May 2, 2024, 5:37 pm

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পিন্টু গ্রেপ্তার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Sunday, June 26, 2022
  • 309 Time View

খাস খবর বাংলাদেশ ডেস্কঃ বহুল আলোচিত পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে ১৯৯৪ সালে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাকারিয়া পিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে গতকাল শনিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আজ ২৬ জুন ২০২২ রোজ রোববার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

র‍্যাবের দাবি, জাকারিয়া পিন্টু অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। এ ছাড়া পিন্টু এসব বিষয় স্বীকার করে নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাওয়ার পথে ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বগি লক্ষ করে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ওই ঘটনায় পাবনার ঈশ্বরদীর জিআরপি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়। আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিআইডি ১৯৯৭ সালে সর্বমোট ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

এর মধ্যে পাঁচ জন আসামি মারা যাওয়ায় তাদের ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর বাকি ৪৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৯ সালের ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় বলে জানান র‍্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন।

খন্দকার আল মঈন দাবি করেন, জাকারিয়ার নেতৃত্বে ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ বিভিন্ন অরাজকতা চলতো। প্রথমে ১৯৮৮ সালে ও পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ততায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। সেসব মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি এলাকা ত্যাগ করে ২০০৪ সাল থেকে ঢাকার মিরপুরে বসবাস শুরু করেন। তার পরিবার ঢাকায় থাকলেও তিনি নিয়মিত ঈশ্বরদীতে যাতায়াত করতেন। তিনি ২০১৫ সালে ঈশ্বরদীতে উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং পরাজিত হন।

র‍্যাব আরও জানায়, পিন্টু ১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদীতে চম্পা হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামি। এ ছাড়া ২০০৯ সালে ঈশ্বরদীতে আজম হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কারাবরণ করেন। পরে ২০১১ সালে অস্ত্রসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে কুষ্টিয়া ভেড়ামারা থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় তিনি তিন মাস কারাভোগ করলেও পরে জামিনে মুক্ত হয়ে ফেরারি হন। সে মামলায় আদালত তাঁকে ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ ছাড়া ২০১২, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে আধিপত্য বিস্তার, বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও ধ্বংসাত্বক কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা হয়। এ পর্যন্ত তাঁর নামে একটি মৃত্যুদণ্ড ও একটি ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা পরোয়ানা ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধে ছয়টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সর্বমোট ১৯টি মামলা রয়েছে।

শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102