নির্বাচনে জয়লাভ করলেও জনসভায় সয়লাভ করতে পারেনি আওয়ামী লীগ
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Sunday, January 28, 2024
98 Time View
ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিন আওয়ামীলীগের ব্যর্থতার ষোলকলা পুর্ণ করেছেন ১০ জানুয়ারি, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবশে। নেতাদের খোবে প্রতিয়মান,লক্ষ্মণীয় জনসমাগমের দৃশ্য আওয়ামীলীগের ইতিহাসের সাথে যায় না। ঢাকার কলাবাগান মাঠের নির্বাচনি জনসভা থেকে দৃশ্যপটের পরিবর্তন। ইউনিট আওয়ামীলীগের সম্মেলন সফল ও গঠনের ব্যয়ভার বহন না করার জন্য সাংগঠনিক দুর্বলতার উল্টোরর্থের যাত্রা শুরু।তেজগাঁও পার্টি অফিস থেকে মতোপার্থক্যের সুত্রপাত। ওয়ার্ড থানা কমিটি না দেওয়া, কমিটি বানিজ্যের সত্য মিথ্যার গুজবের রটনা। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের এক্যমতের বিপত্তির কারণে রাজনৈতিক দৈনিন্দদশা পরিলক্ষিত হচ্ছে।বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাধ্যমে নেতাদের মনের খোব প্রকাশিত। ইতিহাস কেনো পিছনে টানে ? মায়া-হানিফের কমিটি ছিলো ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগের নক্ষত্র। রহমত উল্লাহ, সাদেক খান উত্তরে কমিটি কিছুটা হলেও প্রতিযোগীতায় ছিলো, তাঁদের দেওয়া কমিটির মাধ্যমে এখনো ঢাকার রাজনীতি চলছে। বর্তমান কমিটি ঢাকার মেয়র কাউন্সিলর দের ঐক্যের প্রতিক হতে পারেনি। ঢাকার মনোনীত এমপিদের কে রাজনৈতিক কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করাতে পারছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বিশেষ প্রোগ্রামের অর্থ ছাড়া ওয়ার্ড থানা আওয়ামীলীগের জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ করা হয় না।
মুখের কথায় রাজনীতি চলে না, বিএনপি জামাতের সাথে যুদ্ধ করা যায় না। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা চাদাবাজি করতে পারে না। মজিব আদর্শে বিশ্বাসীরা শেখ হাসিনা,আব্দুল হামিদ কে অনুসরণ করে। মুখফুটে না বললেও অন্তরজ্বলায় জ্বলছে। নির্বাচনে নৌকার কাণ্ডারী। বাকীটা সময় নিরব যাত্রী, সাড়া বাংলাদেশে অবস্থান সম্পর্কে জানা নাই।সহযোগী সংগঠনের কর্মসুচিতে সন্তুষ্ট নই। বাঙালি জাতীয়তাবাদের সংস্কৃতি যুক্ত কবি সাহিত্যিক,আউল বাউল,কামার কুমাড়ের দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।আজকে,পেশাজীবি নির্ভর হয়ে পরেছে।বিএনপি জামাত, জাতীয় পার্টির সাথে প্রার্থক্য খুঁজে পাইনা। সবকিছু চোখের সামনে ঘটছে, কারো কাছে সময় নাই। প্রধান অতিথি আসেন, সময়ের কাটা দেখে, কারো কথা শুনার সময় নাই। ৩ টার সভা ৫ টাও আসতে দেখেছি। ঢাকা বিভাগের দায়ীত্ব নেওয়ার পরে, কতটুকু দায়ীত্ব পালন করেছেন ? এবং করতে পেরেছেন ? সব নেতার লোক থাকতে হবে কমিটিতে। আওয়ামীলীগের লোক থাকুক আর নাই থাকুক।
কমিটি বানিজ্যের জন্য শুধু সভাপতি সাধারণ সম্পাদক কে দায়ী করা যাবে না। নেতাদের হাতা খুঁজতে হবে। যারা সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকদের লেজুড়বৃত্তি করে। সকালে নেতা বানায়, বিকালে দমকের ব্যবসা করে, রাতে নেতার পায়ে সালাম করে। আওয়ামীলীগ বিএনপির জন্য এই আজুবারা আজগুবি ধারার জন্ম দাতারা রাজনীতিকে আর রাজনীতির স্থানে রাখলো না। পিতা মজিবকে দেখে নাই, বাকশালের গঠনতন্ত্র পড়ে নাই, বাঙালি জাতীয়তাবাদের ধারেকাছে নাই। টাকার জন্য যারা রাজনীতি করে,তাদেরকে দিয়ে মজিব আদর্শ বাস্তবায়ন সম্বব নয়। সভাপতি মণ্ডলী সদস্যরাও ব্যাক্ষা করেন না, স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য কী কী যোগ্যতার প্রয়োজন, কী কী অর্জন করতে হয় ? একটি কথা ভালো বলতে পারেন, জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক নয়, পাঠক। আওয়ামীলীগের লাক্ষো লোকের সমাবেশে,সত্য মিথ্যার চেয়ে জিয়ার নামটি প্রচারের দায়ীত্ব পালন করে এই নেতারা। আওয়ামীলীগ চুপ থাকলে অনেক নেতার অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যেতো না। শেখ হাসিনা ছাড়া এই নির্বাচনকে জমজমাট করা, কারো পক্ষে সম্ভব হতো না।
তার উপর বিদেশীদের খুরদার দৃষ্টি ছিলো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য । স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিযোগীতায় যারা উল্টে গেছেন, বাকীদের কী হতে পারতো ? বিএনপি যদি রাজনৈতিক দল হতো, আমেরিকা থুইয়া বাংলাদেশের জনগণের উপর নির্ভর করতো ? তবের কথাটা বাকী থাকলো, রাজনীতির জন্য।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।