মোঃ ইব্রাহিম হোসেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালি। অনেকেই চেয়েছিল দেশ শ্রীলংকা হবে, তাদের মুখে ছাই পরেছে। সেটা হয়নি, ইনশাআল্লাহ হবেও না। কিন্তু আমাদের কাজ করতে হবে। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবেও এখন আর কেউ অবহেলার চোখে দেখে না।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর)যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী মহাসমাবেশস্থলে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান যুবলীগের নেতাকর্মীরা। দুপুর পৌনে ৩টার দিকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে মহাসমাবেশের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের শীর্ষ নেতারা জানান, এ মহাসমাবেশে ১০ লাখেরও বেশি লোক সমবেত হয়েছেন। অনুষ্ঠান সফল করতে গত এক সপ্তাহ ধরে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, আজকের যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অর্থাৎ সুবর্ণজয়ন্তী। সব যুবলীগ নেতাকে আমি অভিনন্দন জানাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর এই ১৪ বছরে আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, উন্নত বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশকে এখন আর আন্তর্জাতিকভাবেও কেউ অবহেলার চোখে দেখে না।
তিনি বলেন, অনেকে রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে, ৯৬ সালে আমি যখন ক্ষমতা গ্রহণ করলাম ঠিক তার আগে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। রিজার্ভ ছিল ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখানে আমরা করোনাকালে ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত উঠিয়েছি। আজকে আমাদের কাজে লাগছে কারণ আমরা করোনার টিকা দিয়েছি। আমাদের বাইরে থেকে সমস্ত খাবার, তেল আনতে হচ্ছে। তার উপর দুইটা বছর আমাদের কোনো ক্যাপিটালমেশিনাইজ আসেনি। দুই বছর পর যখন সারা বিশ্ব উন্মুক্ত হয়েছে তখন ক্যাপিটালমেশিনাইজ আসছে। আমাদের রিজার্ভতো ব্যবহার করতেই হবে। তার মধ্যে ৮ বিলিয়ন আমরা আলাদা ভাবে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করছি। কারণ শুধু রিজার্ভ জমিয়ে রাখলে তো হবে না। সেটাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, অনেকে নাকি আমাদের উন্নয়ন চোখে দেখে না। চোখ থাকতে অন্ধ হলে দেখবে কী করে? আমরা কত যুবকের কর্মসংস্থান করেছি। আর জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া? সবই তো একই ইতিহাস। হাজার হাজার যুব নেতাদের হত্যা করেছেন।
যুবলীগ আমাদের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অবস্থান আছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, যুবক থাকলে কাজ করার অনেক সুবিধা। উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যুবদের সম্পৃক্ত করতে যুবলীগ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তরুণরাই পারে দেশকে গড়ে তুলতে।