গাজীপুর নির্বাচনে নৌকার পরাজয়ে,সরকারের বিজয় দেখছে পুরো বিশ্ব
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Sunday, May 28, 2023
169 Time View
শেখ হাসিনার সরকার ও আওয়ামীলীগের রাজনীতির নিয়ে গাজীপুর থেকে শুদ্ধ অভিযান শুরু করতে হবে। বিশ্ব উন্নয়নের পথপ্রদর্শক, বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতিক শেখ হাসিনার সরকারের সুনাম রক্ষায় আওয়ামীলীগের ব্যর্থতা কোথায় ? আওয়ামীলীগ মানুষকে বিশ্বাস করে, জয় বাংলা শ্লোগানে গলে পরে। নেতা নির্বাচনে অতিত ইতিহাস খোঁজার চেষ্টা করে না। দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো, এই বহুবচন বাক্য বহুভাবে প্রচলন থাকলেও আওয়ামীলীগ রক্ষা করতে পারছে না।
শেখ হাসিনার বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষাকারীর সংখ্যা কমে আসছে। রাজনীতির ভিতরে রাজনীতি, ঘরে ভিতরে ঘর রেখে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখছে, বাংলার মেহনতী মানুষকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ইতিহাস থেকে শিখার চেষ্টা করছে না। নেতৃত্ব গড়ে তোলার আগে বংশ পরিচয়, আনুগত্য,বিশ্বস্ততার বাচবিচার করার প্রয়োজন হয় না এখনকার আওয়ামীলীগে। অনেক উদাহরণ আছে, গোলাম মাওলা রনি বিশ্বাসঘাতকের প্রতিক হতে পারে।
কোনো রাজনৈতিক দলকে বিশ্বাসঘাতকরা ক্ষমতায় আনতে পারে না, ক্ষমতায় আসার পরে বিশ্বাসঘাতক ছাড়া চলতে পারে না কেনো ? এই বিশ্লেষন এই লেখার করতে চাই না। আওয়ামীলীগ নেতাদের জ্ঞাতার্থে শুধু বলে রাখতে চাই, ওয়ার্ড নেতৃত্ব সাবেক। স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক যুবলীগ, মহিলা ও যুব মহিলা লীগের কমিটি নাই ছাত্রলীগ ছাড়া, ঢাকা মহানগরের অধিকাংশ ওয়ার্ডে। বিএনপি জামাতের অবৈধ আয় ও শক্তির উৎস মাদক, ময়লা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না, প্রশাসনের অসহযোগিতার কারনে। প্রশাসন সহযোগিতা নিতে চায় না। সাবেক হওয়ার কারনে নয়তো ? জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভাবনার বিষয় গাজীপুর থেকে শুরু করতে হবে। ৭০ এর নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে সবুর খান বলয় গড়ে তুলেছিলো, একাধিক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনেছেন পিতা মজিব, হাসতে হাসতে বলেছিলেন, খাবা দাবা সবুর খানের ভোট দিবা নায় (নৌকায়) পিতার জানতেন মির্জাফরের তালিকা করলে কম্বলের লোম্বা থাকবে না। খন্দকার মোস্তাকের মির্জাফরী একেবারে অন্ধকারে ছিলো না। চাটুকারদের জন্য জয়নাল হাজারী, কাদের সিদ্দিকী সহ অনেক বিশস্ত সৈনিক হারাতে হয়েছে। বার বার মাপ করা হয় জাহাঙ্গির মার্কাদের।এই সুযোগটা নিচ্ছে বিএনপি জামাত, হেফাজত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির ভোটে।জাহাঙ্গীররা সেই সুযোগ সন্ধানী,এখন বলছেন নৌকার নয়, ব্যাক্তির পরাজয় হয়েছে।এডভোকেট আজমতউল্লাহ খান, একজন ব্যাক্তি হতে পারেন না আওয়ামীলীগের মনোনয়নে। নেতা বানানের আগের প্রশ্ন থাকতে হবে, আপনি জিৎবেন,নাকি দলকে জিতাবেন ? বিএনপি জামাতের ভোটের গোপন রহস্য আছে।বিগত সরকার বিরোধী আন্দোলনের আওয়ামী ঘরানা শিল্পপতি ও চেয়ারম্যান কাউন্সিলর অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছে,প্রমানিত। জাহাঙ্গীর কে বাদ দিতে পারছি না,দলকে মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা বিরোধীদের ভোট নির্বাচিত জাহাঙ্গীর মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু হতে পারে না। সময়মতো ছুবোল দিবে, নিজের পছন্দের প্রার্থী না হলে। শেখ হাসিনার মনোনয়নকে চ্যালেন্স করে, মা মা ডাক তার মুখে ভালো লাগছে না। বিশ্ব গাজীপুরের নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলো, সরকার ও নির্বাচন কমিশন দেখিয়ে ও বুঁজিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশে পারে, বিশ্বেকে প্রশ্ন ছাড়া নির্বাচন উপহার দিতে, আমেরিকা যা বিশ্বকে দিতে পারেনি,ভোট কারচুপির অভিযোগ এখন আমেরিকাতে। নির্বাচন জয় পরাজয়ের খেলা, এখানের হারানো কিছু নাই,গন রায় আওয়ামীলীগ মেনে নিয়েছে। গনরায় ছাড়া গনতন্ত্র কীভাবে হয় ? জাহাঙ্গীরের মায়ের মাঝে গাজীপুরের মানুষ স্বপ্ন দেখেছে, জনগণের রায়কে সম্মান করতে হবে। শেখ হাসিনার সরকারের বড় সাফল্য বড় বিজয় এখানে।
নির্বাচনে বাঁধা দিলে আমেরিকার ভিসানীতিকে বিরোধীরা নিষেধাজ্ঞা বলে চালিয়ে দিচ্ছে, নির্বাচনে বাঁধা দিলে কী হবে, তাতো বলছে না। তত্বাবদায়ক নিরপেক্ষ শব্দের সাথে আমেরিকার পরিচয় নাই।অংশগ্রহণ মুলক নির্বাচন চায়, অংশগ্রহণ না করলে কী হবে ? সেই বার্তা গাজীপুরের নির্বাচন থেকে যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে। পাকিস্তান সহ বিশ্বের কোনো দেশের জন্য না হলেও বাংলাদেশের জন্য এই বার্তা প্রশ্নবোদক, তবে অযুক্তি বলতে পারছি না।অংশগ্রহণ মুলক নির্বাচন ছাড়া গনতন্ত্র অর্থবহ হতে পারে না। গাজীপুর গনতন্ত্রের বিজয় হয়েছে, বিএনপি কে গাজীপুর থেকে শিখতে হবে।আপনাদের জন্য দর্জা খুলে জনগণ বসে থাকবে না,নির্বাচন ছাড়া সরকার ও ছায়া সরকার কোনোটাই হতে পারবে না। সরকার হতে না পারেলে গঠনমূলক বিরোধী দলে থাকতে হবে, রাজনীতি করতে চাইলে। দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে নিজ দলের বিরুদ্ধে ভিসানীতি চালু করেছেন, পাকিস্তানি ভাষায় বলতে হয়, লে হালুয়া।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।