নৌকা বিজয়,পাকিস্তানীদের প্রতিহিংসার আগুন জ্বলে, আগুনের লেলিহান বাঙালির অসহযোগ আন্দোলনের কাছে পরাজিত। কোনো হুঙ্কার, কোনো আবদার শেখ মজিবুর রহমানকে টলাতে পারেনি। পাকিস্তানী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রতিরোধ ছিলো চালিকাশক্তি। বঙ্গবন্ধুর একটি আঙুলের ঈশারায় চলে দেশ।
সব কিছু বন্ধ করে দেওয়া হলো, শ্রমিকের মায়নাপত্রের জন্য, শিল্পের মালিকদের হুকুম দেওয়া হলো, ২৮ তারিকে পৌচিয়ে দিতে হবে। রিকশা ঠেলাগাড়ি চলবে, আমার গরিব দুঃখী মানুষের যাতে কষ্ট না হয়। খাজনাপাতি বন্ধ করে দেওয়া হলো, পশ্চিম পাকিস্তানের এক পয়সা চালান হতে না পারে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি কথা মনে পরছে। গনজাগরণের গনঅভ্যুত্থান কাকে বলে ? বিএনপি জানার কথা নয়, জন্ম না হওয়ার কারণে।জামাত মুসলিম লীগ,স্বাধীনতা বিরোধী ৭ মার্চের ভাষনের কম্পন এখনো হৃদয় থেকে মুছতে পারেনি।
আওয়ামীলীগের জন্য হুমকি, শেখ হাসিনার জন্য দাপকি চলে না।বাঙালির সুখ,বিশ্ব শান্তির জন্য ঐক্যের প্রয়োজন, শেখ হাসিনা সেই লক্ষ্য নিয়ে ২০৩১ ও ৪১ সালের পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। দেশের মানুষ গ্রহন করেছেন। দলের ভিতরে কিছু আগাছা, কিছু অপকর্মে হোতা বাছাই করার জন্য এখন সর্বশক্তি নিয়োগ করা হয়েছে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে বিশ্ব শান্তির প্রতিক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে, শান্তিবাহিনীর জন্য। ভারত আইলো, মসজিদ গেলোর রাজনীতির দিন শেষ। হুজুগ চলে না।নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা হবে না,শান্তিপ্রিয় বাঙালি হরতাল অবরোধ অসহযোগ ভুলে গেছে উন্নয়নের জোয়ার দেখে।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি আন্দোলনের সাক্ষী শেখ হাসিনা, তার শিক্ষা রাজনৈতিক পরিবারে, মানুষকে ভালোবাসার প্রতিটি শব্দ হৃদয় দিয়ে ধারণ করেছেন। আমার গরিব যাতে কষ্ট না পায়। এই একটি কথার অর্থ অনুধাবন করে, আশ্রয়ন প্রকল্প, রেশনিং ও ট্রাকসেলে খাদ্য, বিধবা বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধা ভাতার ব্যবস্তা রাখা হয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকারকে পরাজিত করতে চাইলে আর একটা শেখ হাসিনার প্রয়োজন। সজিব ওয়াজেদ জয়, পুতুলের মতো দেশপ্রেমে জাগ্রত সন্তানের প্রয়োজন হবে দেশ শাসনে। লোভ লালশার ভয় দিয়ে জয় হয় না। জয়ের জন্য ত্যাগের প্রয়োজন, ৭ মার্চের দিকনির্দেশনা ছাড়া গনঅভ্যুত্থান,টাইনা ছিড়া ক্ষমতা স্বপ্ন বিলাশ ছাড়া আর কিছু না।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।