রবিউল আলমঃ
যদিও আমি যুদ্ধকে সমর্থন করি না। বিশ্বের খুধার্থ মানুষগুলো মুখের দিকে তাকালে, হৃদয়টা কেপে উঠে। অনুন্নত বিশ্বকে গ্রাস করার লক্ষ্যে উন্নত বিশ্ব খাদ্যের চেয়ে মারনস্ত্র প্রিয় ওদের কাছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনে পর,আমরা ভেবেছিলাম একক সাম্রাজ্যে আর মারনস্ত্রের প্রয়োজন হবে না। আমেরিকা তার স্বভাব চরিত্রের পরিবর্তন করতে পারলো না। একক সাম্রাজ্যের সুযোগে ইরাক, লিবিয়া সিরিয়া সহ বিশ্বকে এক হাত নিয়েছে। দুই হাত বাড়িয়ে ইউক্রেনকেও অতিক্রম করার পরিকল্পনায় বাধার সম্মুখীন হতে হলো। রাশিয়ার নিরবতায় মিত্ররা একে একে লেঙ্গুর ঘুছিয়ে নিতে শুরু করেছিলো। ভারসাম্যহীন এই পৃথিবীর বাদশা মনে করতো আমেরিকার। ইউক্রেন যুদ্ধে প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে রাশিয়া। এখনো বিশ্ব ভারসাম্যহীন নয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের মিত্রশক্তি পুনরুদ্ধার পুরনো জীবিত করার সময় ফুরিয়ে যায় নাই। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আজ রাশিয়ার জন্যে, আমেরিকার জন্য ও একদিন রাশিয়া-চীন, উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধে সেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে অনেক দেশ রাশিয়ার বর্শতা স্বীকার করতে হবে। এশিয়ার অনেক দেশ লাইন দরবে, পাকিস্তান ইতিমধ্যে লেজুড়বৃত্তিক করার জন্য মাঠে আছে।ভারত পানি ছুতে চায় না। আফগানিস্তান ইতিমধ্যে প্রমান করেছে জাতিসংঘে ভোট দিয়ে, তালেবান গোপন চুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তুরস্ক দম নিতে পারছে না। সৌদি আরব বাইডেনকে নাক না গলানোর জন্য হুশিয়ার করে দিয়েছে। মুখ খুলতে শুরু করেছে। বিশ্ব মুদ্রার বাজার কারা নিয়ন্ত্রণ করবে, সময় বলে দিবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।