বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি যেকোনো সময়ের থেকে ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করেছে।শহরের থেকে গ্রামে ও এর প্রভাব ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।অক্সিজেন সসরবরাহের অভাবে প্রতিদিন মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। কঠোর ও কঠিন লকডাউন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না।এই মুহূর্তে জনগনকে বাঁচাতে হলে পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন ও খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই।
৬ জুলাই,২০২১ মঙ্গলবার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তজা এবং মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। তারা বলেন, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে, এই মুহূর্তে বড় বড় মেগা প্রজেক্টের অর্থ দিয়ে গন ভ্যাক্সিন ও গন রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।মাঠে সেনাবাহিনী রয়েছে, তাদের নেতৃত্বেই ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন , হজ্ব ফরজ তারপর ও সৌদি সরকার করোনার ভয়াবহতার কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদিতে আসার ও হজ্ব করার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে।সেখানে কোরবানীকে সামনে রেখে কোরবানির পশুর হাট কতটা প্রয়োজন, এ বিষয়ে রাষ্ট্রকে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে।সারাদেশে কোরবানির পশুর হাট বন্ধ রেখে, ডিজিটাল পশুর হাটের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা এখন সময়ের দাবি বলে এনডিপি মনে করে।এতে সাধারণ মানুষ যেন প্রতারিত না হয়, সে বিষয়ে সরকারের পশু মন্ত্রণালয় মধ্যস্থ হয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে অনলাইনে সেতু বন্ধন করতে পারে কিংবা সারাদেশে যারা খামারে পশু পালন করেছেন, যে সমস্থ খামারির স্ব স্ব জেলার পশু সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে ক্রয় করে, টিসিবির বিকল্প পদ্ধতিতে ভোক্তাদের কাছে কোরবানির জবেহ সহ ভোক্তাদের কাছে পৌছে দিতে পারে।এই পদ্ধতি গ্রহণ করলে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বাড়বে, অন্যদিকে পরিকল্পিত কোরবানির মাধ্যমে চামড়া সংরক্ষণ ও বর্জ্য নিষ্কাশন সহজ হবে। মহল্লায় মহল্লায় সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে গনসচেতনতা সৃষ্টি করা এবং যারা সত্যিকারের দরিদ্র তাদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে এই করোনার সর্বোচ্চ মোকাবিলা হতে পারে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকারের পাশাপাশি দেশের রাজনীতিবিদ, বিত্তশালী ও সকল শ্রেণি পেশার মানুষ কাদা ছোড়াছুড়ি না করে সমন্বয় করে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহন করা এখন সময়ের দাবি।