রেজওয়ানুল ইসলাম বাপ্পিঃ
ঝিনাইদহের ইসলামী ব্যাংকে চাকরির আড়ালে আবু সাঈদ নামের এক কর্মকর্তা সরাসরি চালিয়ে যাচ্ছেন সুদের কারবার। অনেক তথ্যপ্রমাণ থাকার পরেও ইসলামী ব্যাংকের মতো একটি বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থাপক উল্টো তাঁর পক্ষে কথা বলছেন বলে জানান, ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি। ব্যাংকের ম্যানেজার নেননি কোন আইনগত পদক্ষেপ। উল্টো সাইদ সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারা ব্যাক্তিদের স্টাম্প ও চেকের মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন নিয়মিত। এতে করে জনসাধারণের মাঝে বইছে সমালোচনার ঝড়।
বিভিন্ন অনুসন্ধানে জানা যায় সুদের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে ব্যাবসায়ী থেকে শুরু করে চাকরিজীবী। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।
বিভিন্ন অনুসন্ধানে তথ্য নিয়ে জানা গেছে,ব্যাংক কর্মকর্তা সাইদ অনককেই টাকা ধার দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ব্যবসায়িক পার্টনার বানাই। পরবর্তীতে তাদের কাছে টাকা বিনিয়োগ করে গ্রহণ করে মোটা অংকের মুনাফা। জানা যায় সাইদ তার ব্যাবসায়িক পার্টানের লাভ হোক লস হোক সেদিক তার কোন মাথাব্যথা নেই তার সুদের টাকা দেওয়াই লাগবে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংকে এসবিএস শাখায় চাকরির কারণে অনেক ঋণখেলাপীদের চড়া সুদে টাকা দিয়ে থাকেন এই আবু সাইদ।
হাফিজ নামের এক কলা ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, সাইদ অনেকের ব্ল্যাকমেইল করে শহরের প্রভাবশালী ভাড়াটিয়া মস্তান ম্যানেজ করে। টাকা ধার দেওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে জোরপূর্বক একাধিক খোলা স্টাম ব্লাঙ্ক চেক আদায় করে নেন। সাইদ আমি এবং আমার স্ত্রীর কাছ থেকে জোরপূর্বক একাধিক চেক আদায় করে নিয়েছে।
পরবর্তীতে সাইদ সে এসব চেক স্ট্যাম্প দিয়ে মামলা করে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
সাইদের হাত থেকে বাদ যায়নি বড় পুলিশ কর্মকর্তারাও বলে জানান ভুক্তভোগী হাফিজ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গোয়ালপাড়া বাজারের মিলন নামের এক ব্যাবসায়িক ৩ লাখ টাকা সাইদের কাছ থেকে ধার নিয়ে পরে সুদে আসলে ৭ লাখ টাকা দিয়ে রক্ষা পান।
এ বিষয়ে আবু সাইদ জানান, আমি অনেককে ব্যাংকের লোন এবং টাকা ধার দিয়ে উপকার করি। এজন্য রাগ-ক্ষোভে এরকম কথা বলতে পারেন তাঁরা। আমি এধরণের কাজের সঙ্গে জড়িত না।
ঝিনাইদহ ইসলামি ব্যাংকের ম্যানেজার আবুল হোসেন জানান, বিষয়টি সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত ব্যাপার অনেকের সাথে তার ব্যাক্তিগত লেনদেন থাকতে পারে এই বিষয়ে ব্যাংক কোন ব্যবস্থা নেবে না।