ইমরান খান রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি।। রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সোহানুর রহমানের বিরুদ্ধে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারির ভাই মোস্তফাকে মারধরসহ এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গোলাগুলি, অস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন করে আতঙ্ক সৃষ্টি ও দাপটে আধিপত্য বিস্তারে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড গোবিন্দপুর গ্রামে। গত ১৮ই এপ্রিল-২৪ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ইউপি চেয়ারম্যান সহ চেয়ারম্যানের শোষণ, নিপীড়ন ও ৭ মুল হোতা সহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জন সহোযোগির বিরুদ্ধে রাজবাড়ী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মারধরের শিকার হওয়া ভুক্তভোগী মোস্তফা। সেদিন চেয়ারম্যানের বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্রর হামলা থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া মোস্তফা বাদী হয়ে মোকাম রাজবাড়ি বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলী আদালতে ৮ জনকে বিবাদী ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করা হয়! বিবাদীরা হলেন, ১/ বোয়ালমারী গ্রামের মৃত ফয়জুল ইসলাম প্রামানিকের ছেলে মোঃ সোহানুর রহমান সোহান(৪৫), ২/মোঃ সজিব প্রামানিক(৩৫), ৩/ মোঃ শামীম প্রামানিক(৪৯), ৪/ মুন্সি প্রামাণিকের ছেলে জহুরুল ইসলাম প্রামানিক (৫২), ৫/ আব্দুল খালেক প্রামানিক এর ছেলে মোঃ রিপন প্রামানিক (৩৫), ৬/ সাজ্জাদ প্রামাণিকের ছেলে সাব্বির প্রামানিক (২৬),
৭/ গোবিন্দপুর গ্রামের মোঃ আক্কাস আলী খানের ছেলে মোহাম্মদ রুহুল আমিন(৩০), ৮/ খোর্দ্দদাদপুর গ্রামের মোঃ হান্নান প্রামানিক ওরফে হামপি রাজাকারের ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন (৪২) সহ পরিচয় শনাক্তহীণ অজ্ঞাত ২০-২৫ জন! যার সি.আর মামলা নং ৩৭৪/২৪।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় একছত্র অধিপত্য কায়েম করতে ও নির্বাচনি প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করতে চেয়ারম্যান শুধু এই ঘটনাই নয় পূর্বে একাধিক জুলুম নির্যাতনেরও অভিযোগ রয়েছে! এরই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চাঁদাবাজি, জমি দখল, সরকারি গাছ বিক্রি, সালিশ বানিজ্য ইত্যাদি নানা অপকর্মে জর্জরিত হয়ে কোনঠাসা করেন সেবা প্রার্থীদের! জেলা পরিষদের জায়গা নতুন করে নবায়ন করে দেবার কথা বলে পূর্বের ইজারাদারদের নিকট হতে টাকা নিয়ে নিজ নামে ইজারা করে উচ্ছেদর অভিযোগও রয়েছে।
ভুক্তভোগী ও হামলার শিকার মোস্তফা জানান, তুচ্ছ ঘটনা সূত্রপাত কে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার বাড়িতে হামলা চালায় চেয়ারম্যান ও তার আজ্ঞাবাহি দুর্বৃত্ত সহযোগিরা। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ঘরবাড়ি ভাঙচুর সহ মারপিটের ঘটনা ঘটান! ইতিপূর্বে চেয়ারম্যান নেতৃত্ব দিয়ে জায়গা দখল ও ইটের দেওয়াল ভাঙচুরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
উক্ত বিষয়ে খানগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। একটা পক্ষ আমাকে রাজনৈতিক ভাবে লাঞ্ছিত করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করেছে। ৩ নং ওয়ার্ড বাঁশঝাপা এলাকায় বাচ্চা পোলাপানের মারধরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে একপক্ষ হুমকি ধামকি দেয় ভুক্তভোগীদের। এলাকার লোক আমাকে ফোন করে জানালে আমি আমার লোকজন নিয়ে সেখানে যাই। তবে কোন গোলাগুলি বা মারামারির ঘটনা ঘটে নাই।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর সার্কেল ইফতেখার জানান, একপক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে। আমাদের নিকট একই ঘটনার পৃথক দুটি ভিডিও এসেছে। আমরা ভিডিও পর্যালোচনা করছি ও উক্ত অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। দোষীরা যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।