বিশ্ব নিপিড়ন নির্যাতন, জাতিগত দাঙ্গা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত বাতাসের সন্দান দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব। উন্নত জীবন, সম্মান জনক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্বকে একটি বার্তা দিতে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফর এই লক্ষ্য থেকে আলাদা নয়। দেশের রাজা বাদশারা সফরে বের হতেন, মনি মুক্তা, স্বর্ণমুদ্রা, মোহর নিয়ে। ফকিরেরা সফরে বের হতেন ভিক্ষার থলি নিয়ে। ভারত সফরে বিএনপি অনেকগুলো প্রশ্ন তুলেছেন, শেখ হাসিনা নাকি খালী হাতে দেশে ফিরেছেন।
কোনো রাজা বাদশা, তাদের মনি মুক্তা ফিরিয়ে আনেন না। ভিক্ষার থলি নিয়ে, চেয়ে চিন্তে দেশ চলে না, জাতির সম্মান থাকে না।
বিশ্বের কোনো রাজা বাদশা, মহাশক্তিধর সরকার প্রধান শক্তিপ্রদর্শন ও অনুনয়-বিনয় করে তাদের রাষ্ট্র ও সাম্রাজ্যেকে বাঁচাতে পারেন নাই।
বৃটিশ, তুর্কী মোগল সাম্রাজ্য সহ জার্মান-জাপান, পাকিস্তান ইতিহাসের অংশ হয়েছেন,নিজেদের একগুঁয়েমির জন্য। আফগান, ইউমেন, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমা ব্যর্থ রাষ্ট্র, সঠিক নেতৃত্বের অভাবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান তার ব্যাক্তিত্ব নেতৃত্ব ও দলের ঐক্য বহিঃবিশ্বের কাছে বিস্তার করতে না পারলে, দেশ জাতিকে মুক্ত করতে পারতেন ? শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগের অর্জনে জাতি ঐক্যবদ্ধ, বিশ্ব বিনিয়োগ নিরাপদ। প্রমান করার জন্য ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সহ বিশ্বভোমণ করতে হয়। এখন ভিক্ষার থলি নিয়ে বিশ্বভোমনের দিন শেষ, হাত খালী না ভরা আপনারা দেখবেন কীভাবে ? শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশে। এখনতো ৭৭ এর মতো রিলিফ আসে না। বাঙালির শ্রমের, কর্মের ও যোগ্যতার বিনিময় আসে অনলাইনে।
আপনারা হাতে দিকে চেয়ে থাকলে ইভিএম এর ভোটও দেখতে পারবেন না। সময় নষ্ট না করে, নেতা কর্মী ও দলের সমর্থকদের কে আধুনিক বাংলাদেশের উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলেন। গাড়ী ভেঙে, আগুন দিয়ে বহিঃবিশ্বেকে চমকাতে পারবেন, জনগণের ভোট আদায় করতে পারবেন না। আমেরিকা ইউরোপকে আপনারা কি দিবেন ? আগে নিজেরা জনগনকে অর্জন করতে শিখুন। না-হয় সব ঠনঠনাঠন।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।