আগস্ট বাঙালি জাতিকে কাঁদায়, আগস্টে বাঙালি জাতীয়তাবাদ কে হারায়,আগস্ট ধর্ম নিরপেক্ষতার কবর রচনা করেন, আগস্ট জয় বাংলার পরাজয় নির্ধারনের দিন ১৫ আগস্ট ১৯৭৫। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে আমরা স্ব পরিবারে হারিয়েছি। মুক্তি পাগল বাঙালির হৃদয় হরন করেছিলো বিপদগামী কিছু সেনা কর্মকর্তার সহায়তায়। জিয়া মোস্তাকের ষড়যন্ত্রের অংশিদার হয়েছিলেন অনেক আওয়ামীলীগ নেতা। মোস্তাকের মন্ত্রী সভার আনুগত্য আব্দুল মালেক উকিল আওয়ামীলীগের সভাপতি, আসাদুজ্জামান খান সংসদ উপনেতা, মহিউদ্দিন আহম্মেদ সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, ফরিদ গাজী ওয়ার্কিন কমিটি সদস্য। এমএজি ওসমানী কে নৌকা দিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করা হয়েছিল, জিয়ার অবৈধ শাসন বৈধ করার জন্য, এর চেয়ে রঙ্গমঞ্চ আর কি হতে পারে। মোস্তাকের মন্ত্রী সভার পতনের পরে আওয়ামীলীগকে নিয়ে রঙ্গমঞ্চের আয়োজন করা হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে গঙ্গা জলের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। দায়ীত্ব গ্রহন করার পরেও অনেক মির্জাফরের রক্তে ভেজা হাতে নৌকা উঠিয়ে দিতে হয়েছে। সেই দুর্দিনের আলোচনা অপাসঙ্গিক হলেও চতুর্থবার ক্ষমতা ভোগেও পরেও বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগের যোগদানকে বৈধতার ঘোষণা নীতি নির্ধারকদের কাছে অপত্যাশিত।নীতিহীন গুণ্ডার চাইতে দলের একনিষ্ঠ কর্মী অনেক শক্তিশালী। তারা রক্ত দেয়, নৌকা রেখে পালিয়ে যায় না। আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে কোনো গুণ্ডার প্রয়োজন হয় না। বিগত সরকারের আমলা, কামলাদের প্রয়োজন হয় নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন, বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফসল। নৌকার ভোটের জন্য কখনো কোনো গুণ্ডাকে দায়ীত্ব দেওয়া হয় না। কোনো গুণ্ডা নৌকার জয় আটকাতে পারে নাই। তারপরেও যোগদানকে বৈধতা দেওয়াটা আমার বোধগম্য নয়। বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগ যোগ দিয়ে অনেকেই চেয়ারম্যান কাউন্সিলর হয়েছে। লাভজনক অনেক প্রতিষ্ঠান কুক্ষিগত করে আত্নীয় করণ করা হয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় দুই তিন, চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। নিজস্ব মতবাদ সৃষ্টির মাধ্যমে। নির্বাচন আসলেই তাদের আসল রূপ বেরিয়ে আসে,একাধিক প্রার্থী দার করিয়ে নৌকার জয়ের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। নিবেদিত আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা অভিমানে নিরব। প্রতিনিয়ত বলা হয় চাঁদাবাজ সন্ত্রাস ও মাদক কারবারী মুক্ত রাজনীতি জন্য। প্রকৃত রাজনৈতিক চিত্র নেতাদেরকে দেখাতে পারছি না ৪৫ বছর একটি ওয়ার্ড এর দায়ীত্ব পালন করেও। মাদক ও ফুটপাতের চাঁদাবাজ কারা? ৪০ টি টেলিভিশনে একাধিক পত্রিকায় স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করার পরেও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা বটগাছটি কাদের দখলে, সংরক্ষণের ব্যবস্থা হয় নাই। ২১ এর বই মেলায় সর্বাধিক আলোচনার পরেও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানদের ঘুম ভাঙে নাই। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও মজিব আদর্শের রাজনীতির রঙ্গমঞ্চের শেষ কোথায় ? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানা নাই। অপবিত্র হাতে নৌকা দিলে গোলাম মাওলা রনির খনি হতে পারে। শেখ হাসিনার অর্জনের মুল্যায়ন হবে না। শেখ হাসিনার অর্জনের জন্য বাঙালি জাতির উপরে আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।যেই জাতি বাংলার স্বাধীনতা ও তাদের জন্য জাতির পিতা আবিস্কার করে নিতে পারে।খালেদা জিয়ার গুণ্ডারা কি তাকে রক্ষা করতে পেরেছে ? পরাজিত, স্বার্থবাজরা নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারে না।শোকের মাসে এই নিরমোহ সত্য অনুধাবনে ব্যর্থ হলে করার কিছুই থাকে না।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।