মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ রাজধানী মোহাম্মদপুর টাউন হল (কাঁচা বাজার) বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিকী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোট ভোটার ৩১১ জন। তার মধ্যে ভোট প্রদান করেছে ৩০৬ জন। ভোট গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোঃ আকতার হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা হতে বিকাল ৫ টা পযর্ন্ত টাউন হল (কাঁচা বাজার) বণিক সমিতির কার্যালয়ে ৪ টি বুথে উৎসব মূখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতি পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তারা হলেন, মোঃ লুৎফর রহমান বাবুল (বাইসাইকেল প্রতিক) ও মোঃ নান্নু সিকদার (চেয়ার প্রতিক)।
সহ-সভাপতি পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তারা হলেন, মোঃ মজিবুর রহমান শেখ (টেবিল ফ্যান) ও মোঃ মোহন মিয়া সরদার (গোলাপ ফুল)।
সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তারা হলেন, মোঃ শাহজাহান খাঁন (বাঘ প্রতিক), মোঃ মুসলিম উদ্দিন সিকদার (হাতি প্রতিক) ও হাজী মোঃ দেলোয়ার হোসেন (মাছ প্রতিক)।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তারা হলেন, মোঃ মোরশেদ আলম (প্রজাপতি প্রতিক) ও মোঃ নূর নবী ভূঁইয়া (সেলাই মেশিন প্রতিক)
কোষাধ্যক্ষ পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তারা হলেন, মোহাম্মদ আজিম (মই প্রতিক) ও মোঃ গিয়াস উদ্দিন মোল্লা (তালা চাবি প্রতিক)।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তারা হলেন, মোঃ আঃ সাত্তার সওদাগর (উট), মোঃ নিশাদ দেওয়ান (বটগাছ) ও মোহাম্মদ আলী (কলস)।
দপ্তর সম্পাদক পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তারা হলেন, মোঃ মাজাহারুল হক বাবর (মিনার) ও মোঃ শাহা আলম তালুকদার (আলমারি)।
প্রচার/ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তারা হলেন, শ্রী দিপন চন্দ্র পাল (ঢোল), মোঃ জামাল গাজী (ফুটবল) ও মোঃ রফিকুল ইসলাম (বই)।
কার্যকরী সদস্য পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তারা হলেন, মোঃ আতাহার খাঁন (আনারস), মোঃ পারভেজ আলম (আম), মোঃ বাবুল মিয়া (খেজুর গাছ), মোঃ রমজান দেওয়ান (গাভী) ও মোঃ সহিদ মিয়া (রিক্সা)।
সভাপতি পদে মোঃ লুৎফর রহমান বাবুল বাইসাইকেল প্রতিক নিয়ে ২০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ নান্নু সিকদার চেয়ার প্রতিক নিয়ে ১০৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
সহ-সভাপতি পদে মোঃ মোহন মিয়া সরদার গোলাপ ফুল প্রতিক নিয়ে ১৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ মজিবুর রহমান শেখ টেবিল ফ্যান নিয়ে ১৫০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ শাহজাহান খাঁন বাঘ প্রতিক নিয়ে ১৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ মুসলিম উদ্দিন সিকদার হাতি প্রতিক নিয়ে ১০৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন ও হাজী মোঃ দেলোয়ার হোসেন মাছ প্রতিক নিয়ে ৩৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ নূর নবী ভূঁইয়া সেলাই মেশিন নিয়ে ১৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ মোরশেদ আলম প্রজাপতি প্রতিক নিয়ে ১৪০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
কোষাধ্যক্ষ পদে মোহাম্মদ আজিম মই প্রতিক নিয়ে ১৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ গিয়াস উদ্দিন মোল্লা তালা চাবি প্রতিক নিয়ে ১৩৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ আঃ সাত্তার সওদাগর উট প্রতিক নিয়ে ১৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ নিশাদ দেওয়ান বটগাছ প্রতিক নিয়ে ১১৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন এবং মোহাম্মদ আলী কলস প্রতিক নিয়ে ৪১ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
দপ্তর সম্পাদক পদে মোঃ মাজাহারুল হক বাবর মিনার প্রতিক নিয়ে ২১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ শাহা আলম তালুকদার আলমারি প্রতিক নিয়ে ৯২ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
প্রচার/ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোঃ রফিকুল ইসলাম বই প্রতিক নিয়ে ১৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ জামাল গাজী ফুটবল প্রতিক নিয়ে ১০৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হন এবং শ্রী দিপন চন্দ্র পাল ঢোল প্রতিক নিয়ে ৪৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
কার্যকরী সদস্য পদে মোঃ সহিদ মিয়া রিক্সা প্রতিক নিয়ে ১৯৪ ভোট পেয়ে ১ম বিজয়। মোঃ আতাহার খাঁন আনারস প্রতিক নিয়ে ১৬৯ ভোট পেয়ে ২য় বিজয় ও মোঃ বাবুল মিয়া খেজুর গাছ প্রতিক নিয়ে ১৬৬ ভোট পেয়ে ৩য় বিজয় ও মোঃ রমজান দেওয়ান গাভী প্রতিক নিয়ে ১৬১ ভোট পেয়ে পরাজিত হন এবং মোঃ পারভেজ আলম আম প্রতিক নিয়ে ৩০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
এদিকে নির্বাচনের ভোটগ্রহণকে শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোতায়েন করা হয়। এছাড়া গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।