মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেছেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরের মত পতিত স্বৈরশাসক মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদেরকেও দলীয়করণ করেছিলো। অথচ, এই মহান মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা সম্মুখ যুদ্ধ করেননি। বরং বাঙালী জাতিকে বিপদে ফেলে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলো।
আজ ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ রোজ শনিবার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানী রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুস সালাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ফায়দা লুটেছে। অথচ, মুক্তিযুদ্ধের যে মূল উদ্দেশ্য বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সেইগুলোকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। এরা স্বাধীনতার পরও অসংখ্য দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারকেও রাজাকার বলার মত দুঃসাহস দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই জাতিকে বিপদে ফেলে পালিয়ে যায়। আসলে শেখ হাসিনার দেশের জনগণের প্রতি কোনো মায়া নেই, এমনকি তার পিতার প্রতিও নেই। যদি থাকতো তাহলে যখন তার বাবাকে হত্যা করা হলো তখন বাবার লাশটি পর্যন্ত দেখতে আসেননি তিনি। যে মানুষকে ভালবাসে না তার কাছে দেশ নিরাপদ নয়।
এসময় ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী ইউসুফ, সদস্য আহমেদ আলী, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক শুক্কুর মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক এনায়েতুল হাফিজ (এনায়েত), অ্যাডভোকেট সারোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান ইসহাক, মোঃ চৌধুরী বক্সী, ২৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ আমির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন, ৩১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শহীদ আলী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন সপ্ন, ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ বেলাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল বাশার সোহেল মোল্লা, ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শেখ মো জহিরুল ইসলাম অপু, ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মাসুম খান রাজেশ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওসমান রেজা সহ থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।