মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদকে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু।
সোমবার (২৬ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ অভিনন্দন জানান।
শফিকুল ইসলাম সেন্টু লেখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে অভিনন্দন। আইইউবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে, আমার ছেলে তার মতো একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ পেয়ে নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান মনে করে। তার নেতৃত্ব ও দক্ষতা নিঃসন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
উল্লেখ্যঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেতে চলেছেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তাকে নিয়োগের বিষয়ে আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সম্মতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান পড়া নিয়াজ আহমেদ খান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েলস সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা করেছেন।
ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগে শিক্ষকতা ছাড়াও তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের একাডেমিক অ্যাডভাইজার হিসেবে দোয়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভের দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় তার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম উপাচার্য নিয়োগ পান। তিনি আগের দুই মেয়াদের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের স্থলাভিষিক্ত হন।
উপাচার্য হওয়ার আগে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ১০ আগস্ট তিনি পদত্যাগ করেন।