May 2, 2024, 4:22 pm

৮ নং আজম রোড ইউনিট আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে “আপন” কে চান তৃণমূল

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Saturday, October 23, 2021
  • 2247 Time View

মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ আগামী ২৭ অক্টোবর ২০২১ রোজ বুধবার সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর উত্তর মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ৮ নং আজম রোড ইউনিট আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করবেন। এই কমিটিতে আওয়ামী লীগের নবীন ও প্রবীণদের মধ্যে উঠছে উদ্বেগ। কে হবে ৮ নং আজম রোড ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।তৃণমূল থেকে বার বার নাম উঠে আসছে বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ আসাদুল্লাহ আহমেদ (আপন)।

স্কুল জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের প্রতি একটি ভালোবাসা তার। জানা গেছে, শেখ আসাদুল্লাহ আহমেদ (আপন) পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে।তার পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইমতিয়াজ আহমেদ। তার রাজনৈতিক জীবন ছাত্রলীগ দিয়েই শুরু। সৎ ও যোগ্যতার নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তিনি। কারো বিপদে সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়ে তিনি। ছোট থেকে বড় সকলে পছন্দ করে শেখ আসাদুল্লাহ আহমেদ (আপন)কে।

শেখ আসাদুল্লাহ আহমেদ (আপন) বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে রেখে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে দল-মত নির্বিশেষে ৮ নং আজম রোড ইউনিটকে একটি সুন্দর ও আইকন ইউনিট হিসেবে পরিনতি করতে কাজ করে যাচ্ছেন।বর্তমানে ৮ নং আজম রোড ইউনিট জনগণের মাঝে বিপুল পরিমাণ পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। জনগণ এখন তাকেই ৮ নং আজম রোড ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চাচ্ছে। সম্ভ্যাব্য সকল প্রার্থীদের মধ্যে তৃণমূল আলোচনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ আসাদুল্লাহ আহমেদ (আপন)।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ আসাদুল্লাহ আহমেদ (আপন) জানান, আমি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ করেছি। আমি ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট তেজগাঁও ২০০০ সালে ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে যোগদান করি এর পরে ২০০১-২০০৩ সালে সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক, ২০০৪ সালে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদ, ২০০৫-২০০৮ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং ২০০৯-২০১১ সালে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।

তিনি আরো বলেন, আমার পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইমতিয়াজ আহমেদ একাত্তরের ২ নম্বর সেক্টরের যুদ্ধ করেছিলেন। আমার পিতার গ্রুপ কমান্ডার ছিলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু তিনি এখনো বেঁচে আছেন।

শেখ আসাদুল্লাহ আহমেদ (আপন) বলেন, আমি স্বৈরাচার এরশাদ সরকার পতনের রাজপথে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি। বিএনপির শাসন আমলে সরকার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি। ১৯৯৬ সালে ১৫ই ফেব্রুয়ারি বিএনপির ভোটার বিহীন নির্বাচন প্রতিহত করার কাজে আন্দোলন করেছি।লগিবৈঠা নিয়ে দূর্বার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি। ২০০১ এর পরবতী সময়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রনী ভূমিকা পালন করি। ১/১১ এর তৎকালীন সেনা সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এর প্রচার-প্রচারনায় অনেক বড় ভূমিকা পালন করছি। পৈত্রিক সূত্রে আমি ও আমার পরিবার আওয়ামী লীগ। আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।

সর্বোপরি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও আস্থায় অটুট আছি। আমি পারিবারিক ভাবেই বঙ্গবন্ধুর দু:সাহসিক গল্প শুনে বড় হয়েছি। যার কারণে ছোট থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করি। সবসময় চেষ্টা করি মানুষের উন্নয়নে কিভাবে কাজ করতে পারি সকলকে কিভাবে সন্তুষ্ট রাখতে পারি এজন্যই হয়তো বা সকলে আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চাচ্ছেন। আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি হয়তোবা মানুষের পাশে ছিলাম এইজন্য মানুষ আজকে আমাকে এত সম্মান দেখাচ্ছে। আমি আশা করি যে পদে নির্বাচিত হই আমি আমার পুরোটা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।সবাই আমার জন্য দোয়া রাখবেন।জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102