে পারে না। বাংলাদেশ কৃষক লীগ, কৃষক সমাজকে সাথে নিয়ে রাজপথে থেকে আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করবে। এটাই বাংলাদেশ কৃষক লীগের আজকের এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিলের অঙ্গীকার। বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সারা বাংলাদেশের সকল জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপি-জামাতের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল করার আহবান জানান।
কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি তার বক্তব্যে বলেন, ছাত্রদল নেতা জুয়েলকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে তারেক, ফখরুল, মান্না সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। তিনি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত এবং রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান এবং ২০২৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষক লীগের সকল জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
উক্ত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, আকবর আলী চৌধুরী, হোসনে আরা এমপি, মিয়ান আব্দুল ওয়াদুদ, কৃষিবিদ ডা. নজরুল ইসলাম, কৃষিবিদ শাখাওয়াত হোসেন সুইট, মো: আবুল হোসেন, মাকসুদুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, অ্যাড. শামিমা আক্তার খানম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. গাজী জসীম উদ্দিন, আসাদুজ্জামান বিপ্লব, কৃষিবিদ ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা, নূরে আলম সিদ্দিকী হক, হিজবুল বাহার রানা, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: নাজির মিয়া, দফতর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য রুমানা আলী টুসী এমপি, অ্যাড. মো: জহির উদ্দিন লিমন, শামীমা সুলতানা, লায়ন মো: আহসান হাবিব, ডা. মজিবুর রহমান মিয়াজী, মো: আমিরুল ইসলাম, মো: মোশারেফ হোসেন আলমগীর, মো: মিরুল ইসলাম, মো: আরমান চৌধুরী, অ্যাড. রাবেয়া হক, নুরুল ইসলাম বাদশা, রাশিদা চৌধুরী, খান মো: কামরুল ইসলাম লিটু, সামিউল বাসির বিন হোসেন, অ্যাড. শেখ জামাল হোসেন মুন্না, মো: আব্দুস সালাম বাবু, আবু জাফর জাকিউদ্দিন আহমেদ রিন্টু, মো: শাহজাহান আলী, অ্যাড. তাহমিনা তাহেরিন মুমু, জাতীয় কমিটি সদস্য মোতাহের হোসেন বাবুল, কৃষ্ণ গোপাল পাল, দিলীপ কুমুার অধিকারী, আবুল কাশেম, সালাউদ্দিন কাউসার, জেসমিন আক্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রব খান, ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হালিম খান, ঢাকা জেলা দক্ষিণ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আমজাদ হোসেন, ঢাকা জেলা উত্তর কৃষক লীগের আহবায়ক মহসিন করিম, সদস্য সচিব আহসান হাবিব, যুগ্ম-আহবায়ক আর.কে মুক্তা।
প্রতিবাদ মিছিল প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন হয়ে জিপিও মোড় হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ তে এসে কুশপুত্তলিকা দাহ করার মাধ্যমে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল সমাপ্ত হয়।