সয়ং জাতীয় সংসদে দারিয়ে আওয়ামীলীগের অনেক সংসদ সদস্য এবং জাতীয় নেতাদের মুখে শুনা যাচ্ছে হাজার বছরের শ্রেষ্ট সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালির উপাধিতে ভুষিত হয়েছেন।বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে রাজনৈতিক বিতর্কে,অনেকেই অনেক উপাধিতে উপস্থাপন করেন। আমি সেই বিতর্কে যাবো না। সয়ং আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখে হাজার বছরের শব্দটা শুনলে হৃদয়টা চমকে উঠে, প্রশ্ন জাগ্রত হয়।তবে কি হাজার বছর আগে আর একজন বাঙালি ছিলো যিনি বাংলার স্বাধীনতা দিয়েছিলো ? বিশ্ব বাঙালি যাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির উপাধিতে ভূষিত করলো। আমরা তার অনুসারী, আদর্শে বিশ্বাসী, দলের একনিষ্ঠ নেতা দাবী করি। নৌকার কাণ্ডারী হয়ে জাতীয় সংসদে বাঙালি জাতির প্রতিনিধিত্ব করি। দলের সভাপতি মন্ডলির, সম্পাদক মন্ডলির দায়ীত্ব পালন করেও বিবিসির জরিপ, বিশ্ব বাঙালি স্বীকৃত উপাধি রক্ষা করতে পারছি না। ভুল বক্তব্য দিয়ে শুরু করেন,আমরা তাদের কাছে কি শিখবো ? পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গণ ও অসহযোগ আন্দোলন, হরতাল অবরোধ ও সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতা। অথচ আওয়ামীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের অনেক নেতার মুখেই বিপ্লবী বাংলার বিপ্লবী সন্তান দিয়ে শুরু করেন। বিপ্লব হয়েছে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে। গুপ্ত অবস্থান থেকে বৃটিশ সৈন্য ও বৃটিশ সরকারের দালালদের হত্যার মাধ্যমে। জমিদার, তসিলদার, মজুদদার ধৈনাঢ়দের অর্থ-সম্পদ লুট এবং অর্থহীন মানুষের মাঝে বিলিয়ে বিপ্লবী উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। বৃটিশরা বিপ্লবীদের কাছে, বিপ্লবের কাছে আত্নসমর্পণ করেছেন। পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনে গুপ্তহত্যা হয়েছে, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি লাল পতাকা, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, নকশালপন্থী কিছু বামপন্থী রাজনৈতিক দলের। পাকিস্তানীদের দাঁত ভাঙতে হয়েছে জনমত গঠনে। প্রমান করার জন্য শত বাধা উপেক্ষা করে ৭০নির্বাচন। আমাদের নেতা ও পিতা কখনো আত্নগোপন ও অর্থলুটে অংশগ্রহণ করেন নাই। নিয়মতান্ত্রিক বীরের মত বুক টান করে আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্ব সমর্থন আদায় করেছেন । বীরের মত বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। বাঙালি জাতির মুক্তির লড়াই ও সংগ্রাম করেছেন।আওয়ামীলীগ সংগ্রামী দল। ইতিহাসকে বিকৃত করার জন্য আপনাদেরকে দায়ীত্ব দেওয়া হয় নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার সামনেই জাতির পিতার নামে আগে হাজার বছরের শব্দটা ব্যবহার করা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন, হাজার বছরের আগে এমন কোনো বাঙালির জন্ম হয়েছিলো ? বাঙালি জাতির স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য জাগিয়ে তুলেছিলো ? হাজার বছরের মধ্যে পিতার নামকে সীমাবদ্ধ করতে চাইলে, তার আগের জনের নাম বলতে হবে। না পারলে বাঙালি জাতির দেওয়া সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সংগ্রামী দলের উপাধিকে বিকৃত করার অধিকার আপনাদেরকে দেওয়া হয় নাই, মনে রাখতে হবে।

লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।