মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাবে অসম্মান করা হচ্ছে, একুশে অন্য ভাষার সাইনবোর্ড অপসারণ করে
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Saturday, January 15, 2022
214 Time View
জনাব রবিউল আলমঃ
বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা দাবী করে ৫২ আন্দোলন হয়েছিলো। বাঙালির প্রানের ভাষা বাংলা,মায়ের ভাষা বাংলা। রক্তের দামে কেনা আমার মায়ের ভাষাকে একুশে ফ্রেরুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবশ হিসেবে দাবীর আবেদন করা হয়েছিল।স্বীকৃত পাওয়ার পর থেকে বিশ্ব, একুশকে মায়ের ভাষা হিসেবে গ্রহন করেছে। আমরা গর্বিত পৃথিবীর সকল দেশে পালন হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।পৃথিবীর সকল মা কি বাঙালি ? মায়ের ভাষা কি বাংলা ? আজ পাকিস্তানীরাও একুশকে পালন করছে। প্রশ্ন হচ্ছে একুশ কি বাংলা ভাষা দিবশ ? না-কি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবশ ? আগে পরিস্কার করতে হবে বাঙালি জাতির কাছে। যদি বাংলা ভাষা দিবশ হিসেবে পালন করতে চাই, তবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার দাবী থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, আবেদন প্রত্যাহার করে। জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি আদায় ও পালন করবো।ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দ্বারা ইংরেজি সাইবোর্ড অপসারন করাবো, টিএসিতে গজল সংস্কৃতির অনুষ্ঠানে হামলা করবো,এক সাথে দৈত্য নীতি চলতে পারে না। আমার মায়ের ভাষা বাংলা বলেই আমরা রাষ্ট্র ভাষা বাংলা জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছি, জীবন দিয়েছি।রক্তের দামে ভাষার স্বীকৃতি আদায় করেছি। বিশ্ব অভাগ হয়েছে, মায়ের ভাষায় জন্য বাঙালি জাতি জীবন দিতে পারে ? এ কারনেই মায়ের ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবশ হিসেবে গ্রহন করে, পালন করা হচ্ছে। এর অর্থ কি সবাই বাঙালি হয়ে গেছে ? না-কি সব মা বাঙালি হতে হবে ? না-কি আমরা বাঙালি বানিয়ে ছাড়বো ? বাঙালির মন অনেক বড়। বিশ্ব আমাদের ভাষা দিবশ কে গ্রহন করেছে। আমরা বিশ্বের সকল মায়ের ভাষাকে সম্মানের সাথে গ্রহন করতে পারলেই একুশের স্বার্থকতা, সফলতা আসবে। ইংরেজি সাইবোর্ড ভেঙে, গজল অনুষ্ঠানে হামলা করে মায়ের ভাষার স্বীকৃতি হয় না। সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, একুশকে বাংলা ভাষা দিবশ হিসেবে পালন করবেন ? না-কি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবশ ? আমাদের ভাষাবিদ, সাংবাদিক, শিক্ষাগুরুদের পরামর্শ চাই। আমার মায়ের ভাষা আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার প্রার্থক্য বুজাইতে ব্যার্থ হলে, ভাষার বিতর্ক শেষ হবে না। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবশের স্বীকৃতির পরিপুর্ণতা আসবেনা। অন্য ভাষার জাতির কাছে মাতৃভাষার গ্রহনযোগ্যতা পাইতে চাইলে, সকল ভাষার প্রতি সম্মানপ্রদর্শন করতে হবে। অতিউৎসাহী ছাত্রদের কে এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশন কে বুজিয়ে বলুন। নিজের বিজ্ঞাপন ইংরেজিতে প্রচার করে ইংরেজি সাইনবোর্ড অপসারণ করতে যেনো না যায়।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।