দেশের কথা শুধু সরকার বিবেচনা করলে হবে না, দেশের জনগণকেও মনে রাখতে হবে। সিএনজিচালিত পরিবহন কেনো ধর্মঘটের আওতায় ? তেলের দামের সাথে দেশের সকল পন্যসামগ্রির দাম জরিত, সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে। পরিবহন ধর্মঘটের যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে, মানুষের ভোগান্তি হয়েছে, তার দায়দায়িত্ব কে নিবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জনগুলো প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কারা এই পরামর্শক ? তেলে দাম, পরিবহন ভাড়া,সরকারের আমলা,কামলা মন্ত্রীদের বেতন বাড়ানো জন্যই সরকার। আমরা তার বিরোধিতা কখনো করিনা,দেশের উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে।ভারতে তেল পাচারের যুক্তিতে দাম বাড়াতে হবে, বহিঃবিশ্বে তেলের দাম বেড়ে গেছে, অনেক যুক্তি দেওয়া যেতে পারে, তেলে দাম কমে যাওয়ার পরে দৃশ্য ও আমরা ধারন করে রেখেছি। জনগণের যুক্তি গ্রহন করার মনমানসিকতা কি আপনাদের আছে ? না-কি তাদের কথা মনের রাখার মতো মন আপনাদের আছে ? যাদের টাকায় আপনাদের সংসার চলে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে শুধু বহিঃবিশ্ব থেকে দেশেকে রক্ষা করা, দেশের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা করা, অর্থ জোগার করা, নীতি ও আদর্শের মাধ্যমে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখার দায়ীত্বের মাঝে বন্দী করে রাখবেন না। তাকে বিদেশে রেখে এতো বড় সিদ্ধান্ত কে নিয়েছেন ? প্রশ্ন উঠতেই পারে। সব বিষয় সিদ্ধান্তের আগে জনগণকে সইবার ক্ষমতা দিতে হবে। সিএনজির সাথে সামজস রেখে দাম বাড়াতে হতো, পরিবহন সেক্টরের সাথে আলোচনার মাধ্যমে। এখনো আলোচনা মাধ্যমে ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে, হলো। জনগণের ভোগান্তি, রাষ্ট্রের অর্থ বিনষ্টের দায় কে নিবে ?
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।