ভইরা দিমু, হান্ডাইয়া দিমু, ঠেকাইয়া দিমু সহ কতশত অসভ্য নামের কিশোর গ্যাং আমাদের অহংকার র্যাবের অভিযানে বন্দী। এখন আর লে ঠেলা গ্রুপ সামলাইতে হচ্ছে না। প্রশাসন পারে না, এমন কি আছে ?আইন যদি নিরপেক্ষ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া প্রয়োগ করতে পারে। ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে কিশোর গাং বিরোধী র্যাবের অভিযান অভ্যাহত রাখা হয়, তবে কিশোর গ্যাং এর সাথে মাদক কারবারীরা নিযন্ত্রণে আসবে। মাদক বিস্তারের হাতিয়ার কিশোর গাং। বাবা মা, ভাই বোনের পরিবারে একজন কিশোর গ্যাংএর সদস্য সমাজ সংসার কতোটা ভয়ংকর হতে পারে ? ভুক্তভোগী পরিবার ছাড়া বুঝতে পারবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশের উন্নয়ন এক বিচিত্র রূপ ধারন করেছে,যেই ইতিহাস লেখে শেষ হবে না । উন্নয়নের সুফল ভোগের বাঁধা সৃষ্টি হয়েছে কিশোর গাং মাদকাসক্ত, মাদককারবারী দারা।২০২৪ এর নির্বাচনে, রাজনৈতিক অঙ্গিকার ছিলো মাদক ও কিশোর গাং মুক্ত সমাজ গড়ার। ইতিমধ্যে র্যাবের অভিযান লক্ষ্যনীয়। প্রশ্ন হচ্ছে কিশোর গাং মাদক কারবারীদের পৃষ্ঠপোষকদের কে নিয়, আইনের আওতায় আনা হবে কবে ? প্রথম আলো সহ একাধিক পত্রিকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক নেতাদের নাম সহ প্রতিবেদ প্রকাশিত হয়েছে, কিশোর গাং আইনের আওতায় আনা হলেও পৃষ্ঠপোষক ও মাদক কারবারীদের কে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না।
তবে আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ একলাফে উন্নয়নের রোলমডেল হতে পারেনি, এ জন্য শেখ হাসিনার অক্লান্ত শ্রমের প্রয়োজন হয়েছে। বাঙালি জাতিকে ত্যাগের বিনিময়ে ঐক্যের প্রয়োজন অনুভব হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ জাতির পক্ষেই সম্ভব আমেরিকার মতো পরাশক্তিকে পরাজিত করা, এখন সময় রাজনৈতিক প্রতিক্ষের চেয়ে ভয়ানক দেশ জাতি সমাজের প্রতিপক্ষ মাদক, কিশোর গাং মুক্ত করা। চিহ্নিত নেতা ও পৃষ্ঠপোষকদের কে আইনের আওতায় আনা। হতে পারে আমার দলের নেতা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা লক্ষ্য করুন, আগের আমার দলকে চাঁদাবাজ, কিশোর গাং ও মাদক কারবারী মুক্ত করুন।বাংলার মেহনতী মানুষ একটু শান্তিতে থাকতে চায়। কবরের ভিতরে মাদক,বাড়ীর ভিতরে কিশোর গ্যাং এই নরপিশাচরা কোনো দলের নেতা হতে পারে না, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হয় কীভাবে ? প্রশাসন মাদক ও কিশোর গাং মুক্ত করতে চাইলে, মুল উৎপত্তি খোজতে হবে। ইতিমধ্যে পুলিশের অনেক কর্মকর্তা মাদক পাচারে জড়িয়েছে কিছু বিচারের আওতায় এসেছে, কিছু আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চাকরির পাশাপাশি মাদক পাচারকারী দলে অন্তর্ভুক্ত। রাজনৈতিক ও মানসিক সচেতনতা ছাড়া সমাজ পরিবর্তন অসম্ভব। হাজারো আগাছার চেয়ে একজন আদর্শিক নেতা ও কর্মকর্তার পক্ষেই সম্ভব সমাজ পরিবর্তন। ইচ্ছে থাকতে হবে শেখ হাসিনার মতো।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।