April 26, 2024, 11:03 pm
শিরোনামঃ
কালুখালী থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ ২ আসামী গ্রেফতার দুইশ কোটি মানুষকে মনোমুগ্ধ করছে বাংলাদেশের মোস্তাফিজ রাজধানীতে তীব্র গরমে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কালুখালীতে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় সচেতনামূলক সভা ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫বি১ এর লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল লিও ইয়ুথ ক্যাম্প জয়যাত্রা অনুষ্ঠিত জনমত পারমাণবিক বোমাকে পরাজিত করে,নির্বাচন সত্যকে উপজেলা নির্বাচন থেকে আওয়ামীলীগের নতুন নেতৃত্ব উঠে আসবে গরু ও মাংস আমদানীর বিতর্কে অংশ নিতে চাইছিলাম না। ধর্ম নিরপেক্ষ ভারত কে বাঁচাতে,বিজেপি বিরোধী ঐক্য চাই তাপমাত্রা কমাতে যেসব পরামর্শ দিলেন চিফ হিট অফিসার বুশরা

পর্ব ৮৪: “যে ইতিহাসটি বলা দরকার” : এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Monday, June 13, 2022
  • 160 Time View
cloudscape in the morning

এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজাঃ

১৯৭৮ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোক প্রশাসন বিভাগের ছাত্র হিসেবে,এসকারশনে গিয়েছিলাম ভরতে। ২৮ দিনের সফর। কোলকাতা, নয়াদিল্লী,পুরাতন দিল্লি, জয়পুর,তাজমহল, ফতেপুর সিক্রি, বৃন্দাবন, মাদ্রাজ, বাঙ্গালোর কাশ্মীর, আজমির শরীফ সহ অনেক জায়গায়। আমার মনে আছে কোলকাতায় আমরা ছিলাম বিধান সভার হোস্টেলে। ঐ সময়, সংসদ অধিবেশন না থাকলে, তারা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের জন্য কম টাকায়, বিধান সভার হোস্টেল ভাড়া দিত। এমন বিষয়টি আমরা ভাবতেও পারিনা। এরপরও অনেকবার ভারত বেড়াতে গিয়েছি। ২০০১ সালে বা পরে আরো কয়েকবার ভরতে গিয়েছি। সম্ভাবত ২০০০ সলে দিকে ভারতে কিছু কিছু স্থানে রায়ট হয়েছে। ঐ সময় আমার বড় ভাই কোলকাতায় বেড়াতে গেলে, রায়টের কারনে, তিনি কোলকাতার একটি হোটেলে প্রায় ৪ দিন আটকা পড়েন । ঐসময় কোলকাতার একজন তাকে পরামর্শ দেন, এরপর ভারতে বেড়াতে আসলে, মুসলিম এ রিয়াতে থাকতে। কেনননা রায়টের সময়, হিন্দু রায়টকারিরা ভয় মুসলিম এরিয়াতে ঢোকে না, মুসলিমরা তাদের এলাকায় বনধ এর মত ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। এমনকি পুলিশ,আর্মি ঢুকলেও স্থাণীয় মুসলিম নেতাদের পারমিশন নিতে হয়। ঐ কথার প্রক্ষিতে ২০০১ ভারতে গেলে, পুরাতন দিল্লির জামে মসজিদের কাছে একটি মুসলিম হোটেলে উঠি। রোজার ঈদের আগের দিন। রাতে ঘোরতে বেরুলাম ২ ছেলে সহ। শত শত মেয়েরাও ঈদের বাজার করছে। রাত দেড়টার দিকে হোটেলে ফিরছি, তখনও দেখি অনেক মহিলারা কেনাকাটার জন্য ঘোরাফেরা করছে। ঐ এলাকায় অনেক পায় চালানো রিক্সা চলছে, কিন্তু কেউ বেল বাজাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে খুব কিউরিসিটি লাগলো। পরে এক রিক্সাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করে জানলাম, এখানে হাটার পথ, সেহেতু হাটার মানুষ আগে যাবে এবং পরে রিক্সা যাবে, সে জন্যই রিক্সায় বেল বাজানো হয় না। রাতে এবং পরের দিন দিল্লী জামে মসজিদের আসে পাশে অনেক জায়গায় ঘুরলাম। এখানে একটি বিষয় আমার খুববেশী নজরে আসে, সেটা হলো এখনকার পুলিশী ব্যাবস্থা নিয়ে। পুরাতন দিল্লী সহ সমগ্র ভারতেই পুলিশ সদস্য বা পুলিশ কর্মকর্তা খুব কমই দৃশ্যমান হতো। তবে লাঠি হাতে কিছু পুলিশ সদস্য চোখে পরলো। অথচ আমাদের দেশে ফার্মগেট, গুলিস্থান বা যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় গেলে, কত পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্য দেখা যাবে তার হিসেব করা যাবে না। অথচ তারপরও আমরা প্রতি মুহুর্তে আইন ভঙ্গ করার প্রতিযোগীতা করি। একবার ভারতে অনেক রাজ্যে বাসে ঘুরেছিলাম। আমাদের গাড়ী চালাচ্ছে, একজন শিক ড্রাইভার, তার যে শারীরিক সামর্থ, তাতে আমরা ৪/৫ জনও তার সাথে শক্তিতে পারবো না। অথচ ঐ বেটা ড্রাইভার লাঠিওয়ালা ট্রাফিক পুলিশ দেখলেও বাস থামিয়ে দিচ্ছে। আমরা ড্রাইভারকে রাগারাগি করেও গাড়ী ছাড়াতে পারি নি। কতো নিয়ম তারা নামছে। অথচ আমাদের বাংলাদেশে !। তাই বলছিলাম দোষটা সাধারন মানুষের, না পুলিশের ব্যর্থতা, তা কিন্ত কেউ শতশিধ্য ভাবে কেউ বলছেন না। বছর ৬ আগে, মালয়েশিয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে লাঙ্কাউ নামে একটি এলাকা, সমুদ্রের কাছে বিরাট পর্যটন এলাকা। এয়ারপোর্টের কাছেই একটা হোটেলে উঠলাম। সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন শহর। এয়ারপোর্টের ট্রলিতে ব্যাগ নিয়ে হোটেলে চলে আসলাম। কেউ ভুলেও প্রশ্ন করলো না, ৪ টি ট্রলি নিয়ে আমরা কোথায় যাচ্ছি। হোটেলের সামনে ট্রলিগুলো রেখে, হোটেলে উঠলাম। পরে দেখি ট্রলিগুলো নেই। পোর্ট এর লোকেরা সেগুলো নিয়ে গেছে। বাংলাদেশে এমনটি ভাবা যায়। লাঙ্কাউতে ৩ দিনে, অনেক জায়গায় ঘুরেছি কিন্ত পুলিশের সাথে আমাদের খুব কমই দেখা হয়েছে। অথচ আমাদের দেশে। এইতো কয়েকদিন পূর্বে, সাইন্স ল্যাবরেটরি কাছে, লকডাউনের সময় ২টি মটর সাইকেল এবং ১টি রিক্সা চেক করতে, কর্মকর্তা এবং সদস্য সহ প্রায় ১২ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন এবং একজন এক্সিকিউটিভ ম্যজিষ্ট্রেটও ছিলেন । অথচ এখানে এই দুইটি মোটরসাইকেল চেক করার জন্য কতজন পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্যদের কোন প্রয়োজন ছিল কিনা সেটা আলোচনার অপেক্ষা রাখে। অথচ বাংলাদেশে অহরহ এমনটি হচ্ছে।এরপরও আমরা অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছি না। এখন এই সমস্যার জন্য জনগণের দায়, জনগন মানছে না অথবা আমাদের প্রশাসন বা পুলিশ বিভাগ তাদের আইন মানাতে পারছে না। এই লকডাউন এর সময়, যেভাবে প্রতিদিন মৃত্যুর হার বাড়ছে এবং যা খুবই উদ্বেগজনক অথচ প্রতি মুহূর্তে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন মাধ্যমে, সচেতন করার সকল প্রক্রিয়া করা হচ্ছে অথচ তা কাজে আসছে না।কিন্তু কেউ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা দিচ্ছে না। এমনকি বুদ্ধিজীবী বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরাগনও বলছেন না, সমাধানটা কোন পথে। কিন্তু একদিকে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশ বলছেন, জনগণ সচেতন হচ্ছে না, অপরদিকে বিভিন্ন ভাবে জনগন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন টেলিভিশন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলছেন। তারা বলছেন, তাদের মত করে। অবার কেউ বলছেন তারা কি করবে, তারা কিভাবে খাব, রোজগারের পথ কি, বিভিন্ন ধরনের ঘোষণায় তারা বিভ্রান্ত। এই তো বিগত লকডাউনের সময়, ৪ দিন পর ব্যাংক খুলল অথচ অনেক ব্রান্স বন্ধ ছিলো এবং স্বল্প সময়ে কিছু ব্যাংক খোলা থাকায়, সেখানে ব্যাপক ভীড় হয়ে যায়। মানুষ প্রশ্ন করছে, গায়ে গায়ে লাগানো গার্মেনটস কর্মীরা কাজ করছে অথচ অনেক দুরত্ত বজায় রাখা দোকান বা বানিজ্যিক প্রতিষ্টান খুলতে পারছে না। সব কিছুতেই যেন বৈপরীত্য লক্ষ করা যাচ্ছে। এবিষয় বিশেষজ্ঞ গন বা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও কোন স্পষ্ট ধারণা দিচ্ছেন না। যখনই কোনো ঘোষণা আসে, তখন বিভিন্ন সংস্থার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে, কখন তারা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার ঘোষনা দিবেন। ব্যাংকের কোন শাখা খোলা, তা জানতে হয়,কোন বাজার খোলা,তা জানতে হয় রিক্সওয়ালার কাছ থেকে ইত্যাদি। কঠোর লক ডাউন, কিন্তু ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার মাঝে মানুষকে ধরে ক্রলিং করানো হচ্ছে বা কান ধরানো হচ্ছে, বা লাঠিপেটা করা হচ্ছে !। সরকার যখন লক ডাউন ঘোষনা করেন, ফেসবুকে দেখা যায়, স্বাস্থ্য সম্পকিত জাতীয় কমিটির সদস্য বলেন, আমরা স্থম্ভিত,আবার কেউ কেউ বলেন, করোনাকে ৭ দিনের স্বাধীনতা দেয়া হলো, আবার কেউ বলছেন, আসুন মৃত্যুর মিছিলে যোগ দেই। বর্তমান সময়টায় আমাদের আদর্শের লোকজনই ফেসবুক তথা সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লিখছেন। যেগুলো অনেকটাই পরস্পর বিরোধী। এরকি কোন বিকল্প নেই !। সবাইকে দয়াকরে একবার ভাবতে বলছি ! রাস্তায় যে ব্যক্তি গ্রেপ্তার হচ্ছে, যাকে কান ধরানো হচ্ছে না, বা ব্রিজের উপরে ক্রলিং করছে,যাদের ওভাবে দেখা যাচ্ছে, তারা আপনার ভাই বা পিতাও তো হতে পারে ওই মানুষদের একজন ! (ক্রমশঃ) এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারন সম্পাদক,বাংলাদেশ কৃষক লীগ। ২৪ জুলাই ‘ ২০২১

শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102