এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজাঃ
বিগত বেশ কয়েকটি পর্বে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্যানসারের ঝুকি নিয়ে বলার চেষ্টা করেছি। আর যার অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে মূলত ৭৫ এর পর সামরিক স্বৈরাচারেরা। সেটা রাজ্নীতীতে, শিক্ষায়, সংস্কৃতিতে,ধর্মীয় সম্প্রদায় এবং সব চেয়েবেশি অর্থনীতিতে। যা আমাদের বছরের পর বছর ভোগ করতে হচ্ছে। আমি খুব গভীর ভাবে বিশ্বাস করি, জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার ঘোষিত ২য় বিপ্লবের কর্মসূচী যদি সফল করতে পারতেন, তাহলে বাংলাদেশটি অনেক আগেই একটি উন্নত বাংলাদেশে পরিণত হত। কিন্ত ৭৫ এর অগাস্ট, সেই স্বপ্ন তছনছ করে দিয়েছে । বিপরীতে সবখানে ক্যানসারের জীবানু ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে, আর তা কতো দুর পর্যন্ত বিস্তৃতি ঘটেছে তা হিসেব করে বের করা যাবে না। তারপরও বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে, আগামী ৪১ সনে,সেই উন্নত বাংলাদেশ, তথা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্টার জন্য, জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তন চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্ত ঐ যে আমাদের দেশে একটি কথা আছে “দেশের বালা পীরদের গায়ও লাগে”। যা বাংলাদেশের কিছু কিছু মানুষের মাঝে গায়ে লেগে যাচ্ছে বা লেগে গেছে। তাই হয়তো, আজকে ঐ ক্যান্সারের জীবাণুরাই প্রতিমুহুর্তে জননেত্রীর সেই স্বপ্নকে পদে পদে বাধা দিচ্ছে। ৭৫ এ জাতিরপিতাকে হত্যার মাধ্যমে, যে জীবানু ঢোকানো হযেছে, বিশেষ করে “রাজনীতিতে” এবং “শিল্প বানিজ্য অর্থনীতি” খাতে যা আমরা বিভিন্ন ভাবে প্রত্যক্ষ করেছি, যা তারেক জিয়ার হওয়া ভবন, গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, মাসাদ্দেক আলি ফালু, রাগিব আলি, মীর কাসেম আলী, বেসিক ব্যাংক, পি কে হাওলাদার, জি কে শামিম সহ কত রাজনৈতিক ক্যানসারের জন্ম দিয়েছে তার তালিকাও পাওয়া কষ্ট। আর তাদের খপ্পরে “শিল্প বানিজ্য অর্থনীতি ” খাত নিয়ন্ত্রণের কারনে বাংলাদেশের রাজ্নীতী ২ ধারায় বিভক্ত হয়ে আছে, বহু পুর্ব থেকেই। যার একটি ধারা, জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ এবং প্রগিতির পক্ষের ধারা , আর অপরটি বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ বিরোধী এবং প্রগতি বিরোধীদের ধারা । আর সে ধারাটি,কখনো বি এন পি, জাতীয় পার্টি, জামাত, হেফাজতের উপর ভর করে টিকে আছে । জনগন বা দেশের উন্নয়ন নিয়ে তাদের কোন রাজ্নীতী নেই, কখনো ছিল না। আছে, কিভাবে নেগেটিভ ভোটে বা বাকা পথে, ষঢ়যন্ত্রের পথে অথবা অন্য কোন ভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়, যে ভাবে তারা আগে গিয়েছিল। আগেই বলেছি, দেশের বালা পীরদের গায়ও লাগে। ফলে ঐ তথাকথিত রাজনৈতিক দলগুলোর যে জীবানু আমাদের মইধ্যে কোথায় কোথায় ঢুকে পরেছে, তা আমরা ঠাহর করতে পারছি না বা আমরাই অনেকে ঢুকিয়ে দিচ্ছি কিনা ! আর যা সাধারন চশমা দিয়ে ধরা পড়ছে না। দুয়েক জন শাহেদ,পাপিয়া, পি কে চৌধুরী ধরা পড়ছে, আর আমরা চিৎকার করে বলছি, চোর চোর। ফেসবুকে ভেসে আসে তাদের ছবির সাথে,খালেদা, তারেক জিয়া, নিজামী বা মমিনুলদের যুগ্ম ছবি। আর কোথায়, প্রশাসনে, দলে বা ব্যবসায় কোন শাহেদরা লুকিয়ে আছে কিনা আমরা জানিনা। আগেই বলেছি ক্যানসার জীবাণুর সুবিধা, বাহির থেকে বোঝা যায় না। কে ঐ লুক্কায়িত জীবানুওযালা মানুষ নামের ক্যানসার গুলো, হসপিটালের ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাবে। ঐ যে খালি চোখে চেনা যায় না ওদের অথবা কেউ কেউ দেখিয়েও দেবে না। কারন ওরা অনেকে তো কাউকে কাউকে, ” দিস ওয়ে দ্যাট ওয়ে ম্যানেজ ” করে ফেলেছে শোনা যায। আজকে মহান আল্লাহ্তালা, একজন শেখ হাসিনাকে বাচিয়ে রেখেছেন বলেই, হয়তো মতিঝিল শাপলা চত্তরের ঘটনার পর দেশটা, আফগানিস্থান, মিশর, সিরিয়া, ইরাক বা ইরান হয়ে যায়নি, শান্তির বাংলাদেশ টিকে আছে । আজ আবার, সেই পুরাতন গোষ্টি নতুন করে, সেই স্বপ্ন দেখছে, আর ঐ জীবানুরাও উকিঝুকি মারছে, কখন ওদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করতে পারবে !। ওরা ওদের মত করে একি নিয়মে চলবে। আমাদের ভূমিকাটা কি হবে সেটাই আজকে বড় বিষয়। এটা শুধু সরকারেরই বিষয় নয়, নাগরিক হিসেবে আমাদের অনেক দাইত্ত্ব। দলের কর্মী হিসেবে আমাদের দাইত্ত্ব আরো অনেক বেশী। আমরা সকলে সেই দাইত্ত্ব পালন করছি কি। না কেউ কেউ ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে দাইত্ত্ব শেষ করছি, মিটিং, জন্মদিন, কোরোনা টিকার ছবি, বা অন্ন কোন ছবি ছাপিয়ে,আর যা নিয়ে নকুল বিশ্বাস এর মত প্রতিষ্টিত গায়ক গান বানায়। কতো দুর্ভাইগ্য আমাদের। তারপরও গায়ক নচিকেতার ধাচে বলতে চাই, পৃথিবী আবার শান্ত হবে। বাহিরের এবং ভিতরের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে, জননেত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে যাবেনই ইনশআল্লহ। আর বর্তমান সময় একমাত্র তার উপরই ভরসা করা যায। যে, যে ভাবেই নেক না কেনো, অতীত এবং বর্তমান কে নিয়ে, আমরা সে ভাবেই দেখ্তে পাচ্ছি !। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। স্বপ্ন দেখাতে পারেন এবং বাস্তবায়নও করতে পারেন । ক্রমশঃ এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশে কৃষক লীগ ।২৪ এপ্রিল, ২০২১