মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শহীদ মতিউর রহমানের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বকশীবাজারস্থ নবকুমার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ কৃষক লীগের পক্ষ থেকে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক মোঃ হালিম খান, শেরে -বাংলা নগর থানা কৃষক লীগের সংগ্রামী সভাপতি মোঃ কামাল পাশা সহ কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্যঃ পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের এই দিনে সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে নিহত হন নবকুমার ইনস্টিটিউশনের নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান। জনতার রুদ্ররোষ এবং গণ-অভ্যুত্থানের জোয়ারে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সবাইকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পতন ঘটে আইয়ুবের স্বৈরতন্ত্রের। অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তাই ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান আজও দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।
১৯৬৯-এর ৪ জানুয়ারি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা কর্মসূচি গণ-অভ্যুত্থানের পথ সৃষ্টি করেছিল। ২০ জানুয়ারি শহিদ আসাদের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে সারা দেশে আন্দোলনের আগুন জ্বলে ওঠে। আর শহিদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়েছিল এই দিনে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান এক তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, পরবর্তীতে ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়েই রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি অর্জন করে মহান স্বাধীনতা।