বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প এখনো নিন্দুকেরা আবিস্কার করতে পারেনি। বিমতের রাজনৈতিকেরা শুধু মেগা প্রকল্প, মেগা চুরির অপবাদ ছাড়া আর কিছুই বলতে পারে না,যা বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক সরকার করতে পারেনি। পদ্মাসেতু নিয়ে বিতর্ক কম হয় নাই, বিশ্ব ব্যাংক থেকে বিশ্ব পরিমন্ডলে আলোচিত, দুর্নীতির অপবাদের শেষ ছিলো না,কানাডার আদালত সাক্ষী দিয়েছে নিরপরাধের। শেখ হাসিনার অনমনীয় মনোভাবে বাঙালির স্বপ্নপুরণে কোনো বাধা হতে পারেনি, নিজের অর্থায়নে বিশ্ব ব্যাংকে পদ্মসেতুর ছবি উপহার দেওয়া হয়েছে।অর্থনীতির চালিকাশক্তি এখন আমাদের পদ্মাসেতু। কিছুটা অভিমান থেকে অনেক দেরিতে পদ্মাসেতু দেখা হলো, মটর সাইকেলে অনুমতি না থাকার জন্য। মটর সাইকেল ছাড়া আমার কোনো বাহন নাই বলে। তিন ঘন্টায় ঢাকা থেকে ভাঙা আসা যাওয়া করেছি। আসা যাওয়ার আনন্দ উপভোগের ইতিহাস লেখে শেষ করা যাবে না, ইতিমধ্যে অনেকেই অবগত। স্বীকার করবেন না শুধু বিএনপি-জামাত। তারা জানেন না, মেগাপ্রকল্প ছাড়া জাতিকে বড় স্বপ্ন দেখানো যায় না। তারাতো এটাও জানতেন না, ভিক্ষার টাকা, বিদেশের অনুদানে দেশ জাতির সম্মান থাকে না। মাথা নিচু করে বিদেশীদের সব ষড়যন্ত্র মেনে নিতে হয়। ওরা কোনো সরকারের স্থায়ীত্ব সয্য করতে পারে না,দেশ উন্নত হয়ে যাওয়ার ভয়ে।শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নের প্রমান দিয়েছে,স্থায়ীত্ব সরকার জাতির জন্য কতটা অবদান রাখতে পারে।জনগণের রোষানল বিএনপিকে ডাস্টবিনে,জামাতকে নরদমায় পশ্চিমাদের হাত ছিলো, আজ শেখ হাসিনার দমক খেতে হচ্ছে। এই কারিসমার সবই অর্জন মেগাপ্রকল্পের জন্যে,অর্থনীতির গতির জন্যে।
কর্ণফুলি টেনেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ,বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক অঞ্চল, কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশন, বিমান বন্দর, ঢাকায় তৃত্বীয় টার্মিনাল, মাতারবাড়ী গভির সমুদ্র বন্দর, পায়রা বন্দর ও বিদুৎ কেন্দ্র চালু হলে বাংলাদেশ কোন উচ্চতায় বিশ্বের পরিচয় বহন করবে ? ইতিমধ্যে মুধুমতি, রূপশাহ, পায়রা সেতু সহ শতাধিক বিহৎ সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে শুরুটা ছিলো পাবলিক পাটনারের মাধ্যমে, খিলগাঁও, রামপুরা মগবাজার তেজগাঁও, মহাখালী, বিমান বন্দর সড়ক এখন অবিশ্বাস্য মনে হয়।ঢাকা চট্টগ্রাম, ঢাকা সিলেট, ঢাকা ময়মনসিংহ, পুর্বাঞ্চল দক্ষিনাঞ্চল, যেদিকে আপনি তাকাবেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন আপনাকে অভাগ করবে। মেট্রোরেল পাতালরেল, মানুষের, দেশের প্রয়োজনে,অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প কোনটা ? অনেকের প্রশ্ন, ঋনের কিস্তি আসলে নাকি বাঙালির নাভিশ্বাস উঠবে। যারা পারে না, তাদের নাভিশ্বাস এমনিতেই উঠে। বাবার জমিতে হাউজ বিল্ডিং এর ঋন নিয়ে বাড়ী করতে পারেননি, বাড়ী বিক্রি করে খেতে হয়েছে। তিরিশ চল্লিশ বছরে ঋন পরিশোধ করার সুযোগ ছিলো। একটু কষ্ট একটু পরিকল্পনা আপনার সমৃদ্ধির পথ আবিস্কার করতে পারতো। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বিদেশীরা উঠিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। আমাদের প্রকল্প থেকে কিছুটা আয়, বিদেশের শ্রমিকের জীবনযুদ্ধ, জাতিসংঘে শান্তি রক্ষার দায়ীত্বে দেশের গর্বিত সেনাবাহিনীর অর্থ ও বাঙালির ট্যাক্সের টাকায় শতবছর হলেও আমরা ঋন মুক্ত হবো ইনশাআল্লাহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ছাড়া মেগাপ্রকল্পের স্বপ্ন ও বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তার একটি কথা আমার মনে অনেকটা নাড়া দিয়েছে। আমরা বিদেশীদের চাপিয়ে দেওয়া কোনো বিলাশ বহুল প্রকল্প গ্রহন করি না, জাতির প্রয়োজনে, দেশের উন্নয়নের সাথে সামজস্য থাকতে হবে।
একটি টাকা বাচানোর চেষ্টা করি। আমার জীবন একটাই, যেভাবে হউক একদিন চলেই যেতে হবে। মা বাবা ভাই আত্নীয়সজন সবাইকে হারিয়ে আমি নিঃস্ব। চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই। বাঙালির ও বাংলাদেশের জন্য এই জীবন উৎসর্গ করে রেখেছি। আমাকে দমক দিয়ে, ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে স্যালুট, জানি আপনার বিচক্ষণতার তুলনা করার মতো দুঃসাধ্য আমার এবং আমাদের কারো নেই। আপনার চেয়ে দেশ ও জাতিকে ভালোবাসতে পারবো না,যেটুকু দেশের জন্য দলের জন্য অর্জন, আপনাকে অনুসরণ করে। মনের আশা ও আকাংখা থেকে লেখতে হয় নিজেকে বাচিয়ে রাখার জন্যে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে হারিয়ে মজিব পাগল হয়েছি। একসময়ের পাগলামি ছিলো হরতাল অবরোধে, আগুনের লেলিহানে। এখন পারলামি হচ্ছে কলমে। সবসময় চেয়ে থাকি আপনার মুখে দিকে,হুকুমের আশায়। এই দেশ ও বিশ্ব আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। ঋন কত ? এই ভাবনা থেকে আপনাকে বেরিয়ে আসতে হবে, দেশের ছোট ছোট কিছু প্রকল্প কাটছাঁট করে হলেও ভোলা বরিশাল ও নগরবাড়ী দৌলদিয়া পাটুরিয়া সেতুর কাজ শুরু করতে হবে। প্রয়োজনে পাতালরেলের কাজ কিছুটা ধীরগতি হলেও। ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করতে যতটা দেরি হবে, ততটাই জনদুর্ভোগ হবে।বিদেশি ঋনের টাকার কিস্তির প্রতিবন্ধকতা হবে। গ্যাসের জন্য ভোলা ভাসছে, গ্যাসের অভাবে শিল্পকারখানা, বিদ্যুৎ সার কারখানা সহ রপ্তানীর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।গ্যাস আমদানির বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কট পুরণে ভোলা বরিশাল সেতু অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে পারে। মাত্র ১১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প, খুব বড় বিষয় নয়, ইতিমধ্যে সাতশ কোটি টাকা আমাদের পদ্মাসেতুর আয়। ভোলার গ্যাসের টাকা যুক্ত হলে, আপনার হাতে শক্তি অনেকাংশে বেরে যাবে। আপনি এর চেয়ে অনেক বড় বড় প্রকল্পের স্বপ্ন পুরণ করেছেন। যে কারনে আপনার প্রতি জাতির এতোটা আত্নবিশ্বাস। পাটুরিয়া সেতুর বাংলাদেশে নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করবে, আপনি ছাড়া আমাদের আর কে আছে, যাকে বলা যায়। দেশ ও জাতির জন্য পদ্মাসেতুর শ্রমিকের অভিজ্ঞতা আামাদের জাতীয় সম্পদ, এই সম্পদ কাজে লাগাতে হবে। কালো টাকার তালিকা করা হয়েছে, ইতিমধ্যে খালেদা জিয়া সহ অনেকেই জরিমানা দিয়ে কিছু টাকা সাদা করেছে। নিজ দলের অনেক রথীমহারথী সুইজ ব্যাংকে, সেকেন্ড হোমে, বেগম পাড়ায় জমিয়ে বসেছে আছে। আপনার কিছুই অজানা নয়। দুর্নীতির মুল উৎপাটন করতে চাইলে, দুই-চার টাকে জুলিয়ে দিতে হবে। দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ, মাদক মুক্ত বাংলাদেশ কোনো স্বপ্নের বিষয় নয়, বাঙালি জেগে উঠলে, জাগিয়ে তুলতে পারলে এই দুর্নীতিবাজ মাদক কারবারীদের ঘুম হারাম করে দিবে। শুধু রাজনৈতিক ঐক্যের প্রয়োজন। বিএনপি জামাতের কাছে আশা করা যায় না, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নিতে হবে,২০২৪ শের নির্বাচনে,শেখ হাসিনার কারিশমা দেখতে চাইলে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।