ভারতের কৃষক আন্দোলনের মোদি সরকারের জন্য লালকাঠ নয়তো?
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Saturday, November 27, 2021
171 Time View
জনাব রবিউল আলমঃ
মানবতার জয়, মানুষের অধিকারের জয়, ভারতের কৃষক আন্দোলনের আবারও প্রমানিত হলো-বন্দুকের নল নয়,জনতার জয় হয়। মিয়ারমার জান্তা সরকার, আফগানের তালেবান, পাকিস্তানের সামরিক সরকারের তলপিবাহক ইমরান খানকে বুঝতে হবে। একটি গনতান্ত্রিক সরকারের উন্নয়ন বুঝতে হলে, বাংলাদেশ বিশ্বের উদাহরণ হতে পারে। মৌলবাদ, উগ্রবাদ, ধর্মীয় বিবাদ ভারতকে গ্রাস করে নিচ্ছে। গান্ধীর মানবতাবাদ ভারতের হিন্দু-মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠা করলেও বিজেপির মোদি সরকার বিভাজন সৃষ্টি করেছে। ক্ষনিকের জন্য ক্ষমতার মোহে অনেক কিছু করা যায়। নীতি হীন রাজনীতি দেশ ও জাতির ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা যায় না। ধর্মের বৃত্তিতে রাজনীতি বিহত জনগোষ্ঠীর ঐক্য হয় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মোদিজীর অনেক কিছু শিখার ছিলো। তাকে অনুসরণ না করে তিস্তা, গঙ্গার পানি, সীমান্তে বন্দুকের নল নিয়ে ভারত খেলেই চলেছেন। প্রতিবেশী সকল বন্ধু রাষ্ট্র ভারত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। বাংলাদেশ ও ইতিমধ্যে অতিবিরক্ত হয়ে বন্দুক হাতে নিতে চাইছেন, তিস্তার বিকল্প বাধ নির্মান করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কবে হুশে আসবে মোদি সরকার। কৃষক আন্দোলনের পরাজয়, মুসলিম বিরোধী ও বাংলাদেশ মনোভাব ভারতকে একলা চলো নীতিতে পরিনত করে ফেলছে। স্বাধীনতা সংগ্রাম, ইন্দ্রিরা গান্ধীর ও ভারতের জনগনের অবদানের জন্য আমরা ঋৃনি। কীভাবে ভারতীয় বন্ধুদের বুকে গুলি করবো ? বিজেেপির অমিত শাহরা কি বাদ্য করবেন ? কৃষকের কাছে ক্ষমা চেয়ে, কৃষি আইন বাতিল করে হয়তো নিজ দেশের জনগণকে দামাচাপা দিতে পেরেছেন,পারবেন। বাংলাদেশ বিপথে একবার চুক্তিবদ্ধ হলে, হাজার বার ক্ষমা চাইলে কি সমাধান হবে ? শেখ হাসিনা মানবীক, মানবতাবাদী। তাই বলে সীমান্ত হত্যা, তিস্তা, গঙ্গার পানি রাজনীতি এবং জনগণের অধিকার নিয়ে আর রাজনীতি করতে দিবেন না বলেই আমার মনে হয়। মোদিকে হুশে আসতে হবে। স্বাধীনতার জন্য চিরকাল মাথা নতকরে থাকবে না বাঙালি। পশ্চিম বাংলা ইতিমধ্যে জবাব দওয়েছে বিজেপিকে। ভারতীয়রা জবাব দিলে পালানোর পথ থাকবে না, মনে রাখতে হবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।