খাস খবর বাংলাদেশ ডেস্কঃ সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের বিপক্ষে সম্ভাবনায় নিজেদের এগিয়ে রেখেছিল নেদারল্যান্ড। এমনও বলেছে এই ম্যাচ জিতলে অঘটন হবে না! কিন্তু ২২ গজের লড়াইয়ে তো আর কথা দিয়ে জেতা যায় না। বরং প্রতিপক্ষকে শুরুতেই চেপে ধরে ৯ রানে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপে শুভ সূচনাই করেছে বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার খেললেও ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি ডাচরা। ১৫ বছরে পর বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের শুরু করেন সৌম্য সরকার, দুই বাউন্ডারি থেকে নেন ১২ রান। এরপর চতুর্থ ওভারে এসে টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকান শান্ত। অনেকদিন ধরে ধুঁকতে থাকা উদ্বোধনী জুটিত স্বস্তি খুঁজে পায় বাংলাদেশ। ৩০ ম্যাচ আসে ৪০ রান ছাড়ানো শুরুর জুটি।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে এসে প্রথম ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের। ভ্যান মেকেরেনের করা দ্রুতগতির শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন সৌম্য। দুই চারে ১৪ বলে ১৪ রান করেন তিনি, দলের রান তখন ৪৩। পরের ওভারের প্রথম বলে শান্তকেও হারায় বাংলাদেশ।
এবার সুইপ করতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ দেন শান্ত। ৪ চারে ২০ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। নিজের ইনিংসকে বড় করতে পারেননি লিটন দাসও। ১১ বলে ৯ রান করে ভ্যান বিকের বলে টম কুপারের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দলের বড় ভরসার জায়গাজুড়ে। কিন্তু তাকে ফিরতে হয়েছে ডি লেডের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হয়ে। ৯ বলে ৭ রান করে শারিজের বলে বাউন্ডারি লাইনে লাফিয়ে ধরা ক্যাচে সাজঘরে ফিরতে হয় সাকিবকে।
মাত্র ২০ রানের ভেতর চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এর মধ্যেই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ, যদিও ওভার কমেনি। দলের বিপদ আরও বাড়ে ইয়াসির আলি রাব্বি ফিরলে। এরপর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন নুরুল হাসান সোহান ও আফিফ হোসেন।
দারুণ কিছু বাউন্ডারি হাঁকান আফিফ, মাঝে প্রিঙ্গেল তার ক্যাচও ছাড়েন। ১৮তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ২ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ২৭ বলে ৩৮ রান করেন তিনি।