মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ ঢাকা মহানগর উত্তর মোহাম্মদপুর থানা এবং থানার অন্তর্গত সকল ওয়ার্ড ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ১২ জুন ২০২২ রোজ রবিবার। থানা ও ওয়ার্ড দলীয় নেতাকর্মীদের আড্ডার বিষয় দলে নতুন কে কে পদ পাচ্ছেন আর কে কে বাদ পড়ছেন। এদিকে সম্মেলন নিয়ে থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগেও বইছে পরিবর্তনের হাওয়া। ঢাকা মহানগর থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগে শীর্ষ পদে আসতে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাপ। মোহাম্মদপুর থানার অন্তর্গত ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আলোচনায় এগিয়ে রয়েছেন, বিশ্ব মানবাধিকার ভিশন (WHRV) এর ঢাকা বিভাগের সভাপতি বিশিষ্টি ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক এবং মোহাম্মদপুর থানার ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সহ-সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী।

সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, মোহাম্মদপুর থানার ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে কেউ কেউ আলোচনায় থাকলেও আদর্শিক নেতৃত্ব হিসেবে পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন, মোহাম্মদপুর থানার ২৯ নং ওয়ার্ডবাসীর অহংকার, সৎ স্বচ্ছ রাজনীতির প্রতীক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার আনুগত্যের নির্ভিক নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ি, সমাজসেবক ও দানশীল ব্যাক্তি, ২০০৪ সালে ২১শে আগষ্ট তৎকালীন বিএনপি জোট সরকারের গ্রেনেট হামলায় আহত, ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সহ-সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী।

মোঃ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী সততা ও নৈতিকতার দৃষ্টান্ত মোহাম্মদপুর থানার ২৯ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণ গর্ব করে। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ সরকার পতনের রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ, ১৯৯৪-১৯৯৬ মার্চ পর্যন্ত স্বৈরাচারীনী খালেদা জিয়ার পতনের লক্ষ্যে হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও কর্মসূচী, অসহযোগ আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে।

মোহাম্মদপুর থানার ২৯ নং ওয়ার্ডবাসী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির নিকট দাবী করেন, আগামী সম্মেলনে যেন ২৯ নং ওয়ার্ডে মোঃ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী কে আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ দিয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মনের আশা পূরণ করেন।

মোহাম্মদপুর থানার ২৯ নং ওয়ার্ডবাসী আরো জানান, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শতাব্দীর মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ করে আসছে মোঃ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী।

মোঃ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী ব্যক্তিগত জীবনঃ বর্তমান স্থায়ী ও ঠিকানা: ২৭/১২, বাবর রোড জহুরী মহল্লা, ব্লক-এফ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭, পিতা-মরহুম নূর মোহাম্মদ, মাতা-মহমা সামারুপ বিবি, জন্ম তারিখ- ৫ মার্চ ১৯৬৫ ইং, ধর্ম-ইসলাম (সুন্নী),জাতীয়তা-বাংলাদেশী, পেশা-ব্যবসা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর-৪৬৩৩২০৫৩০৯ এবং রাজনীতি পরিচয়-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

সাংগঠনিক পরিচয়ঃ (ক) বর্তমান সহ সভাপতি ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, মোহাম্মদপুর থানা, ঢাকা মহানগর উত্তর, (খ) ৪০ বছর যাবৎ সততা ও কর্মনিষ্ঠার সাথে আওয়ামী লীগে আছি । ছাত্রলীগ সদস্য ( ১৯৭৮ ) / ৪২ ওয়ার্ড নং ইউনিট আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক / ৪২ নং সদস্য ( ১৯৯৪ ) / ২০০৪ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়ে ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পদে ২০১৫ পর্যন্ত / সহ-সভাপতি, ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ২০২২ পর্যন্ত দায়িত্বে আছি।

সামাজিক কর্মকান্ডঃ (ক) সভাপতি, বাংলাদেশ মানবাধিকা ভিশন ঢাকা বিভাগ, (খ)সাধারন সম্পাদক কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি ২৯ নং ওয়ার্ড মোহাম্মদপুর থানা, (গ) সমাজ সেবা ও অসহায় নির্যাতিত, অধিকারবঞ্চিত, নিপিড়িত মানুষকে সাহায্য ও আইনি সহায়তা প্রদান করা। শারীরিক প্রতিবন্ধি-বিধবা ও বৃদ্ধি এবং পিতা-মাতাহীন এতিমদের খাওয়া-দাওয়া সহ বাসস্থানের ব্যাবস্থা করা ও অন্যান্য সাহায্য সহযোগিতা করে থাকি এবং (ঘ) মহামারী করোনাকালে দুস্থদের মাঝে হ্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণসহ নানাবিধ সহায়তা করেছি।

পরিবারিক ও রাজনৈতিক পরিচয়ঃ সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর মহান স্বাধীনতা ঘোষণার পূর্বে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ১৯৭১ সালে প্রস্তুতি সভা ও জনসভার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে ভলেন্টিয়ায় কমিটি ঢাকার বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সংগঠনের বৃহত্তর মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এর উপ-প্রধান এর দায়িত্ব পালন করেন আমার পিতা-মরহুম নুর মোহাম্মদ-প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ৯ নং ইউনিট আওয়ামী লীগ বৃহত্তর মোহাম্মদপুর, আগারগাঁও, আদাবর, দারুস সালাম, লালমাটিয়া ও হাজারিবাগ। মোহাম্মদপুরে থানা আওয়ামী লীগ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি থাকাকালীন অবস্থায় আমার পিতা নুর মোহাম্মদ পরলোক গমন করেন। আমরা ৬ ভাই ১ বোন; পরিবারের সকল সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত। আমি বর্তমানে দুই সন্তানের জনক। আমার কন্যা, জেসমিন আবেদীন (এমএ, ইংরেজী); সাবেক ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা, মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগ, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি-আশা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদালয় ছাত্রলীগ। বর্তমানে ছাত্রী বিষয়ক উপ-সম্পাদিকা-ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর।

রাজনৈতিক সংগ্রাম ও কর্মকান্ডঃ ১৯৯০ – এ বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে জনতার মঞ্চে ও আন্দোলনরত অবস্থায় একবার গ্রেফতার হই , ১৯৯৬ এ আমাদের ( ৪২ ) বর্তমান ২৯ নং ওয়ার্ডের রিং রোড , বিজলী মহল্লার বাড়ী-ঘর বিএনপি-জামাত-শিবির আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় । ১৯৯৬ এর ১ লা মার্চ বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের পুড়ে যাওয়া বাড়ীতে এসে সান্ত্বনা দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেন। সফরসঙ্গী হয়ে আসেন বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও বর্তমান ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি তৎকালীন মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক শেখ বজলুর রহমান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ( সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক , দৈনিক দিনকাল ও অন্যান্য পত্রিকা , ২ রা মার্চ ) । ১৯৯৬ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হয় । ২০০১ – এ বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৪ – এ ১৫ ই ফেব্রুয়ারী অবৈধ নির্বাচন বাঞ্চাল করার সময় একবার গ্রেফতার হই , ২০০৪ – এ ২৫ শে এপ্রিল আবার গ্রেফতার হই ।মোহাম্মদপুর থানা বর্তমান ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর নেতৃত্বে ২১ শে আগষ্ট ২০০৪ – এ আহসান উল্লাহ মাষ্টার এর শোক সভায় অংশগ্রহণ করার সময় তৎকালীন বিএনপি জোট সরকারের গ্রেনেড হামলায় আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হয় । আমি সহ অনেক নেতাকর্মী আহত হই । ২০০৫ নভেম্বরে বিএনপি সরকার ভুয়া ভোটার লিস্ট করার সময় বাধা দিয়ে প্রতিহত করি । ১/১১ এর সময়ে জিরো পয়েন্টে লগি-বৈঠা মিছিল ও আন্দোলনে তৎকালীন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও শেখ বজলুর রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি । অতঃপর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হওয়ার পর শেখ বজলুর রহমানের নেতৃত্বে তৃণমূল মাঠকর্মীদের নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত জেলগেইটে পাহারারত থাকি । রাজনীতিতে অকৃতজ্ঞ ও অনুপ্রবেশকারীদের কারণে উচ্চপদে পদোন্নতি পেতে বাধাগ্রস্থ হই । দুর্বৃত্তদের কাছে প্রকৃত আওয়ামী লীগের  ত্যাগী নেতা কর্মীদের অবমাননা দেখেছি , দেখছি টাকার কাছে পদবি কেনা – বেচা হতে । কিন্তু আমি সর্বদা আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমার তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি এবং থাকব । টাকায় নয়,  সত্য ও জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে যেনো যোগ্যতা নির্ধারণ নিশ্চিত করা হয় ।

২০২২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের জাতীয় সভা সমাবেশ ও সকল কর্মকান্ডের সাথে বিভিন্ন সময় কর্মীদের নিয়ে উপস্থিত আছি । আগামীতেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আওয়ামী লীগের সাথে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ ।

মোঃ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকাকে জানান, সম্মেলনে আমি তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতি প্রার্থী। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম এখনো আছি। দল আমাকে ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ দিয়ে মূল‍্যায়ন করলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে চেষ্টা করব।