ইমরান খান। প্রবিত্র ঈদুল আযাহা উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার (২ মে) বিকাল তিনটায় ডিবিপি বণিক সমিতি কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের বাজার গরু ছাগলের হাট উদ্বোধন করা হয়েছে। এই হাট প্রতি শুক্রবার বেলা দুইটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে।ডিবিপি হাটে গিয়ে দেখা গেছে প্রচুর পরিমাণে গরু ছাগল উঠেছে হাটে। ক্রেতা-বিক্রেতারাও খুশি সুন্দর পরিবেশ ও হাটের পরিবেশটাও সুন্দর রেখেছে গরু বিক্রেতা সামাদ জানান তিনি গত ৬ মাস আগে ছয়টি গরু কিনেছিলেন বিক্রির উদ্দেশ্যে দুইটি গরু হাটে এনেছেন। তিনি আরো জানান বিক্রি করে ভালই লাভ হল এখানে নতুন একটা হাট পশ্চিমে মৃগীবাজার আর পূর্বে সোনাপুর বাজার এরই মাঝখানে ডিবিপি এই হাট। ছাগল বিক্রেতা আযাহার মন্ডল আরজু জানান তবে এ বছরে ছাগল ও গরুর খাদ্যের দাম একটু বেশি হওয়াতে তার লাভ অংক একটু কম হয়েছে। বিক্রেতা নাসির উদ্দিন জানান ডিবিপি এই হাটে নতুন এখানে আমি গরু এনেছি তিনটা তবে আমার গাড়ি ভাড়া দিতে হইনি গ্রামের মধ্যে হাট আমার কিছুটা হলেও লাভ হবে তবে আমি একটা গরু বিক্রি করেছি 70 হাজার টাকা ইনশাআল্লাহ আমার কিছু টাকা লাভ হয়েছে। তবে বনিক সমিতির যে টাকা আমি যা দিয়েছি তারা সেটাই নিয়েছে বিক্রেতা হেলাল উদ্দিন জানান গ্রামের মধ্যে হাট আজ যেহেতু নতুন উদ্বোধন করা হলো তবে সামনের যে হাট গুলো আছে আজকে যেহেতু ত্রিশ থেকে চল্লিশটা গরু আসছে। এবং ৭০টার বেশি ছাগল উঠেছে তবে সামনে আরো বেশি হবে আমি একটা গরু এনেছি তবে এক লাখ টাকা গরুর দাম চাইলে ক্রেতারা বলেন ৬০হাজার টাকা। দেওয়ালী থেকে রহিম জানান খামারির মালিক খড়ের পাশাপাশি খৈল গুড়া ভুষি প্রভৃতি খাদ্যের দাম একটু বেশি হওয়ায় লালন পালন করতে একটু বেশি খরচ হয়েছে। তবে ইনশাআল্লাহ এখানে নতুনহাটে ভালো দাম বলতেছে আশা করি আমি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো।
ডিবিপি বনিক সমিতির সভাপতি সেলিম বিশ্বাস জনান যে এই হাট বিশ বছর আগের তবে গরুর হাট ছিলোনা এলাকার গরু খামারি অনেক আছে এবং সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সরকারি বিধিবিধান মেনে আমরা গুরুর হাট চালু করলাম।এখানে গরু ব্যাবসায়ীদের জন্য থাকা এবং খাবারের ব্যাবস্থা করেছি যাতে সুন্দর ভাবে ব্যাবসায়ীরা গরু কিনতে পারে।এবং গ্রামের মানুষ কুরবানির গরু ভালোভাবে কিনতে পারে।
ডিবিপির বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জানান যেহেতু একদম এলাকার মধ্যে এই হাট আশা করি খুবই সুন্দর পরিবেশ পরিচালনা করতে পারবো এই হাট প্রতি শুত্রবার লাগবে। ক্রেতা-বিক্রেতা গরু বেচাকেনা করে হাসিল যা দেবে আমরা তাই নিবো এলাকার মানুষের কথা ভেবে।
আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা আবু সাইদ হান্নান তিনি বলেন যেহেতু একদম গ্রামগঞ্জের এই হাট বসাতে পেরে ধন্য কারন এলাকার মানুষের অনেক দুরে গাড়ীতে করে গরু হাটে নিতে হতো সেটা আর লাগবেনা ইনশাআল্লাহ বাড়ি থেকে পায়ে হেটে গরু বিক্রি করতে পারবে আর এই হাটে সবাই সবার পরিচিত সেই কারনে কোন প্রতারণা হবেনা আর আমরা চারপাশে সব সময় দেখভাল করচ্ছি।
এদিকে পশুর হাট গুলোতে থানা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।