পহেলা অক্টোবর শনিবার থেকে দুর্গোৎসব, বাঙালি জাতির, বাঙালি সংস্কৃতির মিলন মেলায় পরিনত হবে দুর্গার আগমনে। সম্প্রদায়ী সম্প্রিতি রক্ষার প্রচেষ্টায় মানবপ্রেম জাগরণে হিন্দু মুসলিম খৃষ্টান জাত-পাত ভুলে আমরা সবাই হবো বাঙালি। রায়ের বাজার আঁকড়া মন্দিরের পাশে আমার বাড়ী হাওয়াতে পূজার লাড়ু, শাঁখের আওয়াজ এমনিতেই আমার বাড়ীতে আগমণ ঘটে। হিন্দু বন্ধু, নিরাপত্তা কর্মী ও রাজনৈতিক কারণে মন্দিরের নিরাপত্তার দায়ীত্ব পালন করতে হয়। আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপি সহ নেতার প্রতিটি মন্দিরে পরিদর্শনে ব্যস্ত থাকেন। দুর্গার বিদায়ী উৎসব হয় মহা আনন্দের। রায়ের বাজার ৩৪ নং ওয়ার্ডে এখনো ৭ টি পূজামণ্ডপ। ঢাকা ১৩ আসনে ১৩ টি। সাদেক খানের বন্ধু মহলে হিন্দু প্রধান তালিকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষক, বিচারপতি, ব্যাংকার, সচিব সহ অনেকর আগমণ ঘটে রায়ের বাজার মন্দিরে। পূজা উপলক্ষে এই আগমনকে রঙ্গিন করতে চলে আড্ডা, পুরোনো স্মৃতিচারণে হাসি তামাশায় মেতে ওঠেন। কিছুটা সময় স্তব্ধ, কতনা মধুর স্মৃতি আমরা দুরে দারিয়ে উপলব্ধি করি। মনে মনে ভাবি বিশ্ব বাঙালির মিলন মেলা হতে পারতো দুর্গোৎসব একটি পতাকাতলে, একটি মানচিত্রে। একি ভাষা নিয়ে কতনা টুকরো জাতনায় বাঙালি সংস্কৃতির উৎসবগুলো পালন করতে হচ্ছে। কতটা বিষাক্ত মনোভাবে সম্প্রাদায়ী বিনষ্টের কারণ হতে হচ্ছে একটি মানচিত্র।
ঈদ ও পূজোর জন্য আলাদা করে দেখানো হয় বাঙালি কে। আমাদের একটি সংবিধান ধর্মনিরপক্ষ। আমাদের একজন সৃষ্টিকর্তা আছে। বাঙালি জাতির একজন পিতা আছে।
একটি নির্দশনায় চলতে পারলে, বিশ্ব আমাদেরই হবে। আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছে, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছেতে। যিশুখ্রিষ্টের বড়দিন, মুসলিমদের ঈদের আনন্দ, হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গোৎসব আমরা ভাগ করে নিতে পারি।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।