শেখ আসাদুল্লাহ্ আহমেদ (আপন), ষ্টাফ রিপোর্টারঃ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন স্কয়ারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ফুল দিয়ে নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিষয়ক আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ দপ্তর সায়েম খান, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ নূর হোসেনের সংগঠন যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
নূর হোসেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবচেয়ে স্মরণীয় নাম। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগঠিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ বুকে পিঠে লিখে জীবন্ত পোস্টার হয়ে তিনি রাজপথ কাঁপিয়ে আসছেন। চোখে মুখে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ, ঘৃণা। উপস্থিত জনতার ঘোর কাটার আগেই স্বৈরশাসকের তপ্ত বুলেটে লুটিয়ে পরে নূর হোসেন। রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। শহীদ হোন নূর হোসেন।তখন থেকেই নূর হোসেনের বুকে-পিঠে লেখা ছবিটি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে। তার এই আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করেছিল।