December 22, 2024, 6:21 am
শিরোনামঃ
সরকার যেভাবে নির্বাচনের তারিখ দিয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়: ১২ দলীয় জোট গুচ্ছ ভর্তি নিয়ে আজ সভায় বসছেন উপাচার্যরা, আলোচনায় দুই এজেন্ডা দেশে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, চাঁদাবাজ পরিবর্তন হয়েছে: হাসনাত আবদুল্লাহ গাইবান্ধায় সাঘাটা উপজেলায় জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া আহত ৪০ ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটির দপ্তর সম্পাদকের উপর হামলা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনী রোডম্যাপ সন্দেহজনক: রুহুল কবির রিজভী উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ মারা গেছেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি প্রমাণের ওপেন চ্যালেঞ্জঃ হাসনাত আবদুল্লাহ ঢাকার কেরানীগঞ্জে ব্যাংকে ডাকাতদলের মধ্যে তিন ডাকাতের আত্মসমর্পণ, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

ইতিহাস সন্ধ্যানী একজন রবিউল আলম

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Wednesday, March 9, 2022
  • 163 Time View

খাস খবর বাংলাদেশঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম ইতিহাস পড়তে পড়তে হাঁটাই তার কাজ। এটাকে তিনি পরম যত্নে লালন করেন। বিশেষ করে বাঙালির মুক্তির সনদ ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঢাকা শহরের পশ্চিমপ্রান্ত রায়ের বাজার ছিলো প্রান্তিক এলাকা। এখানের বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে ইট ভাটা, খালবিল, ডোবা-নালা। বর্তমান রায়েরবাজার চিত্র তখন অতীত। এই রায়ের বাজারের বাসিন্দাই রবিউল আলম।

বছর চৌদ্দ বয়সী রবিউল ঘরে থেকেই শুনতে পেতেন নারী-পুরুষের আর্তচিৎকার। জীবনের শেষ সময়ের আকৃতি নিস্তব্ধ রায়েরবাজারের আকাশে ছড়িয়ে পড়তো। আশপাশের বাসিন্দারা ঘরের মধ্যে থেকেও কার্যত মৃত লাশের মতোই পড়ে থাকতেন। হানাদার বর্বর পাকিস্তানী বাহিনীর

অত্যাচারে তাদের শরীর হিম হয়ে আসতো। রবিউল আলমও তাদেরই একজন। যিনি কান পেতে শোনতেন মধ্য রাতে মানুষের আর্তনাদ। সেই কৈশোরেই তার দহন যন্ত্রণা! তারতো সহায়তা করার কোন শক্তি নেই। এমন চিন্তা করে অজান্তে চোখের জল গড়াতো।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ-বিদেশের সংবাদমাধ্যমে সেসময়ের লোমহর্ষক বর্ণনা ওঠে এসেছে রবিউল আলমের জবানীতে। তিনি বার বার উচ্চারণ করে গিয়েছেন, রায়ের বাজারের যে বটগাছে ঝুলিয়ে নির্মমভাবে আত্যাচার চালিয়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, সেই ‘বটগাছটি’ রক্ষার জন্য।

রবিউল আলম রায়ের বাজার বদ্ধভূমি থেকে অগুনতি শহীদের মরদেহ তুলে দিয়েছেন। মাথার ওপরে আকাশ আর নিচে পচাগলা মরদেহ উদ্ধারে রবিউল আলম দিনভর কাজ করে গিয়েছেন। কোথায় পেয়েছিলেন এতো শক্তি? কোন কোন দিন দিনভর না খেয়েই কাজটি করে গিয়েছেন অবলীলায়। যে সব মরদেহ তিনি উদ্ধার করে দিয়েছেন, তার মধ্যে নারীও ছিলেন। উদ্ধারকৃত মরদেহের অধিকাংশেরই চোখ-হাত বাধা এবং দেহে নির্মম আঘাতের চিহ্ন!

অবশেষে ‘আমার দেখা রায়েরবাজার বদ্ধভূমি এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তেভেজা একটি বটগাছ’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন রবিউল আলম। এই বইটি একটি ইতিহাস, একটি জীবন্ত দলিল বললেও ভূল হবে না।

শেয়ার করুন
More News Of This Category
ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102