May 19, 2024, 4:33 pm
শিরোনামঃ
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মৎস্যজীবী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা বিচার ব্যবস্তার সুচনার ইতিহাস জানিনা, বিতর্কের শেষ কোথায় ? বুঝতে পারছি না বঙ্গ কণ্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বাংলার মাটি কে বুকে ধারন, ইতিহাসের অংশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পাঠাগারের কমিটি গঠন জহির সভাপতি ও লিটন সাধারণ সম্পাদক গাজায় নিজেদের গোলার আঘাতে পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত তালের শাঁস খেলে যেসব উপকার হয় ঢাকা শহরে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না: ওবায়দুল কাদের বিশ্বাস পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বাংলাদেশ সফর করছি: ডোনাল্ড লু ভারতবর্ষে হিন্দু মুসলমানের রাজনীতি হয়,মহাত্মা গান্ধী সকল ধর্মের রাজনীতি নাই গুলিস্তান-মিরপুরের কাপড় পাকিস্তানের বলে বিক্রি করেন তনি!

প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উদযাপন করলেন (WHRV) ঢাকা বিভাগ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Tuesday, September 28, 2021
  • 261 Time View

মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ রাজধানী মোহাম্মদপুর বিশ্ব মানবাধিকার ভিশন (WHRV) ঢাকা বিভাগের কার্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোজ মঙ্গলবার বাদমাগরিব অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব মানবাধিকার ভিশন (WHRV) ঢাকা বিভাগের সভাপতি বিশিষ্টি ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক এবং রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সহ-সভাপতি, মানুষ গড়ার কারিগর মোঃ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব মানবাধিকার ভিশন (WHRV) এর ঢাকা বিভাগের সহ-সভাপতি ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব দিল মোহাম্মদ দিলু, বিশ্ব মানবাধিকার ভিশন (WHRV) এর ঢাকা বিভাগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব রিয়াজউদ্দিন খান (সম্ভু), ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিল্পী আহমেদ, সহ-সভাপতি মোছাঃ সাফিয়া খাতুন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুর নাহার বেগম, বিশ্ব মানবাধিকার ভিশন (WHRV) আদাবর থানার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রাজনীতিবিদ আব্দুল কাদির (বড় বাড়ি) এবং সাধারণ সম্পাদক আমিনা বেগম তামান্না’ সহ ঢাকা বিভাগ ও বিভিন্ন থানার নেতৃবৃন্দ।

বিশ্ব মানবাধিকার ভিশন (WHRV) ঢাকা বিভাগের সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করে তার জীবন, কর্ম ও অবদানের উপর কৃতির উজ্জ্বল উদাহরণ তুলে ধরেন।

মোঃ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা অত্যন্ত সাহসী, মানবিক গুণাবলীতে ভরপুর, দেশের স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রেখে কঠোর পরিশ্রম করেন।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বিএনপি জামায়াত  যখন সারাদেশে বোমা ও গ্রেনেড হামলার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে একটি ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করেছিলো, বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করেছিলো, দুর্নীতিতে বার বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো ঠিক সেই সময়ে আলোকবর্তিকা হয়ে  বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন। দায়িত্ব গ্রহন করেই তিনি একের পর এক ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়।

মোঃ জয়নাল আবেদীন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন শেখ হাসিনার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জনকারী শেখ হাসিনা তৎকালীন ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা ছিলেন।

১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলীয় প্রধানের দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এরপর থেকে ৩৭ বছর ধরে নিজ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক রাজনীতির মূল স্রোতধারার প্রধান নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও অন্য রাজনৈতিক জোট-দলগুলো ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বিজয়ী হয়।

১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই তৎকালীন বিএনপি সরকারের পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিজয় অর্জন করে আওয়ামী লীগ। গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় প্রধান বিরোধী দলের নেতা হিসেবে তার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে প্রথমে ১৪ দলীয় জোট এবং পরে মহাজোট গড়ে ওঠে। ১৪ দল ও মহাজোটের তীব্র আন্দোলনের মুখে অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২২ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারি করে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে ওই বছরের ১৬ জুলাই অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয় শেখ হাসিনাকে। ওই সময় সংসদ ভবন চত্বরের বিশেষ কারাগারে দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস বন্দি ছিলেন তিনি। গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে এর আগেও কয়েক দফা গৃহবন্দিত্ব কেটেছে তার।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এই পর্যন্ত চার মেয়াদে ক্ষমতাসীন হয়েছে। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছর পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটি। ওই বছরের ১২ জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে ২৩ জুন সরকার গঠন করে তারা।

এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে চার-তৃতীয়াংশ আসনে বিশাল বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠিত হয়। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। ২০১৪ এর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ের পর ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয় এবং ২০১৮ এর নির্বাচনে বিজয়ের পর টানা তৃতীয় মেয়াদের তার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছে। এছাড়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম এবং ২০০১ সালের অষ্টম সংসদে অর্থাৎ মোট তিন দফা বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শেখ হাসিনা।

গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে অসামান্য অবদান রাখার পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনায়ও ব্যাপক সাফল্যের পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ১৯৯৬-২০০১ সালে তার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি ও গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি তার সরকারের অন্যতম সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বর্তমানে তার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ও মধ্যম আয়ের আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরণে নিয়োজিত আছে।

এই অঞ্চলে গণতন্ত্র, শান্তি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারী শিক্ষার বিস্তার, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস ও দারিদ্র্য বিমোচনের সংগ্রামে অসামান্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে দেশি-বিদেশি বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। এর মধ্যে সাউথ-সাউথ ভিশনারি পুরস্কার-২০১৪, শান্তি বৃক্ষ-২০১৪, জাতিসংঘ পুরস্কার-২০১৩ ও ২০১০, রোটারি শান্তি পুরস্কার-২০১৩, গোভি পুরস্কার-২০১২, সাউথ-সাউথ পুরস্কার-২০১১, ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার-২০১০, পার্ল এস. বার্ক পুরস্কার-২০০০, সিইআরইএস মেডাল-১৯৯৯, এম কে গান্ধী পুরস্কার-১৯৯৮, মাদার তেরেসা শান্তি পুরস্কার-১৯৯৮, ইউনেস্কোর ফেলিক্স হোফুয়েট-বোয়েগনি শান্তি পুরস্কার-১৯৯৮ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, পরিবেশ সংরক্ষণে অসামান্য অবদানের জন্য জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ এবং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন শেখ হাসিনা।

আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102