May 19, 2024, 9:40 am
শিরোনামঃ
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মৎস্যজীবী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা বিচার ব্যবস্তার সুচনার ইতিহাস জানিনা, বিতর্কের শেষ কোথায় ? বুঝতে পারছি না বঙ্গ কণ্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বাংলার মাটি কে বুকে ধারন, ইতিহাসের অংশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পাঠাগারের কমিটি গঠন জহির সভাপতি ও লিটন সাধারণ সম্পাদক গাজায় নিজেদের গোলার আঘাতে পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত তালের শাঁস খেলে যেসব উপকার হয় ঢাকা শহরে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না: ওবায়দুল কাদের বিশ্বাস পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বাংলাদেশ সফর করছি: ডোনাল্ড লু ভারতবর্ষে হিন্দু মুসলমানের রাজনীতি হয়,মহাত্মা গান্ধী সকল ধর্মের রাজনীতি নাই গুলিস্তান-মিরপুরের কাপড় পাকিস্তানের বলে বিক্রি করেন তনি!

সোনার বাংলা বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার নেক হায়ত দান করুনঃ আঃ রহমান শাহ 

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Saturday, September 25, 2021
  • 1377 Time View

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম শুভ জন্মদিনে দোয়া করি। আল্লাহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নেক হায়ত দান করুন। আল্লাহ সোনার বাংলা বাস্তবায়নে তাকে শক্তি, সাহস দিন।

স্বাধীনতা বাঙ্গালী জাতিসত্তা উন্নয়ন ভাবনা তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন।

১৭৫৭ সালে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয় প্রাসাদ সড়যন্ত্র, বিশ্বাস ঘাতকতার মাধ্যমে, বেইমান, মীরজাফর, রায়দুরলভ, রাজা রাজবল্লভ, ঘশেটি বেগম, মীর কাশেম, মরী মদন, ইয়ার লতিফ এর বেইমানীর ইতিহাসের সেই কলঙ্কময় অধ্যায় সবার জানা।

১৮৫৭ সালের সিপাহি বিপ্লবের কথা, বাঙালির অত্মদান, রক্তদানের কথাও জানা। উনবিংশ শতকের বিংশ শতকের সকল আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস ও শিক্ষিত বাঙালির জানা। নেতাজী সুবাস বসু, খুদিরাম, মাষ্টার দা সূর্য সেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন সহিদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী সহ অনেক নেতাই বাঙালির স্বাধীনতা ও উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছেন অনেকে অনেক কাজও করেছেন। সফলাতার এক দুই ধাপ অগ্রসর হলেও কেউ সফল হন নাই।

১৯৪৭ সালে মুসলমানের আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান করা হলো তাতেও পূর্ব পাকিস্তানের লোকদের জোরালো ও সংখ্যা গরিষ্ঠ সমর্থন ছিলো, বরং অনেক গোড়া মুসলিম নেতারা তখন পাকিস্তানের পরিবর্তে ইসলামী খেলাফতের চিন্তায় নিমগ্ন ছিলেন। তদুপরি পূর্ববাংলার ভূমিদাস, শ্রম দাসরা মনে করলো বৃটিশের অত্যাচার জুলুম থেকেও বাঁচলাম এখন স্বাধীন দেশে আমার মুসলমান ভাইরা দেশ চালাবে, আমার লাঙ্গল, আমার জমি, আমার ন্যায্য হিস্যা আমি পাবো। কিন্তু হতবাক জাতি দেখলো দেশের সংবিধান না, সম্পদের সম বন্ঠন না, ইসলামি সাম্যবাদ না, সমাজতন্ত্র না, কৃষকের উন্নয়ন না, শ্রমিকের অধিকার না, ন্যায় বিচার না, দুবেলা দু মুঠো ডাল ভাত না, বরং শুরু হল হিন্দু মুসলমান রায়ট, এতদিন যে ছিলো আমার প্রতিবেশী তাকে হত্যা, নির্যাতন, ইজ্জত, সম্ভ্রম লুন্ঠন করছে, জমি দখল করছে আমার মুসলিম লীগের জোতদাররা, আমার ভাগ্য পরিবর্তনত দুরের কথা, কৃষক, শ্রমিক উপনিবেশ বাদের থেকে বের হয়ে জোতদার, মহাজনের দাস, দাসী হলো। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ আর মুসলিম লিগের বড়ো নেতারা আমার মাতৃভাষা, নিয়ে টানা টানি শুরু করল, আমি কৃষক লেখাপরা জানিনা, ইংরেজি, উর্দু, আরবি, ফারসি বুঝি না। শেষ পর্যন্ত আমার মায়ের ভাষা কেরে নিয়ে আমার পূর্ব পরুষের, আমার সন্তানের, পুরো বাঙালী জাতির ইজ্জত আভ্রু, শিল্প সংস্কৃতি, ভাষা, সাহিত্য সবই নিয়ে আমাকে জাতি থেকে উপজাতি বানাবে এ কেমন স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতাত আমরা চাই নাই। বড়ো নেতারা ক্লান্ত, শ্রান্ত, কেউ অবসরে গেলেন কেউ শ্রতে গা ভাসিয়ে কিছু হিন্দুদের পরিত্যক্ত সম্পদের মালিক হলেন, মাঠে, ঘাটে, গন মুক্তির কথা বললেও ড্রয়িংরুমে, শুরা আর মুসলিম লীগের পালে হাওয়া দিতে লাগলেন। তখনই ফরিদপুরে কৃষকের ছেলে, গ্রামের বঞ্চিত মানুষের সাথী শেখ মুজিব বুঝতে পারলো এ মুসলীম লীগ বাঙালীর না, এ পাকিস্তান ও বাঙালীর না। টগবগে তরুন তার সহ যোদ্ধা, সহমর্মি, সংগি সাথীদের নিয়ে গঠন করলেন ছাত্র লীগ। তার পরে বুড়ো মুসলিম (জোতদার) লীগ থেকে বেরিয়ে সিনিয়র, প্রগতিশীল বাঙালী নেতাদের নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলীম লীগ গঠন করলেন ১৯৪৯। শুরু হলো বাংগালীর চেতনা, সংস্কৃতি, শিল্প, সাহিত্যের পুনোরোদ্ধারের আন্দোলন।

১৯৫২ তে এসে সেই আন্দোলন হল রক্তাক্ত, ভাষার জন্য প্রানদিলো স্বাধীন দেশের স্বাধীন বাঙালী, হিন্দু, মুসলমান এ যেনো নিজ দেশে পরবাস, গর্জে উঠল বাংলার রাজনীতিকরা। এদিকে ইসলামের নামে পূর্ব বাংলার সম্পদ লুন্ঠন করে পশ্চিম পাকিস্তানে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা হলো, ২২ পরিবারের নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তানের অর্থ, সম্পদ, শিল্প, কল কারখানা, তার ভিতর ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা মোজাহের, রিফিউজি, ইমিগ্রান্টরাও বাঙালীকে টপকে বিত্তবান হতে লাগলো, নিচে পরে গেলো নেটিভ বাঙালী, তারা যেই দাস সেই দাসই থাকলো। নেংটি পড়া নেটিভ, আর হাফোর জালিয়ে আগুনে লোহা পেটানো কামার, কুমার, তাঁতি, জেলে, মুচি, নৌকার মাঝি, মাটিতে লাঙ্গল চালিয়ে পুরো দেশের মানুষের খাদ্য উৎপাদনের কৃষি দাস তাদের কথা বলার কেউ নেই, যদিবা দুই একজন কিছু বলে তবে তাকে পাকিস্তান বিরোধী, ভারতের এজেন্ট, নাস্তিক, বিচ্ছিন্নতাবাদি উপাধি দিয়ে জেলে পুরে দাও। শেখ মুজিব উপলব্ধি করলেন সোজা আঙ্গুলে মাখন তোলা যাবে না। তাই একটু একটু করে এক পা দু পা করে এগোতে লাগলোন, প্রবিন, নবিনদের সাথে নিয়ে গঠন করলেন অসাম্প্রদায়িক আওয়ামী লীগ।

বাঙালীর ভাষা, সংস্কৃতি, শিক্ষা, সাহিত্য, ন্যায্য মজুরী, কাজ পাওয়া, চাকুরী পাওয়া, অন্য বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার অধিকার মাথায় রেখে চারন কবির মত বাংলার ঘরে ঘরে কর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙ্ক্ষী, শুভানুধ্যায়ী তৈরী করেন। মুসলিম লীগের চোখ রাঙ্গানি, জেল জুলুম অত্যাচার, অনাচার ভোগ করে অনেক বন্ধুরা ঝরে গেছেন, পরে গেছেন, মরেগেছেন কিন্তু শেখ মুজিব টিকে রয়েছেন সত প্রতিকুলতার ভিতরেও।

আন্দোলনে সংগ্রামে অস্থীর পাক সামরিক শাসক আয়ূব খান আগোর তাল সড়যন্ত্র মামলা দিয়ে দেশোদ্রহী হিসেবে ফাঁসীর কাঠ গোড়ায় দার করালো শেখ মুজিব আর দেশ প্রেমিকদের। একটুও টললোনা মুজিব, তিনি নিজেই বলেছেন আমি মানুষ, আমিও  মুসলমান, আমি বাঙ্গালী। জেলখানায় সারজেন্ট জহুরুল হককে গুলির পর সারা বাংলায়  আন্দোলন সংগ্রাম ছড়িয়ে দিল ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, মহিলা পরিষদ, ছাত্র যুবক, শ্রমিক, কৃষক, কামার, কুমার, তাতী, জেলে, গরীব, মধ্যবিত্য, নিম্নবিত্ত  আন্দোলনে আন্দলনে পাকিস্তানি সৈরশাসক, সামরিক জান্তার ভিত কাঁপিয়ে মুক্তি পেলেন শেখ মুজিব, আদায় করলেন গনতান্ত্রিক নির্বাচন।

১৯৭০ এর ঘুর্নিঝড় মাওলানা ভাসানী নির্বাচন বর্জন করলেন আওয়ামী লীগ দুই পাকিস্তানের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানে একচেটিয়া নিরাঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা পেয়ে জয়লাব করলো।

১৯৭১ এর নির্বাচনে ২ পাকিস্তানের মধ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগনের নেতা হলেন শেখ মুজিব। মুসলিম লীগ এ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে পারল না। শুরু হলো প্রাসাদ সড়যন্ত্র কোনো ভাবেই তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না, সামরিক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় সংসদ অধিবেশন ডাকলেন, ভুট্টোর সাফ না, তিনি বললেন, পূর্ব পাকিস্তানে সংসদ বসলে সংসদ হবে কশাইখানা। তিনি লারকানা থেকে পাঞ্জাব পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দিলেন। এদিকে প্রেসিডেন্ট আলোচনার নামে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে অস্ত্র এনে পূর্ব পাকিস্তানে বিপুল অস্ত্রের ভান্ডার গড়ে তুললেন বাঙালী আর শেখ মুজিবকে শিক্ষা দেয়ার নামে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সকল খবর রাখতেন তিনি রেসকোর্স ময়দানে ৭ই মার্চ জাতির উদ্দেশ্য বক্তৃতা করলেন, সেই ভাষনে তিনি স্বাধীনতার প্রাথমিক ঘোষনা দিয়েই দিলেন, বক্তৃতায় তিনি বললেন আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি তাহলে তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই দিয়ে সত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। এবারের সংগ্রাম আমার মুক্তির সংগ্রাম এবারে সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

২৫ শে মার্চ রাতে নিরিহ বাঙালীর উপর হিংস্র হায়নার মত ঝাপিয়ে পরলো পাকিস্তানি সৈন্যরা, তেজগাঁও থেকে ফুলবাড়িয়া রেল লাইন বস্তি, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা বিডিআর ক্যাম্প সহ সকল জেলা পুলিশ লাইন, বাঙালী সৈনিকদের ব্যারাকে, ঢাকা, চট্টগাম, খুলনায় একযোগে আক্রমন হলো। বঙ্গবন্ধু ঐ রাতেই গ্রেফতারের পূর্বে রাত ১২.৩০ টায় স্বাধীনতার ঘোষনা ছড়িয়ে দিলেন পিলখানা ও চট্টগ্রাম বিডিআর এর ওয়ারলেসে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন এবং সকল বিডিআর ক্যাম্পে ও সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে বললেন। শুরু হলো প্রতিরোধ যুদ্ধ, পিলখানা আগেই আক্রান্ত হওয়ায় চট্টগ্রাম বিডিআর ওয়ারলেসে রাতে ও কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র হয়ে ২৬ মার্চ সকালে সেই ঘোষণা প্রচার করা হলো, শুরু হলো বাঙালী সেনা নিধন আর অন্য দিকে বাঙালী সৈনিকদের সেনা বিদ্রহ, প্রতিরোধ আর সম্মুখ  যুদ্ধ চললো ৯ মাস। সহিদ হলো ৩০ লক্ষ বাঙালী, সম্ভ্রম হারালো ২ লক্ষাধীক মা বোন, দের কোটি লোক সরনার্থী হিসেবে আশ্রয় নিলো প্রতিবেশি দেশে। ভারত আশ্রয় দিলো, খাদ্য দিলো, চিকিৎসা দিলো, অস্ত্র দিলো, ট্রেনিং দিলো, সৈন্য দিলো, স্বীকৃতি দিলো। যুদ্ধ  শেষ হলো ১৯৭১ এর ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি ৯৩ হাজার সেনা আত্মসমর্পণ করলো, বাংলা স্বাধীন হলো, সত্রুমুক্ত হলো।

বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারী লন্ডন হয়ে দেশে ফিরলেন, রয়েগেল, রাজাকর, আলবদর, আলসামস, পিচ কমিটি, জামাত, মুসলীম লীগ ও এদেশীয় পাকিস্তানী দোসররা। বিচারের জন্য জনগন্ অপরাধী পাকি রাজাকারদের সাড়ে এগারো হাজার রাজাকার গ্রেফতার করে বাকিদের সাধারণ ক্ষমা করলেন বঙ্গবন্ধু জাতির জনক, রাষ্ট্রপতি। থেকে গেলো পোরা মাটি, পোরা ভিটা আর জীর্ন সির্ন মানুষ। বঙ্গবন্ধু দেশ গঠনের ডাক দিলেন কিছু দেশ স্বীকৃতি দিলো, সাহায্য দিলো, মানুষ নিজ নিজ ঘরবাড়ি বানিয়ে যে যার পেশায় ফিরে গেলো। সরকার ধংশ প্রাপ্ত দেশ পুনর্গঠন করতে শুরু করলো। কিন্তু পালাতক রাজাকর, মুসলীম লীগ আর মানতে পারলো না। আবার গোপনে গোপনে সড়যন্ত্র শুরু হলো সাথে যোগ হলো পাক, মার্কিন সড়যন্ত্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পিএল ৪৮০ ক্রয়কৃত জাহাজ ভর্তি গম সাগর থেকে ফিরিয়ে নিয়ে দিলেন পাকিস্তানকে, ইসলামিক দেশ সমূহের ইন্দোন, ইসলামি ও স্বাধীনতা বিরোধী গ্রুপ গুলোকে আরবের দান অনুদান দিয়ে অবৈধ অস্ত্র ও নেসা ছড়িয়ে দিল সারা দেশে। যোগ হলো ৭৪ এর দুর্ভিক্ষ, অর্থনৈতিক সংকট এরই মধ্যে ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট পথভ্রষ্ট, পদচ্যুত, কুচক্রি সেনা সদস্যদের হাতে সহিদ হলেন বঙ্গবন্ধু পরিবার, মন্ত্রী সেরনিয়াবত পরিবার, যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, শিশু কিশোর সহ ১৭ জন।

শুরু হলো মোস্তাক, জিয়ার সামরিক শাসন, জেলখানায় জাতীয় চার নেতাদের হত্যা, মুক্তি যোদ্ধা নিধন, পরিকল্পিত পাকিস্তানি কায়দায় প্রত্যাবর্তন, আওয়ামী লীগ, মুক্তি যোদ্ধা নির্যাতন, জেল জুলুম, এক জেনারেল থেকে আর এক জেনেরেলের হাত বদল, ফ্রীডম পার্টি, জঙ্গী, মাদক, দুর্বিত্যায়ন, এরি মাঝে আওয়ামী রাজনীতির হাল ধরলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, বার বার তাকে হত্যার সড়যন্ত্র বহু বার বহু ভাবে। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যেমে যদিওবা ৯৬তে স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলো কিন্তু নানা প্রতিকুলতা, প্রতিবন্ধকতার জন্য জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করা গেল না। মাঝখানের এক টারম হাওয়া ভবন আর বিএনপির সমান্তরাল সরকার আর সড়যন্ত্র, লুট পাট চলছেই পর পর ৫বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান আর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিধনের সকল প্রচেষ্টা এত কিছুর ভিতরেও ২০০৮ এ আবার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্তে আওয়ামী লীগ সরকারে এলো। এবারের সরকার ম্যাচুউরড ও পরিকল্পিত উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে ধারাবাহিক  উন্নয়ন শুরু করলো, সারা দেশে রাস্তা ঘাট, উপজলে জেলাপরিষদ উন্নয়ন বাস্তবায়ন, ক্ষমতায়ন, যুদ্ধ অপরাধী, ১৫ই আগষ্টের হত্যা কু, জেল হত্যা, পরবর্তীতে গ্রেনেড হামলা মামলা, ২০১৩-১৪ আগুন সন্ত্রাস এর বিচার শুরু করলেন। প্রাথমিক শিক্ষা ফ্রী করন শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তি করন, বিমান বন্ধর, নৌ বন্ধর সংস্কার, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকি করন, পায়রা সমুদ্র বন্ধর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান ও সার দেশে বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন করে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যমুনা সেতুর কাজ সমাপ্ত করন, নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মান সহ অর্ধ শত মেঘা প্রকল্প, বিভাগীয় উন্নয়ন, মেট্রপলিটন সিটি কর্পোরেশন গঠন, ছবি সহ ভোটার তালিকা প্রনয়ন, ডিজিটালাইজেসন, ডাটা ব্যাংক তৈরী, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪০ লক্ষ বিলিয়ন ডলারে উন্নয়ন, এক কথায় তলা বিহীন ঝুড়িকে সোনা আর বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে ভরিয়ে দিলেন। খাদ্যে সয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন, খাদ্য  ও বস্ত্র রপ্তানি, সম্প্রসারন সহ বড় কাজ আর পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অর্ধ শত বছরের ধারাবাহিক উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়ে শুরু করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কের। সকল উন্নয়নে অর্থের যোগান একটা বড় বিষয় এ বিষয়ে আমরা বেশী কৃতজ্ঞ সজিব ওয়াজেদ জয় আর তার সাথীর্দের প্রতি, যারা প্যাক কাদার দেশকে ডিজিটাল করে ৫০ বছরের কাজের সময় ৫ বছরে নামিয়ে নিয়ে এসেছে। এতে অর্থের প্রবাহ,  লেনদেন, যোগাযোগের প্রভুত উন্নতি, সেই সাথে পত্র, তথ্য, যোগাযোগ ওয়েজ আর্নার ও রপ্তানি আয়, বৈদেশিক বানিজ্য, ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ  দ্রুত গতিতে সম্প্রসারিত হয়ে  ৩০০ কোটি টাকা থেকে ৪০ মিলিয়ন ডলারে পৌছে গেছে। তলাবিহীন ঝুড়ি এখন বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল, উন্নতিশীল দেশে পরিনত হয়েছে। তাই স্বপ্ন দেখতে, পরিকল্পনা করতে, বাস্তবায়ন করতে জানতে হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা বাঙালীকে স্বপ্ন দেখাতে, পরিকল্পনা প্রনয়ন করতে ও বাস্তবায়ন করে উন্নয়নের উচ্চ শিখরে ওঠার নৈপুণ্য  শিখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এখন বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে শির উচু করে দাড়াতে, হাটতে, দৌড়াতে শিখেছে। এখন শুধু বাঁধা চুরি, দুর্নীতি, মানি লন্ডারং আর মাদক। আমি মনে করি প্রতিযোগিতায় দৌড়ানোর সময় পিছনে তাকানো যায় না, তাতে হেরে যায়, তাই এ বিষয়গুলি এখন নজর দিবেন, বাঙালী বিশ্বের প্রেষ্টেজিয়াস জাতি রাষ্ট্র ও সুন্দর দেশ হবে। এই কামনা করি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চীর জীবি হোক।

লেখকঃ রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আঃ রহমান শাহ

শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102