কংগ্রেসের ভুলের শেষ নেই,তৃণমূল কংগ্রেস, কাশ্মীর কংগ্রেস থেকে অনেক দলের জন্ম হয়েছে, বামদের জাতিধর্ম বর্নের রাজনীতির নীতির ভুলের মাসুল ঘুনতে হচ্ছে ভারত কে। মানবতার, মানবিকতার মুল্য দিতে হচ্ছে ভারতের জনগণকে। ধর্ম নিরপেক্ষতা রাষ্ট্র ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রের পরিনত করে ভারতবর্ষ রক্ষা করা যাবে না। মোদিজী সেই কাজটিই করেছে কিছু মুসলিম দলের সহায়তায়। একদিন না একদিন ভেঙে পরবে কাঠামো,জাতিগত বিভেদের কারণে। ফারুক আবদুল্লা,ওআইসি,আব্বাস সিদ্দিকী, মাওলানা বদরুদ্দীন আজমলদের এখন মত নিয়ে ভাবার চাইতে ভারতকে নিয়ে ভাবতে হবে। আপনারা মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবেন,যদি মোদি যোগীকে হটাতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বিশ্বাস করা যায় না, পশ্চিম বঙ্গের রাজনীতির জন্য। কখন বিজেপির মন্ত্রী হন,কখন বিজেপির বিরুদ্ধবাদী হন। বিজেপি খেদাও আন্দোলন কমিউনিস্টদের কেই করতে হবে।বুঝতে হবে বিজেপিকে না তাড়ালে বামের অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন হবে।
ত্রিমুখী আন্দোলন হয় না। বিশ্ব দ্বিমুখী শ্রত্রুর শ্রত্রু কে বন্ধু করে নিতে হয়। বড় বাশ টাকে আগে কাটতে হয়। পরের ভাগবাটোয়ারা মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হয়। একক ভাবে গনতন্ত্র রক্ষা করা যায় না, গনতন্ত্র রক্ষা করতে হলে আপনাদের মতবাদ কমাতে হবে। শুধু ধর্মের দোহাই ভারতের জনগণের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে না। কে বড়,কে সঠিক, কে হিন্দু কে মুসলিম,এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার সময় এখন নয়।ইন্ডিয়ার ঐক্যবদ্ধ জয়ই ভারতকে রক্ষা করতে পারে। ভারতের অক্ষন্ডতা রক্ষা করতে হবে, ভারত আমাদের প্রতিবেশী,ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বহন করে, ভারত আমার দেশের এক কোটি সরনার্থীকে বহন করেছে। ভারতের মানচিত্র বাংলাদেশের মানচিত্র বাদ দিয়ে প্রকাশ করা যায় না।ভারতের শান্তি অশান্তির হাওয়া বাংলাদেশকে বহন করতে হয়। ভারতের উপর বাংলাদেশকে অনেকাংশে নির্ভর করতে হয়। ভারতের স্বাধীনতার জন্য ধর্মকে হিসেব করা হয় নাই, অনেক রাজ্য ভারতের সাথে একাকিত্ব হতে চায় নাই। ধর্ম নিরপেক্ষতার জন্য ১৯৫২ সালে ত্রিপুরা ভারতের সাথে যুক্ত হয়।
ভারত এখন পরাশক্তির একটি। ছোট ছোট দেশে ভাগ না হয়ে ভারতের ঐক্য বজায় রাখতে হবে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য।বিজেপির হিন্দুত্ববাদে এক্য বিনষ্টের কারণ হতে পারে। ভারতীয় ঐক্যে ফাটল ধরতে পারে এবং ধরেছে বলতে পারেন, জাতিগত মতবাদের জন্য। কংগ্রেসের সঙ্গ দিয়ে বিজেপি হটাও, কংগ্রেস ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষ বজায় রাখতে পারলে ঐক্য।না রাখতে পারলে হিসেব অন্য।চেষ্টা করুন ভারতের শান্তির জন্য। ধর্ম কে বাঁচাতে চাইলে, ভারতকে বাঁচাতে হবে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার মাসুল দিচ্ছে বিশ্ব, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ উপহার পেয়েছে। এতো ধর্ম এতো জাতির দেশ ভারত, ধর্ম নিরপেক্ষতা ছাড়া জাতীয় ঐক্য টিকে থাকতে পারে না,কংগ্রেস ছাড়া এই মুহূর্তে ধর্ম নিরপেক্ষ ভারত একাধিক মুসলিম দলের পক্ষে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। বিহৎ প্রতিবেশী ভারতকে আমরা হারাতে চাই না। এমনকি বাঙালি জাতির অংশ পশ্চিম বঙ্গের স্বাধীনতা ও চাই না,দক্ষিণ এশিয়ার শান্তির জন্য। মুসলমানদের ভোট ভাগ হলে বিজেপির জন্য তৃণমূল কংগ্রেসরা দর কশাকশি সুযোগ নিবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।