বেকুবের সংখ্যা বেশী হওয়াতে,জ্ঞানী লোকের প্রয়োজন হয় না রাজনীতির জন্যে। গনতন্ত্রের সমধিকার, ভোটার যদি পাগল হয়, আদায়কারী সুস্থ থাকতে পারে না। নীতিবাক্য আদর্শ,বিশ্ব রাজনীতির পারিপার্শ্বিক ষড়যন্ত্র নিয়ে আলোচনা করে পাগলের,বেকুবদের ভোট আদায় করা যাবে না।
দেশ ও জাতির উন্নয়ন, পদ্মাসেতু মেট্রোরেল, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের হিসাব নিকাশ, তুরস্কের ভুমিকম্পে কী আসে যায়। পাগলের ডাক্টার হতে চাইলে, পাগলের অভিনয় কিছুটা হলেও আপনাকের অভ্যস্ত করতে হবে। আমির খসরু মাহমুদকে আমি পাগল বলছি না, বিএনপির পাগলদের সাথে কিছুটা অভ্যস্ত হয়ে পরেছেন। বিএনপি করতে চাইলে আপনাকে মুসলমান হতে হবে, গয়েস্বরের মাথায় এখন টুপি। বাংলাদেশ ভারত হবে, মসজিদে উলুধ্বনি হবে, গোপালগজ্ঞের নাম বদলাতে হবে।
পাগল বশ করতে চাইলে, আওয়ামীলীগ একটি আসন পাবে না, বলতে হবে। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার আশায় থাকতে হবে।ডক্টর কামাল হোসেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী ইউনুসদের জ্ঞানের ভাণ্ডার শূন্য করে দিয়েও এই দেশের মানুষকে ভষ্যতা স্বীকার করাতে পারেননি। ভাসানীর সিদ্ধান্ত বদলের রাজনীতির জন্য কৃষক আন্দোলনের ধানের শীর্ষ এখন স্বাধীনতা বিরোধীরা ব্যবহার করে।এখনো ৩০% লোক বাংলাদেশ বিশ্বাস করে না, স্বাধীনতার স্থাপতি জাতির জনক স্বীকার করে না, তাঁরাও রাজনীতি করার অনুমতি পায়।বিচিত্র এই দেশ, বিচিত্র আইন ও প্রশাসন। একটি দেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি না দিয়ে রাজনীতি করার অধিকার পায় কীভাবে ?
ভোটের কোনো ব্যবদান নাই, পাগলের ও বিজ্ঞানীর ভোট সমান হওয়াতে, পাগলের সংখ্যা বেশী হওয়াতে, জ্ঞানের ভাণ্ডার উন্মুক্ত রেখে কী হবে ? আওয়ামীলীগ একটি আসনও পাবে না, এই কথা যে বলেছেন, তিনি নিজেকে বিশ্বাস করেন না,বিমতের রাজনীতির জন্য। তার দলের পাগল নিয়ন্ত্রণের জন্য।ভোটের অধিকার দেওয়া হয়,উপাধি অর্জন করতে হয়, সবই টাকায় বিনিময় হয়। জ্ঞান বিক্রি হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, কিছু শিক্ষকের কারণে।ভোট বিক্রি হয় বস্তীতে, ক্রেতা সম্পর্কে আলোচনা নিঃপ্রয়োজন। একটা আসন যাদের নাই, তারা আসন সংখ্যা নির্ধাারন করে, এর চেয়ে হাস্যকর আর কী হতে পারে। এরই নাম গনতন্ত্র শুধু বাংলাদেশে চলে। বিশ্বের কোথাও স্বাধীনতার ও জাতির পিতার স্বীকৃতি ছাড়া রাজনীতি করার অনুমতি পাওয়া যায় না।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।