May 7, 2024, 5:47 am
শিরোনামঃ
চোখের জ্বলে রাজনীতি হয় না,ফুটপাতে চাদাবাজ হতে মনে হয় ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হলেন মোঃ আরিফুল ইসলাম শামিম কালুখালী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সভাপতি লুৎফর, সম্পাদক এ্যাড. রুমা বরিশালে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম, গুলিবিদ্ধ-১ পর্ব ১০২: “যে ইতিহাসটি বলা দরকার” : এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজা দেশে উদ্ভাবন হলো ‘ডায়াবেটিক চাল’ রাজবাড়ীর পাংশায় বাস – ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ১১ জন ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিলো তুরস্ক পদোন্নতি পেলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেই মানবিক জহির ধারাবাহিকভাবে মোহাম্মদপুরে তীব্র তাপদাহে পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ

আমাদের সমস্যা যতটা না কভিড মহামারী তার চেয়েও বড় কভিড বানিজ্য

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Monday, July 5, 2021
  • 639 Time View

আঃ রহমান শাহঃ আমি কোনো চিকিৎসক নই একজন আমজনতা। তবে চিকিৎসা গ্রহন, চিকিৎসা সেবা প্রদান, কমিউনিটি হেল্থ, কমিউনিকেটিভ ডিজিজ গবেষণার একজন খুদ্র কর্মী, এক সময় একটি আন্তর্জাতিক মেডিকেল রিচার্চ টিমের একজন ক্ষুদ্র কর্মী ছিলাম, ডিজেষ্টার ও মহামারী রেসকিউ, রিকভারি ও রিলিফ ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাও সামান্য আছে। দক্ষিণ অঞ্চলে জন্ম তাই এ সবের সাথে আজন্ম পরিচিত।

বর্তমান সময়ে রাজনীতি, সমাজ কর্ম, রিলিফ নিয়ে প্রায় সারাদিনই ব্যাস্ত সময় কাটাতে হয়। মধ্যবিত্য, পেনসন ভোগী সা পোষা মানুষ তাই ব্যায় বহুল চিকিৎসার কথা চিন্তাও করতে পারি না। এমনিতেই নুন আনতে পানতা ফুরায়, তাই নিজে ও পরিবারের সবাইকে সাবধান রাখার চেষ্ট করি। প্রতিদিনই বাইরে যেতে হয়, সবধরনের লোকের সাথে মিশতে হয়। তাই আমি Prevalence কে বেশী গুরুত্ব দেই। বাহীরে যতক্ষন থাকি সাধানে থাকি আর নিম্নের কাজগুলো যত্নসহকারে করি তাই এখোনো ভাল আছি। ধন্যবাদ সৃষ্টি কর্তাকে, লাখো লাখো শুকরিয়া।

Stay Home, Stay Safe, Use Musk, Use hand sanitiser, wash dress, Avoid Rush, Jum।#করোনার_২য়_ও_৩য়_প্রবাহ_চলছে। সবাইকে টিকা নিতে হবে, সাবধান থাকতে হবে।

টিকা শরীরে রোগ প্রতিরোধ গড়ে তোলতে সময় নেয়।

তাই টিকা নেয়ার পরও ১০০% স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হয়। বিশেষ করে নিশ্বাস প্রশ্বাসে খুব বেশী ছড়ায় তাই মূখোশ, স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াস ব্যাবহার অব্যাহত রাখতে হবে। যখন চোখ, মূখ চুলকায়, নাকে বির বির করে জ্বালা পোরা করে, ঘন ঘন হাচি, কাশি হয় তখনই নজাল ড্রপ দিয়ে নাক ওয়াস করুন। বাজারে নাক ও চোখের জন্য কমন ড্রপ পাওয়া যায় তা চোখে, নাকে দিয়ে নিরাপদ থাকুন। যদি তা না পারেন তবে ২% পরিস্কার ফিটকিরির পানি পকেটে রাখুন যখন দরকার তখন ব্যাবহার করুন আপনার হাত, মূখ, নাক, চোখ করোনা মূক্ত রাখুন। নিজে ভালো থাকুন সবাইকে ভালো রাখুন। কাঁচা হলুদ ও জাম রক্তের সংক্রমন প্রতিরোধ করে। এ ছারা ৫০ গ্রাম করে পিপারমেন্ট, কর্পুর, ফিটকিরি, শোহাগা গুড়া করে ঘ্রান নিলে শাস কষ্ট কমে, পেষ্টের সাথে মিলিয়ে দাত ও গলা পরিস্কার করলে মূখ, গলা ও ফুসফুসের সংক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। প্রতিনয়ত আমি এটা প্রাকটিস করি তাই আপনারাও ভালো মনে হলে করতে পারেন। এর পরও যদি ভালো না হয় তবে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন।

আমাদের সল্প আায়ের দেশ, মানুষ দিন আনে দিন খায়। ৫% অতি ধনী আর ১০% ধনী উচ্চবিত্ত লোক বাদ দিলে বাকি সবাই সিজন কামলা, মাস কামলা, দৈনিক কামলা। কারো তেমন ব্যাপক জমা টাকা থাকে না বা থাকার কথাও না। কাপর ছোটো তাই পা ঢাকলে মাথা উদাম হয়, মাথা ঢাকলে পা উদাম হয়। আমাদের দরকার সাধ্যের মধ্যে, সমর্থের মধ্যে চিকিৎসা সেবা পাওয়া, প্রতিরোধ ব্যাবস্থা জোরদার করা, যাতে রোগ ছড়াতে না পারে। আমরা সুরুতে ভুল করলাম ইউরোপ, ইতালি, আমেরিকা, মধ্য প্রাচ্য থেকে  আশা প্রবাসীদের কোরান্টাইন ব্যাবস্থা ছাড়া ঘন বসতির দেশে রোগ ছড়াতে দিয়ে, তার পর  মার্চে জখন স্বচেতন হলাম তখন সারা বিশ্বে মহামারী ভয়ংকর রূপ নিলো, বাইরের বা আন্তর্জাতিক কোন সাহায্য পেলাম না, সবাই তখন ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি করছে। যখন চীনের সিনোভ্যাক, মডর্না, ফাইজার, এমনকি স্বাগতিক গ্লোভ হেল্থ কেয়ার, আইসিডিডিআরবি ভ্যাকসিন গবেষণা ও তৈরীর কাজ শুরু করলো তখন তাদেরকে সহযোগীতা না করে অর্ধেক পথে থামিয়ে দিলাম। আমরা সস্তায় এষ্ট্রজেনেকার, অক্সফোর্ডের ভেকসিন আমদানী করবো তাও আবার একটা বিশেষ কোম্পানি এবং বিশেষ দেশের উপর ১০০% ভরসা করলাম, আমরা তখন আরো দু একটা কোম্পানিকে অন্য দেশ ও অন্য কোম্পানির ভ্যাকসিন দেশে তৈরী ও সরবরাহের অনুমতি দিলাম না। এখন সবই লেজে গোবরে মেখে গেলো। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর এত আন্তরিকতা, এত আপ্রান সদিচ্ছা নিয়া আমরা বানিজ্য করলাম এটা কোনো বুদ্ধিমান, সত, ভালো লোকের কাজ না।

যার করোনা হয় সে বুঝে আর যার পরিবারের প্রধান মারা যায়, যে মা সন্তান হারা হয় সে বুঝে করোনা তাকে কত জুগের ক্রন্দন বয়ে আনে। আমরা প্রথম করোনার নামে হাজার কোটি টাকার বানিজ্যের ফাদে পা দিলাম। মাঠে ময়দানে জরুরী হাস্পাতাল তেরী করলাম, এ করতে করতেই আমরা বহু জননেতা, এমপি, মন্ত্রী, শিল্পপতি, বিজ্ঞ, প্রাজ্ঞ, বুদ্ধিজীবি, ডাক্তার, সেনা সদস্য, পুলিশ, নার্স, ইন্টারনি ডাক্তার, সাধারন মানুষের প্রান হারালাম। লকডাউন, হোম কোরান্টাইন, ও প্রাথমিক চিকিৎসায় যারা ভালো হলো বা করোনা থেকে বেঁচে গেলো তারাও সম্বল, সম্পদ, ঘটিবাটি হারালো। আমরা গর্ভকরে নানা সাফল্যের কথা প্রচারও করলাম। কিন্তু দেশ করোনা মুক্ত না হতেই আমরা সব রসি ঢিলা করে বর্ডারে অবাদ যাতায়ত শুরু করে দিয়ে আবার আধমরা সাপকে দম নিয়ে অধিক শক্তিতে দেশে ডুকতে দিলাম, মাস্ক, সেনিটাইজার, শতর্কতা, পরীক্ষা, নীরিক্ষা, সেবা, চিকিৎসা সবই ঢিলা দিয়ে যেন ক্লান্ত অবসন্য দেহ অবসদ, অবসরে বিশ্রামে চলে গেলাম, যদিও করোনাকে আমরা ছেড়ে দিলাম করোনা আমাদের ছাড়লো না। এখন কোনো এলাকায় ৮০%, কোনো এলাকায় ৫০% লোক হয় কেরিয়ার না হয় ভুক্তভোগি, দিনে দিনে মৃত্যুর রেকর্ড ভাঙ্গা। আর কিছু লোকের নতুন বানিজ্য সুযোগ করে দেয়া, আর নতুন কিছু মৃত্যুর শারিতে যোগদিয়ে বিশ্বরেকর্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়া। শেষ ভালো যার তার সব ভালো, শুরু করলাম ভালো করে কিন্তু শেষ ভাল হলো না তাহলেত হেরেই গেলাম। যা সহজ ছিলো তা জটিল হলো, এরি নাম ম্যানেজমেন্ট লস, সিষ্টেম লস। এতখন শীবের গীত গাইলাম এবার আসল কথায় আশি। আমরা শুধু মাস্ক ব্যাবহার, করোনা পরীক্ষা, টিকা নেয়া, হাত মূখ ধোয়া, নাক, চোখ, মূখকে করোনা মুক্ত করার প্রচেষ্টা বাধ্যতা মূলক করতে পারলে শুধু করোনা নয় সকল প্রকার সংক্রমন থেকে মুক্ত তাকতে পারতাম, এর জন্য দরকার ছিলো ব্যাপক প্রচার, মোটিভশন, আর যথসামান্য ঔষধ পত্র। আমাদের প্লানারদের কিছু ঘোড়া রোগ আছে তারা লাকসই, টেকসই, মানুষের সাধ্য সীমার খবর রাখে না। শুরুতে ঢাকঢোল পিটিয়ে দেশ জাতি উদ্ধার করে পরে কমিশন বানিজ্য করে বেলুনের মত চুপশে যয়।

আমরা এখোনোকি ভয়াবহ মহামারী নিয়ে তামাসা করব না কঠিন ভাবে মোকাবেলা করব তা আবার নতুন করে ভাবতে হবে।

লেখকঃ রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আঃ রহমান শাহ

শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102