বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হতে চায়, সিঙ্গাপুরের দামে সবজি কিনতে চায় নাঃ রবিউল আলম
Reporter Name
Update Time :
Thursday, May 25, 2023
24 Time View
এক সময় পাঁচ আনার সাবানের অভাবে আঠালিয়া মাটি দিয়ে শরিল পরিস্কার করতে দেখেছি। দশ পয়সা দুধ, আট আনায় চাউল, দশ আনায় মাংস, মাছ ছিলো খালে বিলে পুকুরে। মানুষ খাদ্যের অভাবে মরেছে। এক হাজার টাকায় শহরে বাড়ী কিনার সামর্থ ছিলো না। মানুষ এখন চোদ্দশ টাকা কেজি চিংড়ি মাছ,আটশ টাকায় গরুর মাংস খাচ্ছে। লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি টাকা দিয়ে বাড়ী বানাচ্ছে।অথচ ধানমণ্ডি প্লটের মুল্য নির্ধারণ হয়ে ছিলো ছয় হাজার টাকা, ক্ষতিগ্রস্তরা প্লট নেন নাই। একমাত্র লালমিয়া সাহেব একটি প্লট নিয়ে ছিলেন। আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপি বলেন, আমার মেয়ে চারশ পঞ্চাশ টাকা দিয়ে একটা ফুলকপি কিনেছে কেনেডা থেকে। আমার আড়ৎএ দশ টাকায় ফুলকপি বিক্রি হয়। ঢাকার শহরে অধিকাংশ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ১০ টাকার ফুলকপি ৫০ টাকায় বিক্রি হয়, বাঙালির রুচির পরিবর্তন হয়েছে।বড় বড় দোকান থেকে বেশী দামে নিত্যপণ্য না কিনলে সম্মাানে আঘাত লাগে। পনেরো বিশ লক্ষ টাকা খচর করে মানুষ ইউরোপে আমেরিকায় যায়, বাংলাদেশের সচিব শিল্পপতি, জমিদাররা নিজ হাতে বেলচা দিয়ে বরফ পরিস্কার করতে হয়। ষাট টাকায় একটা ডিম কিনতে হয় থাইল্যান্ডে, মাছ মাংস, লাউ কুমড়া, টমেটো বেগুনের দাম আকাশছুঁয়া। ক্রয় ক্ষমতার বিশালতা আছে বলেই মানুষ সেই দেশগুলো বেছে নিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ কী সেই আট আনার চাউলে, আঠালিয়া মাটি দিয়ে শরিল পরিস্কার করতে চায় ? কেনো বুঝতে চায় না ? গরু এখন গোয়ালে নাই,ফার্মে লালন পালন করতে হয়। ধানকাটার জন্য মেশিন আনতে হয়েছে, নৌকা এখন ইঞ্জিনে চলে। বাংলাদেশে আধুনিকতার ছুয়া লেগেছে।এক কেজি পেঁপের দাম আশি টাকা, পিয়াজের কেজি তিরিশ টাকা খেতে চাইলে, ছয়শত টাকার শ্রমিক দিয়ে কৃষক বাঁচবে তো ? পরের বছর দুইশ টাকায় কিনতে হবে, জমিতে পিয়াজ চাষ না হওয়ার কারণে। তবে আশি টাকায় বিক্রির জন্য কৃষক কে দায়ী করা যায় না।কৃষক লাভবান হলে উৎপাদনের মাত্রা অতিরিক্ত হবে, মাছ আম, আলু লাউ কুমড়া এখন বিশ্বকে খাওয়াচ্ছে। পিয়াজ উৎপাদনে লক্ষ্য মাত্রা অর্জনের কাছাকাছি, তিরিশ টাকায় খাওয়া যাবে না, পঞ্চাশ টাকা রাখতে পারলে বিদেশ নির্ভর হতে হবে না,আশি টাকার সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনায় দরিদ্র, হতদরিদ্র মানুষের জন্য টিসিবির মাধ্যমে রেশনিং,শিক্ষার বই বিনেপয়সাতে, বাসস্থানের জন্য ঘর, বিধবা বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধা ভাতা চলছে।
ফকির এখন পান্তা ভাত, বাসি তরকারি নিতে চায় না, গরিব মানুষ খাওয়াতে চাইলে মাদ্রাসা এতিমখানা অথবা মাজারের খাদেমকে তোষামোদ করতে হয়, জানতে চায়, ভাত না পোলাও, মাছ না মাংস। আমাদের শ্রমিক বিদেশে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা বিদেশের শিল্প কারখানা বাংলাদেশে আনছে। পদ্মাসেতু মেট্রোরেল ও গ্যাসের ক্ষনির কাজের অভিজ্ঞতায় বাঙালি এখন বিশ্ব কে তাক লাগাছে। আমাদের বাপেক্সকে সয়ংসম্পুর্ণ বলা যায়। দেশের জন্য টাকার প্রয়োজন, শ্রমের প্রয়োজন, সততা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, নিজেদের অর্থ ভান্ডার কালোটাকা গড়তে চাইলে ? দেশের অর্থ ভান্ডারের কী হবে ? দেশ নিষ্টাবান জনবল ছাড়া গড়ে উঠবে না।
বেগম পাড়া সেকেন্ড হোম সুইজ ব্যাংক এবং মাদক কারবারীদের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে পারলে, মার্কিনিরা বাংলাদেশে আসার জন্য লাইনে থাকবে। আলু পিয়াজ টমেটোর দাম নিয়ে এতো ভাবনার কি আছে ? লেখাপড়া, চিকিৎসা নিয়ে ডাকাতি হচ্ছে। শিক্ষক’রা আন্দোলন করে বেতন নিয়ে, এমপি ভুক্ত হওয়ার জন্যে, ডাক্তাদের আন্দোলন নিজেদের স্বার্থ নিয়ে, ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক আন্দোলন থেকে কেউ মুক্ত নয়। বিরোধী দলে থাকলে দেশে আগুন লাগাতে হবে, সরকারে থাকলে দেশের জন্য মায়াকান্না করতে হবে। বিগত অনেক সরকারকে দেখেছি। উন্নয়নের কোনো উদাহরণ সৃষ্টি করতে দেখিনি, উল্লেখ করার মতো। একমাত্র শেখ হাসিনার সরকার ছাড়া। একটু অপেক্ষা করুন, মাতার বাড়ী গভির সমুদ্র বন্দরের কাজ চলছে,ভোলা বরিশাল, নগর বাড়ী দৌলদীয়া পাটুরিয়া,তিস্তা বাধ করতে পারলেই সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ব্যাংকক,হংকং আমাদের পেছনে থাকবে ইনশাআল্লাহ। ২০২৪ এর নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। বাঙালির জন্য একটি শ্লোগান হউক,বার বার দরকার শেখ হাসিনার সরকার, নষ্ট নেতা, দুষ্ট প্রশাসন বিহীন। লাউ কুমড়া পিয়াজের জন্য গনভবন ও গোপালগঞ্জের উদাহরণ কাজে লাগাতে হবে,দেশে মঙ্গা দুর্ভিক্ষ মুক্ত রাখতে চাইলে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।