মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ, তিন রাস্তা মোড়সহ ঢাকা উদ্যান ও রায়েরবাজার এলাকায় ছিনতাই রোধে সিসিটিভি এবং ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করবে থানা পুলিশ। এছাড়াও বেড়িবাঁধের যানজট রোধে কমিউনিটি পুলিশের ১৫ জন করে স্বেচ্ছাসেবক পুলিশের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকালে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়ে ছিনতাই ও যানজট রোধে কমিউনিটি পুলিশের স্বেচ্ছাসেবীদের হাতে বাঁশি তুলে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডিএমপির মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডিএমপির মোহাম্মদপুর জোনে সহকারী পুলিশ কমিশনার (পেট্রোল), মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞা, পরিদর্শক (তদন্ত) তোফাজ্জল হোসেন, পরিদর্শক (অপারেশন) সবুজ রহমান।
আরও উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোহাম্মদ রেজাউল রায়ের বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোঃ নাজমুল।
উদ্বোধন শেষে সহকারী কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, মোহাম্মদপুরের সবেচেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে বেড়িবাঁধ তিন রাস্তার মোড়। এখান দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আসা যাওয়ার জন্য গাড়ি চলাচল করে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে গণপরিবহন থাকার কারণে সাধারণ মানুষও বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করায় দিনরাত ব্যস্ত থাকে এই এলাকাটি। মোহাম্মদপুর একটি জনবসতি পূর্ণ এলাকা। ফলে প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আমরা সাধারণ মানুষকে ছিনতাইকারীদের হাত থেকে রক্ষায় আমরা কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। পাশাপাশি মোহাম্মদপুর থানার আওতায় থাকা বেড়িবাঁধের ঢাকা উদ্যান ও রায়েরবাজার পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিন রাস্তার মোড়ে ২০ ফিট উচ্চতার একটি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হবে। এই টাওয়ারে বসে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের চলাচল নজরদারি করতে পারবে।
এসি মিজান আরও বলেন, আমাদের ডিএমপি কমিশনার সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমের উৎসাহ দেন। তার কার্যক্রম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হকের নির্দেশনায় মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা এলাকাকে অপরাধ ও যানজট মুক্ত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়। আপনারা জানেন মোহাম্মদপুর থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ও পাশ্ববর্তী কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বাস ও সিএনজি চালাচল করে। আমরা এই সকল পরিবহনের মালিক ও নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। তারা আমাদের এই উদ্যোগের সঙ্গে একমত পোষণ করলেন। পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিদিন ১৫ জন পরিবহন শ্রমিক পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। তারা তিন রাস্তা মোড়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে সহযোগিতা করবে। ফলে মানুষ যানজট ছাড়াই নিরাপদে এই পথে চলাচল করতে পারবেন। আমাদের এই কার্যক্রম আজ থেকে সারা বছর এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।