May 18, 2024, 5:07 am
শিরোনামঃ
বিচার ব্যবস্তার সুচনার ইতিহাস জানিনা, বিতর্কের শেষ কোথায় ? বুঝতে পারছি না বঙ্গ কণ্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বাংলার মাটি কে বুকে ধারন, ইতিহাসের অংশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পাঠাগারের কমিটি গঠন জহির সভাপতি ও লিটন সাধারণ সম্পাদক গাজায় নিজেদের গোলার আঘাতে পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত তালের শাঁস খেলে যেসব উপকার হয় ঢাকা শহরে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না: ওবায়দুল কাদের বিশ্বাস পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বাংলাদেশ সফর করছি: ডোনাল্ড লু ভারতবর্ষে হিন্দু মুসলমানের রাজনীতি হয়,মহাত্মা গান্ধী সকল ধর্মের রাজনীতি নাই গুলিস্তান-মিরপুরের কাপড় পাকিস্তানের বলে বিক্রি করেন তনি! ইসরায়েলের সেনা ঘাঁটির অস্ত্রগুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে

পর্ব ১০২: “যে ইতিহাসটি বলা দরকার” : এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Saturday, May 4, 2024
  • 31 Time View

দীর্ঘদিন ধরে কোন লেখালিখি করিনা, একেবারে বন্ধই করেছিলাম। আর আগেই বলেছি, আমি কোন ইতিহাসবীদও নই। তবুও সমাজ রাষ্ট্র নিয়ে কিছু কথা না বললে নিজেকে বর অপরাধী মনে হয়। আমার কাছের মানুষ, জনাব জেড আই খান পান্না ভাইও আমাকে লেখালিখি চালিয়ে যেতে বলেছেন, তাই শুরু করা।

ইদানিং টেলিভিশনে কিছু” টক-শোতে” অংশ নিচ্ছি,যেখানে আমার বিপরীতে কয়েকজন বি এন পি পন্থী বুদ্ধিজীবী থাকেন। ইদানিং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে, যেমন শরিফ- শরিফা, মোস্তাক – দিশা, জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্যাথ বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট নিয়ে এবং সর্বশেষ একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা নিয়ে। অথচ ঐ সকল সেন্সেটিব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে, একেক জন একেক ধরনের কথা বলছেন,যার অনেক গুলো বর্তমান সময় সরকার এবং দেশের বিপক্ষে যাচ্ছে। যা নিয়ে পত্র পত্রিকা, বুদ্বিজিবী, টকশোতে বিভিন্ন কথা বলছেন, অথচ এগুলো নিয়ে কেউ সমন্বিত কোন কথা বলছেন না। বেশ কিছুদিন পূর্বে আমার একজন কাছের মানুষ, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময় ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন, তিনি অবসরে যাওয়ার পর একটি সভায় বলেন, ” জি পি এ” সিস্টেম বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ধংশ করে ফেলেছ। যদিও তিনি সে বিষয় বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি, তিনি এখন শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে অন্যরকম কথা বলছেন। আমার আরেক জন প্রিয় মানুষ যিনি অনেক বইও লেখেছেন, যার বই আমার ছেলেদের জন্য অনেক কিনেছি। তিনি যখন একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপক ছিলেন, তখন তিনি আয়রনিকাল ভাবে বলতেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস করা কোন অপরাধ না, তবে কেউ যদি প্রশ্ন ফাঁসর করার নিউজ করে বা গুজব ছড়ায় তাদের বিরুদ্বে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। কত মারত্নক কথা। অনেক মানুষই তাকে সমর্থন করতো। অথচ সেই ভদ্রলোক পাঠ্য বইয়ের সংস্কার নিয়ে তার অবস্থান নিয়ে এবং স্কুলের বই এবং পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে তার বক্তব্য নিয়ে, অনেকেই অনেক খারাপ কথা বলছেন।অথচ উনি একজন নাম করা অধ্যাপক।রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যেও ইদানিং এমনটি দেখা যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে একজন এম পি সাহেব কি ধরনের বক্তব্য দিলেন। রাজশাহীর সন্মানিত মেয়র এবং মাননীয় প্রতিমন্ত্রী পরস্পরের বিরদ্বে টেলিভিশনে যে বক্তব্য দিলেন বা বেশ কিছুদিন পূর্বে নোয়াখালি এলাকার একজন মেয়র কিসব বক্তব্য দিয়েছিলেন বা নির্বাচনের সময় একজন প্রভাবশালী নেতা আরেকজন সিনিয়র প্রভাবশালী নেতার যে সব মারাত্নক মারাত্নক কথা বললেন, তা কিভাবে নেবো। যখন জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তন ভাবে ২০৪১ সনের মইধ্যে “একটি উন্নত বাংলাদেশ” গড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অথচ যারা এগুলো করছেন, তারা অনেকেই দলে এবং রাষ্ট্রে বড় বড় দায়ীত্বে আছেন। অথচ কেউ যেন তা দেখার নেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মত একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের দায়িত্বপুর্ণ পদে থেকে এবং সরকার এর মন্ত্রী এম পি হয়ে,উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়রের মত বড় পদে থেকেই ঐ সব কথা বলেছেন। অথচ তার দায়িত্ব নিতে হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে। বেশ কয়েক বছর আগে, যখন আমি আওয়ামী লীগের একটি সহযোগী সংগঠনের দায়ীত্ব এ ছিলাম। তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমাদের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গনের একটি যৌথসভা হয়েছিল। ঐ রকম সভা মাঝে মাঝে হতো। এমনই একটি সভায় সকলে মাননীয় নেত্রী এবং উন্নয়ন বিভিন্ন প্রশংসা মুলক বক্তব্য রাখছিলেন, তখন আমি দাড়িয়ে বললাম, আপা আমি একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলবো। নেত্রী বললেন বলো। আমি দাড়িয়ে যখন শুরু করলাম, তখন সবাই একদম চুপ হয়ে গেলন। আমি বললাম আপা, ” আপনি যখন সারা বছর নিরন্তন কাজ করে যাচ্ছেন দেশের উন্নয়নের জন্য, সে সময় অনেক মন্ত্রী, এমপি এবং অনেক দায়িত্বপুর্ণ নেতারা, মাঝে মাঝে এমন সব কথা বলেছেন, যা আপনার চিন্তা চেতনার বাহিরে !। যার সেই সব বিষয় নিয়ে, বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে টকশো গরম করছেন । তাই মন্ত্রীদের মত আমাদের এম পি এবং নেতা নেত্রীদের জন্য “রেড ফোন” দেন।যখন কেউ এধরনের কথা বলবেন, তখন রেড ফোন দিয়ে কথা বন্ধ করে দেবেন” । নেত্রী শুনে তাজ্যব বনে গেলেন, তিনি বললেন ওদের স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছি, তাই ওরা বলছে!। আমি ফের দাড়িয়ে বললাম, আপা, এটার নাম স্বাধীনতা !। তারপর সবাই চুপ হয়ে গেলো। আসলে স্বাধীনতা শব্দটা আমরা কে কি ভাবে ব্যবহার করি সেটিই প্রধান বিষয়। আমাদের নেত্রী বিষয়টি সম্ভাবত জোক করে বলেছেন। আমাদের অনেকেতো জোস থেকেই বলেন। এইতো কিছুদিন পূর্বে একজন অতিরিক্ত সচিব বলে বসলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে ১০ জন পছন্দের লোক দিলে দেশটাকে ৬ মাসের মইধ্যে ঠিক করে দেবেন! । একজন উপজেলা পর্যায়ের নেতা বলে বসলেন, সত্যিকার ভোট হলে ওনরা ১০ টা আসন পাবেন না !। আরেকজন বললেন ভোট হলে তার এলাকায়ই হয়েছে। আরেক জন মন্ত্রী আরো যোশের সাথে বললেন, যারা তার সিগারেট চেয়ে খেত, তারা এখন ব্যাংকের মালিক, যারা শেয়ার কেলেংকারিতে জড়িত, তারা অনেকে মন্ত্রী। চিন্তা করা যায় কত মারত্নক কথা। এরকম অহরহ চলছে। এখন চলছে একজন সাবেক উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা নিয়ে। পক্ষেও আমারা, বিপক্ষেও আমরা। কোন দিকে যাচ্ছি আমরা। ক্রমশঃ এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ। ৩০ এপ্রিল, ২০২৪।

শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102