উন্নয়নতন্ত্রে বাংলার মুলমন্ত্র হতে পারে। স্বাধীনতাকামী জনতার ঐক্যের মানচিত্রে, মুক্ত বাংলাদেশ। মুক্তির আনন্দ ছিলো,প্রতিক ছিলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। ষড়যন্ত্রের, ঐক্য বিনষ্টের প্রতিক ছিলো বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র, পাগলতন্ত্র বলতে পারেন। বঙ্গবন্ধুকে হারানো পরেও এই পাগলতন্ত্র থেকে বাঙালি জাতি মুক্ত হতে পারেনি। হত্যার রাজনৈতিক গুরু সিরাজ সিকদার, সিরাজুল আলম খান’রা যেই বীজ রোপন করে ছিলো, তাদের সহযোগীরা এখনো সেই মিথ্যাচারের রাজনীতি থেকে মুক্ত হতে পারে নাই। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের আবিস্কার গুজব ও মিথ্যাচার।
গনতন্ত্রে জায়গা না হওয়াতে, পাগলতন্ত্রে ভর করেছে। কিছু পাগল নেতা ও রাজনৈতিক দল সেই মন্ত্র কে পুঁজি করে,দেশ জাতি কে বিপথগামী করছে,গনতন্ত্রের নামে।
গনতান্ত্রিক হওয়ার আকাঙ্খা থেকে সোভিয়েত ইউনিয়ন টুকরো টুকরো হয়েছে। চীনে গনতন্ত্রের ঝড় উঠে ছিলো। অর্থনৈতিক শক্তি অর্জনের বড় বাধা মনে করে শক্ত হাতে দমন করেছে।সমাজতন্ত্রকে ইচ্ছে তন্ত্র বলা হলেও চীন,তা থেকে জনগণকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছে, নেতৃত্বের গুনে। গনতন্ত্র অস্বীকার করছি না। গনতন্ত্রের অর্থ বুঝতে,বুঝাতে না পারলে পাগলতন্ত্র হয়ে পরে। বাকশালের মতো মানব সেবা ও রাষ্ট্র গঠনের মহাতন্ত্র পাগলদের কাছে,গালিতে পরিনত এখনো।
আমেরিকা, পাকিস্তানের মানবাধিকার ও গনতন্ত্র দেখে না, বাংলাদেশে উপদেশ ছড়ায়।সমাজতন্ত্রের মহাজ্ঞান মানব সেবার জন্য। ভুল ব্যক্ষা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র। বিশ্ব দুইভাগে, মত আর বিমতের,গনতন্ত্র আর সমাজতন্ত্রের, মানব সভ্যতার বিচরণ ক্ষেত্র। রাজতন্ত্রের যবনিকার পাথর থেকে মুক্তির বাহক। পায় ধরে, ক্ষমা চেয়ে ভোট নিয়ে কোনো তন্ত্রের স্থায়ীত্ব হবে না ! জাতিকে প্রস্তুত করতে না পারলে। পাগলের সংখ্যা কমাতে না পারলে। সমাজতন্ত্র ও গনতন্ত্রে, বন্দী রাজতন্ত্রের জনগণকে দিয়ে হবে না। তাদের মাঝে পাগলতন্ত্র আছে। বন্দী জীবনের হতাশা আছে, না পাওয়ার যন্ত্রণা আছে। কৃতদাস থেকে পরিবর্তনের এলার্জি আছে। ভালোমন্দ বিচারের বিশ্বাসের সক্ষমতা নাই।
মানুষগুলো বন্দী জীবনের অবসান হলে-ও নিজস্ব চিন্তাচেতনা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় বহন করে না। নয় মাসের স্বাধীনতা, সারে তিন বছরে নেতৃ হীন বাঙালিকে গনতন্ত্রের অর্থ বুঝাতে পারিনি,পারিনি পাকিস্তান প্রেম থেকে মুক্ত করতে। স্বাধীনতার সুফল ভোগে ব্যর্থ হওয়াতে, শেখ হাসিনার উন্নয়নে সন্দেহ পোষণ করছে।
মোটা চাল, মোটা কাপরের বাঙালি তেল নুনের হিসাব করে।মেগা প্রকল্পের দীর্ঘস্থায়ী সুখী বাংলাদেশ দেখেও ভয় পায়, সেবার জন্য ট্যাক্স দেওয়ার ভয়ে। আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপি বলতেন, যেই দেশের মানুষ, খেতের উপর দিয়ে হাটে, তাদেরকে মেট্রোরেল আর পদ্মাসেতুর মর্মতা ও গনতন্ত্র বুঝাইতে সময় লাগবে। অনেকের মুখে শুনতে হয়, খালেদা জিয়াকে ভোট দিয়েছিলো সুন্দরী হওয়ার জন্যে। হায়রে গনতন্ত্র, তোর জন্য কী এতো রক্ত দিয়েছিলাম ? গুনের না-কি রূপের জন্য ? মাইরের উপরে ঔষধ নাই, শক্তি প্রদর্শন ছাড়া ক্ষমতা নাই। মাইরতন্ত্র আবিস্কার এখন সময়ের দাবী, গুজব প্রতিরোধে। পাকিস্তান, সুদান, আফগানিস্তান, মিয়ানমা,ফিলিস্তিনে মানবিকতা ও গনতন্ত্রের নিয়ে আমেরিকা কথা নেই। শেখ হাসিনার এক দমকে ডোনাল্ড লু র্যাবকে সঠিক পথে আবিস্কার করেছেন।
দমকতন্ত্র ও কাজে লাগে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।