ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই এলাকায় ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সদস্য লিটন মিয়াকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছন্ন করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ঝিনাইদহ জেলা যুবদল।
শুক্রবার সকালে জেলা যুবদলের পক্ষ থেকে এইচএসএস সড়কে বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের গেটের সামনে পৌছলে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। পরে সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে দলটির নেতাকর্মীরা। জেলা যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিব রণকের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড এম এ মজিদ, সাধারন সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, বিএনপি নেতা আব্দুল মজিদ বিশ^াস, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান পাপপু, শাহজাহান আলী, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, মাহফুজুর রহমান ইপিআর, মোস্তাক আহম্মেদ, আরিফুল ইসলাম আনন, আবুল বাশার বাশিসহ অন্যানরা বক্তব্য দেন।
সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ আগামী ৩ দিনের মধ্যে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করা না হলে ১৮ জুলাই ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে বলে হুসিয়ারী দেন। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে পুলিশ হামলাকারী সন্দেহে আনোয়ার হোসেন ও ওবাইদুর রহমান নামে দুইজনকে আটক করেছে। আহত’র পরিবার মামলা দিলে বাকী আসামীদের দ্রæত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে বলে বিএনপি নেতাদের আশ্বাস দেন।
এদিকে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঝিনাইদহ সদও উপজেলার বাড়িবাথান গ্রামের রেজাউল মন্ডলের ছেলে যুবদল নেতা লিটন মিয়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ বিশ্বাসের নির্দেশে ফকিরাবাদ গ্রামের আব্দুস সালাম কসাইয়ের ছেলে রাজন কসাইয়ের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী লিটন মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে। হামলায় তার একটি হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতেই বিএনপি ও যুবদল ঝিনাইদহ শহরের হাসপাতাল এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পুলিশ হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রাতেই দুইজনকে আটক করে। জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ অভিযোগ করেন, একজন মানুষকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদও পুলিশ করতে দেয়নি। পুলিশের এই আচরণ আমাদের আশাহত করেছে। তিনি বলেন, পুলিশ কোন দলের লেজুড়বৃত্তি করতে পারে না। আজ আমাদের শহরে মিছিল নিয়ে ঢুকতে দেয়নি। এতে প্রমান হয় পুলিশ এখনো ফ্যাসিষ্ট সরকারের তাবেদারী করছে। ভবিষ্যতে পুলিশ মিছিল মিটিং ও সভা সমাবেশে বাধা দিলে বিএনপিও তা প্রতিহত করবে বলে তিনি হুসিয়ারী দেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। মামলা হলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি জানান, মামলা না হলেও পুলশ দুইজনকে আটক করেছে।