নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে নাটোর শহরের হরিশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিএনপির কর্মী রহমত তাদের কাছে ১২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এই টাকা না দেওয়ায় তাদের ওপর হামলা চালান তিনি ও তার দল। তবে রহমত ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জমি কেনাবেচার জন্য আওয়ামী লীগের মিঠুর কাছে তিনি দুই লাখ দশ হাজার টাকা পেতেন। সে টাকা দাবি করলে তারা উল্টাপাল্টা কথা বলেন।
রহমত আরো বলেন, এ সময় তারা হামলা চালালে ইসমাইল ও ইব্রাহীম নামের দুই বিএনপি কর্মী আহত হন। তাদের নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে মিঠুকে স্থানীয়ভাবে বসে মীমাংসার প্রস্তাব দিলেও তিনি শুনেননি। অপরদিকে মিঠু জানান, তার চাচা আমজাদ হোসেন রহমতের কাছে জমি বিক্রি করার জন্য বায়না করেন। কিন্তু তিনি জমি না নিয়ে বায়নার টাকা ফেরত নেন। এরপর মিঠু ওই জমি কিনেন এবং প্লট আকারে বিক্রি করে কিছু টাকা লাভ করেন।
সরকার পরিবর্তনের পরে ওই লাভের টাকার জন্য তিনি চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের বাড়িতে এসে হামলা করেন। এ সময় তাদের এলো পাথাড়ি কিল ঘুষিতে তিনি ও তার ভাই খাদেমুল গুরুতর আহত হন। এ বিষয়ে মিঠুর চাচা বলেন, ‘রহমত ও তার লোকজন আমাদের বাড়িঘরে হামলা করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমরা বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানিয়েছি।
সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে দেখে ফিরে গেছেন। আমরা থানায় যেতে পারছি না, কারণ রাস্তায় রহমতের অনুসারীরা দলবল নিয়ে বসে আছেন। আমরা সরকারের কাছে নিজেদের নিরাপত্তার দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম সদস্য সচিব দেওয়ান শাহীন বলেন, আমরা পূজার বিষয় নিয়ে ব্যস্ত আছি। বিএনপির কেউ অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, তারা কোনো অভিযোগ পাননি। তবে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ অবশ্যই পদক্ষেপ নেবে।