ঢাকার বিস্ময়কর রাজনৈতিক মহাপুরুষ,ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র হানিফ
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Saturday, November 27, 2021
216 Time View
জনাব রবিউল আলমঃ
বঙ্গবন্ধুর আত্নাটা শেখ হাসিনা-রেহানার মাঝে বিরাজ করলেও সঙ্গী ছিলেন হানিফ। বিদাতার বিস্ময়, রাসেলের হাতের মাছ মার্কায় নির্বাচন করতে হয়। ঢাকার রাজনীতির বিস্ময় পুরুষ হয়েছিলেন ,ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র হওয়ার মাধমে ।ঢাকার মানুষের বাঁধ ভাঙা গনজাগরণের বাংলাদেশের মানুষের কাছে আওয়ামীলীগের গ্রহনযোগ্যতা আকাশচুম্বী হয়েছিলো । জনতার মঞ্চের মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে। ঢাকাকে বলা হয় বাংলাদেশের রাজনীতির সূতিকাগার। সিলেটকে বলা হয় ক্ষমতায় যাওয়ার পথের নির্দেশক। চট্রগ্রামেকে বলা হয় ক্ষমতা স্থায়ীত্বের প্রতিক। রাজশাহী বহন করে আগমনী বার্তা।চার সিটি করপোরেশনের বিজয় বার্তা বহিঃবিশ্বের চোখ খুলে দিয়েছিল আওয়ামীলীগের জন্য । ঢাকা দখলের রাজনীতিতে মেয়র হানিফের সাথে যোগ হয়ে ছিলেন আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপি, আলহাজ্ব মকবুল হোসেন সাবেক এমপি। ততকালীন কমিশনার এমএ সাত্তার ভুইয়া,মহিউদ্দিন খান আলমগীর,জনতার মঞ্চের নায়ক মহানায়করা। ২৮ নবেম্বর হানিফের মৃত্যু বার্ষিকী সামনে রেখে ২১ আগস্ট গেনেট হামলা জাগ্রত হয় মনে। মজিব আদর্শ বুকে ধারন করে শেখ হাসিনার বিপক্ষে রাজনীতি করতে পারবেন না, নেতার আদর্শ বাকশালকে বাদ দিয়ে, পারেনি বলেই কিছুদিনের জন্য রাজনীতি থেকে বিরত ছিলেন। নিজের জীবনের বিনিময়ে বাংলার মানুষকে শেখ হাসিনার মত একজন দক্ষ শাসনকর্তা উপহার দিয়ে গেলেন হানিফ। বাংলার উন্নয়নের প্রতিক,বহিঃবিশ্বের বন্ধু, বিশ্ব রাজনীতির হাতিয়ার এখন শেখ হাসিনা। হানিফের ঋন পরিষদযোগ্য নয়। শিশু মনের মানুষ ছিলেন হানিফ, আমড়া, কচি শশা, বুট ভাজা, চিনা বাদাম খেতে পছন্দ করতেন। বৈরী মতের মানুষের জন্য ও তার সহায়তার খাতা বন্দ করেন নাই।ঢাকা সিটি করপোরেশনের কর্মচারী কর্মকর্তাদের মাঝে জনপ্রিয়তা ছিলো আকাশচুম্বী। যার সুফল পেয়েছিলো ঢাকা বাসি। কমিউনিটি ক্লিনিক ও সেন্টার,আজিমপুর কবর স্থানের উন্নয়ন , মাংস বিহীন দিবস আইন প্রত্যাহার করে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। মশার সাথে যুদ্ধে করে পরাজিত হলেও যুদ্ধটা কিন্তু শুরু করেছিলেন মেয়র হানিফ। হানিফ-মায়ার ঢাকা মহানগর আঃলীগ ছিলো সর্বকালের শ্রেষ্ট কমিটি। সভাপতিত্ব করার কারনে, সবার শেষে বক্তব্য দিতে হতো, মায়া ভাই সময় কম দেওয়াতে অনেক কথাই বলতে পারতে না। হানিফ সমর্থকদের অভিযোগে বলতে শুনেছি, আবে পরে বুঝবোনে। মায়া ভাই হানিফের অভাব হাড়ে হাড়ে বুঝেছেন। বুঝতাছেন ঢাকা মহানগর আঃলীগ এবং ঢাকার জনগন, কতটা হানিফ ছাড়া তাদের জীবন। ঢাকার রাজনীতি ঢাকায় নাই। ঢাকার নেতা কর্মীদের মন্ত্রী মিনিস্টার নাই। শেখ হাসিনা ছাড়া ঢাকা নিয়ে ভাবনার কেউ নাই। শেখ বজলুর রহমান ঢাকার রাজনীতির প্রান পুরুষ, ২১ আগস্ট গেনেট হামলায় আহত, জীবন সঙ্গি ছাড়া জীবন দিয়েও কিছুটা সামাল দিচ্ছেন। একমাত্র আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপি ঢাকাইয়া, না হলে ঢাকার রাজনীতি পরবাসী হয়ে পরতো। ঢাকার দায়ীত্বে মির্জা আজমের আহাজারী, ঢাকা মহানগরের অফিস নিয়ে :এখনো পুরন হয় নাই। অর্থ ছিলোনা, আঃলীগ ক্ষমতায় ছিলোনা, তবু ঢাকা মহানগরের ওয়ার্ড ইউনিয়ন কে কিছুটা হলেও সম্মানি দিয়ে আন্দোলনকে চাঙা রাখতেন সভা-সমাবেশ মাধমে, হানিফ-মায়া কখন কোথা থেকে জোগার করেছে, আমাদের ভাবনাকে হার মানিয়েছে। নয় বছর তার কাছে থেকে দেখেছি, বঙ্গবন্ধুর পরে নেতা কর্মীদের নাম মুখস্থ বলতে পারতেন, নাম ধরে ডাকতেন মেয়র হানিফ। হানিফের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, মায়ার সফলতা চাই।চাই ঢাকার রাজনীতির উজ্জ্বলতা।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।