বিশ্ব ফুটবল মেলাকে বলা হয় বিশ্বকাপ ফুটবল,কাতার এশিয়ার অর্থনীতির পরাশক্তি হওয়াতে, চ্যাম্পিয়ান টফি এখন এশিয়াতে।বিশ্ব ফুটবলের আবহাওয়াতে বাংলাদেশের পাড়া-মহল্লা, গ্রাম-শহর এমনকি বাড়ী ঘর ও দখল করা হয়েছে। চায়ের দোকানে একজন বয়স্ক মানুষের আহাজারি, বাপুরে ? প্রশ্রাব খানা কোনে ? দোকানদার সোজা যাও, বলতে বলতেই কাপর ভিজে গেলো। চাচা এইটা কি করলা ? আমি কি করমুরে বাপু ! ঐ চিপাটায় গেছিলাম। ছোট ছোট পোলাপাইনে, দেওয়ালে কি জানি করতাছে। কোনো হানে একটু খারাইতে পারলামনা। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বিশ্বকাপ ফুটবল, বাঙালির রাস্তায় মুত্রত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন করে দিয়েছে। ভারতীয়’রা কীভাবে বিশ্বকাপ ফুটবল উপভোগ করবে, আমাদের জানার কথা নয়। তবে আমার ঘরে বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে বিশ্ব যন্ত্রণা হচ্ছে। নতি ব্রাজিল, ঘরের মানুষ আর্জেটিনা। প্রতিদিন জগ্রা লেগেই আছে। আমাকে একটা দলে টানার জন্য একাধিক অফার। চা নাস্তা,মুড়ি পিয়াজু ঘরের মানুষের, নাতির তরফে লজেন্স, কফি, পিজা। নিজের ক্ষমতা না থাকায় বাবাকে বলেছে। আমি বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে, বিশ্বকাপ ফুটবল উপভোগ করবো।নাতি কিছুটা খেপে উঠলো। তোমার বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলে না। কে বলেছে, তুমি আর আমি বিশ্ব টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দেখলাম না ?
ফুটবল তো খেলে না,আমি আবার তাকে বুজিয়ে বলাম একদিন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে, তখনতো তোমাকে বাংলাদেশের পতাকা উড়াইতে হইবো। কিছুটা ভাবতে ভাবতে, তাইলে দাদি ? আরে দাদিরে বাংলাদেশ বানাইয়া লও।
বাংলাদেশের পতাকার সাথে উড়াইয়াদেও। আমরা প্রতিটি বাঙালি বাংলাদেশের পতাকার সাথে সমর্থনের দেশটির পতাকা উড়াইতে পারলে দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন উঠতো না।
নিজের বাড়ীতে আর্জেনটিনা রং ব্রাজিল ফ্রান্স ইটালির পতাকা। রঙ্গিন সাজে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের রাস্তায় রাস্তায়,ক্লাবে অফিসে বড় বড় পর্দা উঠানো হয়েছে ফুটবল নিয়ে।
এতো আনন্দের আমি আনন্দিত।দুঃখ শুধু বাংলাদেশ পতাকা সাথে না দেখার জন্য।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।