মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন পরীক্ষিত সৈনিক, জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন নেতা, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক জনাব রবিউল আলম এর লেখা “আমার দেখা রায়ের বাজার বদ্ধভুমি এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা একটি বটগাছ” বই উপহার দিলেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী পরিসদের সদস্য, খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার ইউনিটের সদস্য সাংবাদিক মোঃ ইব্রাহিম হোসেনকে।
আজ ৩০ নভেম্বর ২০২১ রোজ সোমবার বাদমাগরিব রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ বই উপহার দেন।
বই উপহার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ভুইয়া সহ প্রমুখ।
জনাব রবিউল আলম খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেনকে বলেন, আমার দেখা রায়েরবাজার বধ্যভূমি এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তেভেজা একটি বটগাছ গ্রন্থের শিরোনামেই ইঙ্গিত আছে আমি আসলে কি বলতে চেয়েছি। কি বুঝাতে এই গ্রন্থ লিখেছি। এই দেশ স্বাধীন হয়েছে, আমরা এখন স্বাধীন দেশের নাগরিক। স্বাধীন দেশের মৌলিক অধিকার এখন আমরা ভোগ করতে পারি, কিছু সীমাবদ্ধতা আছে বটে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা আমাদের স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছি। কিন্তু এই স্বাধীনতা কি এমনি এমনি এসেছে। না অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।লাখ লাখ মানুষকে রক্ত দিতে হয়েছে। এই যুদ্ধে ইজ্জত-সম্ভ্রম হারিয়েছিলেন অনেক মা-বোন। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর যুদ্ধজয়ের আগ পর্যন্ত আমাদের রক্ত দিতে হয়েছে। বিজয় যখন আমাদের সুনিশ্চিত, তখন আমাদের ওপর চূড়ান্ত আঘাতটি আসে একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর বেছে বেছে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের আল-বদর আল-শামস রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানীরা ধরে নিয়ে যেয়ে হত্যা করে। সারা দেশেই চলে নির্মম হত্যাযজ্ঞ। ঢাকার রায়েরবাজার অনেক বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে গণকবর ও উন্মুক্তভাবে লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল। কাছ থেকে দেখেছি তাদের লাশ, বীভিৎসতার চিহ্ন। গণকবর থেকে লাশ টেনে টেনে তোলার স্মৃতি আজও মনের আয়নায় ভাসে। মনে হয় এইতো সেদিনের ঘটনা। অথচ ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে। আমিও ৫০ বছর আগে বিভীৎসতার ঘটনা জীবন্ত করে তুলেছে এই গ্রন্থে। চেষ্টা করেছি সঠিক তথ্য দেওয়ার।
আমার দেখার রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তভেজা একটি বটগাছ অবহেলা, অযত্ন ও অবৈধ দখলমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে জীবনের গল্প শুরু করেছিলাম। এই গ্রন্থটি প্রকাশ করার পরও গল্পের অল্প বাকি থাকল বলেই মনে হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানরা বট গাছটি অবৈধ দখলমুক্ত করে, সংরক্ষণ করবে বলে আশা করছি।
তিনি আরো বলেন, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ আমাদের কাছে তখন কোন ক্যামেরা ছিলনা, বুদ্ধিজীবীদের লাশের প্রকৃত চিত্রও বিশ্বকে আমরা দেখাতে পারিনি। সেই ব্যর্থতার দহনে এখনো দগ্ধ হচ্ছি। রায়েরবাজার বধ্যভূমির ছবি বিশ্ব দেখছে তা ভারতীয় এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আসা সংবাদকর্মীদের তুলা।মৃত্যুর আগে সত্যপ্রকাশ করে গেলাম, বাকিটা আপনাদের দায়িত্ব।বুদ্ধিজীবীদের সন্তানরা চাইলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তভেজা বটগাছটির অবৈধ দখলমুক্ত করে সংরক্ষণ করা অসাধ্য হবে না এটা আমার বিশ্বাস। এই বিশ্বাসের জয় হবে বলেই বিশ্বাস করি। সবার জন্য শুভকামনা রইল। রবিউল আলম
উল্লেখ্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শ অনুপ্রেরণায় পথ চলতে গিয়ে বারবার আঘাত ও বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। কখনও সামরিক স্বৈরশাসকদের রোষানলে পড়ে, কখনও নির্বাচিত সরকারের আমলে, কখনও নিজ দলের ভেতরে। তারপরও তিনি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মাঠে আকড়ে ধরে রেখেছেন।
রবিউল আলম মূলত একজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। তবে লেখালেখিও করেন। বিভিন্ন পত্রিকায় লেখেন। অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোকেও অনেক লেখা প্রকাশিত হয় তাঁর। শখ থেকে লেখেন। লিখতে লিখতে লেখার প্রতি টান অনুভন করেন। ফলে একসময় লেখা তাঁর জীবনের অন্যতম অংশ হয়ে যায়। রবিউল আলমের পিতা মৃত মোঃ জুল হোসেন ও মাতা মোসাম্মৎ সুফিয়া খাতুন।
লেখকের জন্য ১৯৫৭ সালের ১০ জুন ভারতের আসামের নওগাঁয়। আদি-নিবাস ঢাকা ভিভাগের মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর, টঙ্গীবাড়ি থানা, গ্রাম আলদী। বর্তমানে তিনি ঢাকার রায়েরবাজার এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
স্ত্রী জাহানারা আলম পারু-এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে তাঁর। একমাত্র নাতিকে নিয়ে অবসর সময় কাটান এই ব্যবসায়ী লেখক ও রাজনীতিবিদ।