April 26, 2024, 7:57 pm
শিরোনামঃ
কালুখালী থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ ২ আসামী গ্রেফতার দুইশ কোটি মানুষকে মনোমুগ্ধ করছে বাংলাদেশের মোস্তাফিজ রাজধানীতে তীব্র গরমে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কালুখালীতে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় সচেতনামূলক সভা ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫বি১ এর লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল লিও ইয়ুথ ক্যাম্প জয়যাত্রা অনুষ্ঠিত জনমত পারমাণবিক বোমাকে পরাজিত করে,নির্বাচন সত্যকে উপজেলা নির্বাচন থেকে আওয়ামীলীগের নতুন নেতৃত্ব উঠে আসবে গরু ও মাংস আমদানীর বিতর্কে অংশ নিতে চাইছিলাম না। ধর্ম নিরপেক্ষ ভারত কে বাঁচাতে,বিজেপি বিরোধী ঐক্য চাই তাপমাত্রা কমাতে যেসব পরামর্শ দিলেন চিফ হিট অফিসার বুশরা

পর্ব ৮০: “যে ইতিহাসটি বলা দরকার” : এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Friday, May 13, 2022
  • 233 Time View

এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজাঃ

ইদানিং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের, বিভিন্ন পর্যায়ের অনেকেই, পত্র পত্রিকা,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম,টেলিভিশন মিডিয়ায়,হাইব্রিড, নব্য আওয়ামী লীগার, সুবিধাবাদী, রাজাকার বলে আওয়ামী লীগের মইধ্যে, অনেক অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন। কিন্তু উপরোক্ত শব্দগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা কেই, দিচ্ছেন না বা দুয়েকজন ছাড়া, কেউ কারো নাম বলছেন না। অথচ কেন্দ্র থেকে, নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত, অনেকেই বলছেন কথাগুলো এবং প্রতিনিয়ত। এছাড়া দায়িত্বশীল অনেকেও ঢাকায় এবং ঢাকার বাহিরে অনেক কথা বলছেন, যে কথাগুলো, আওয়ামী লীগের চরম বিরোধী দলের নেতারাও বলে না। অথচ আমাদের অনেকে দিব্যি, বিভিন্ন মিডিয়ায় বলে যাচ্ছেন। ভাবটা এমন, যেন তারা কোন রাষ্ট্রবিহীন দেশে, নিয়ন্ত্রহীন ভাবে বসবাস করছেন। তানাহলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বা জননেত্রী শেখ হাসিনার, কোন নেতাকর্মীরা, ওভাবে বলতে পারে না। সবাই কেমন যেন নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে যাচ্ছেন। এখানে একটি ঘটনা খুববেশী প্রশঙ্গিক মনে হচ্ছে । ৯/১০ বছর আগের একটি বিষয়। ঐ সময় টেলিভিশন টকশো গুলো খুব জনপ্রিয় ছিল। যদিও আমার খুব একটা দেখা হত না। একদিন রাতে সাড়ে ১১টার দিকে কোন একটি টেলিভিশনে টকশো, হটাৎই চোখে পড়লো । সেখানে আওয়ামী লীগের একজন এম পি, যাকে আমি খুব অপছন্দ করতাম, যার সাথে আমার জীবনে একবার দেখা হয়েছিল, তাও তার এম পি নির্বাচনের অল্প আগে। টকশোতে তার সাথে বি এন পির এক নেতা ছিলেন । ঐ টকশোটি ছিল “দৈনিক প্রথম আলোর” একটি নিউজ হেডিং নিয়ে। হেডিংটি ছিলো ” সরকারে আওয়ামী লীগ কিন্ত ক্ষমতায় বি এন পি “। টকশোর উপস্থাপক প্রথমই,ঐ আওয়ামী লীগের এম পি ভদ্রলোকের কাছে, সে বিষয় জানতে চাইলেন। ঐ এম পি কোনোরকম সময় না নিয়ে, সরাসরি বললেন, ঠিকই তো নিউজ করছে !। তখন বি এন পির নেতা খুব খুশি। উপস্থাপক তাকে প্রশ্ন করলেন, বলেন তো কি ভাবে, বি এন পি ক্ষমতায় !। তখন আওয়ামী লীগের এম পি সাহেব, একজন উচ্চ শিক্ষিত এবং উচ্চ পদস্ত ব্যক্তি প্রসঙ্গে আনলেন, যাকে ব্যক্তিগত ভাবে আমিও অপছন্দ করতাম। যার আপন ভাই বি এন পি করতো এবং বঙ্গবন্ধু সম্পর্কেও বাজে কথাও বলতো। ঐ টকশোতে সরকারে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় বি এন পি বলতে, যা বলছিলেন ঐ এম পি সাহেব, ” বেশ কিছুদিন পূর্বে আমি ব্যবসার ব্যাপারে আমার এক বন্ধুর অফিসে যাই। তখন ঐ অফিসে এক ভদ্রলোক আসেন, যার চেহারা খুব সুন্দর এবং উচ্চ শিক্ষিত এবং বুঝলাম ঐ ভদ্রলোকও, আমার বন্ধুর বন্ধু। হটাৎ অপ্রস্তৎ করেই, ঐ ভদ্রলোক, আমার বন্ধুকে বললেন, “শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিটা এই রুমে লাগিয়েছ কেনো”। তখন বন্ধুটা, থতমত হয়ে বললেন, জাতিরপিতার ছবি, তাছাড়া, আইনগত ভাবেও লাগানো যায় !। তখন ঐ ভদ্রলোক বললেন’ ওটা প্রতিষ্টান প্রধানের অফিসে থাকে, তুমি ঝুলাইছো কেন ! ওটা খুলে ফেলো !। এছাড়াও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আরো অনেককিছু বললেন ঐ ভদ্রলোক। ঐ ভদ্রলোকই এখন বড় আওয়ামী লীগার এবং একটি বড় প্রতিষ্টানের প্রধান। তখন কি বলা যায় না সরকারে, আওয়ামী লীগ, ক্ষমতায় বি এন পি !” কি মারাত্ত্বক কথা, একজন আওয়ামী লীগের বর্তমান এম পি, আরেকজন একটি বড় প্রতিষ্টানের প্রধান। ঐ এম পি সাহেবও এখন আর এম পি নেই এবং ঐ ভদ্রলোকও এখন ওই প্রতিষ্টানে নেই। আজকে আমাদের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বিভিন্ন বক্তব্য এবং সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, হাইব্রিড, নব্য আওয়ামী লীগার, সুবিধাবাদী আওয়ামী লিগার, অনুপ্রবেশকারীদের কথা শুনে, সেদিনকার টকশোর কথা, প্রায় মনে আসে। আমরা সবাই যেন কেমন হয়ে গেছি। যার যে বিষয় জ্ঞান নেই, সে বিষয় উপদেশ দিচ্ছেন, যার দৃশ্যমান কোনো বৈধ আয় নেই, সে সততার পরামর্শ দিচ্ছেন। এমনকি যে হাইব্রিড নিয়ে এবং নব্য আওয়ামী লীগার নিয়ে এতো কথা, সেই সব ব্যক্তিরাও, অন্যকে নব্য আওয়ামী লীগার বলছেন, দুর্দিনে ওমোক কে পাওয়া যায়নি। আসলে দুর্দিন বলতে কি বুঝায়, তারও সর্ব গ্রহনযোগ্য কোনো সংজ্ঞা নেই। এখানে আমার শোনা মতে একটি ঘটনা বলবো। ১৯৯৮ সনের দিকের একটি সময়। আমার অত্যান্ত পরিচিত একজন মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর বাসায় গেলাম। ঐ প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের ব্যবহার একটু রূঢ় ছিলো। তার চায়ের টেবিলে, চা খাচ্ছি। তার এলাকার এক চেয়ারম্যান ভদ্রলোক, তার সাথে কি বিষয় নিয়ে যেন কথা বলছেন। ঐ ভদ্রলোককেও আমিও আগে থেকে চিনতাম। সে চেয়ারম্যান সাহেব কি যেন একটা কাজের ব্যাপারে, বার বার অনুরোধ করছেন। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী মহোদয় সেটায় বার বার না বলছেন। এক পর্যায় ঐ চেয়ারম্যান সাহেব বলে বসলেন, আমি দুর্দিনে আওয়ামী লীগ করি, আপনি আমার কাজটি করে দিবেন না !, তখন ঐ প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ক্ষেপে গেলেন এবং খুব খারাপ ভাষা ব্যবহার করে বললেন,” তুই কোন “…….র ” দুর্দিন দেখেছো, তুই ৯১ সনে আমি, এম পি হওয়ার পর, আওয়ামী লীগে এসেছো, তখন বি এন পি ক্ষমতায় থাকলেও আমি তো এলাকার এম পি ছিলাম। তুই ৭৫ থেকে ৮১ দেখছো ?”। আসলে দুর্দিনের কোনো একক সর্ব গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা নেই। আজকে করোনায়, যার আয় নেই, তার দুর্দিন, বি এন পির দুর্দিন, যে ব্যক্তি লুটপাটের সুবিধা পাচ্ছেন না তাদের দুর্দিন, যারা কোনো ক্ষমতায় নেই, পদে, তাদের দুর্দিন।আর যারা বার বার উপরের ঐ সব কথা বলে বেড়াচ্ছেন বা সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন স্টেটাস দিচ্ছেন, তাদেরও দুর্দিন। সুতরাং সকলেই, যার যার মতো করে সুদিনের অপেক্ষায় থাকাই ভালো ! যেটাকে আমরা নিয়তি বলি ! (ক্রমশঃ) এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ। ৪ জুলাই’ ২০২১।

শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102