আদর্শের সাথে নিজের মনেকে মিলাতে না পারলে কোন লক্ষ্য অর্জন হয় না। মাত্র ৫৫ বছরের জীবন নিয়ে একটি জাতির, একটি দেশের মুক্তি বিশ্বের কাছে অবিশ্বাস্য হলেও বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সম্ভব করেছিলেন। জাতির বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছিলেন বলে। আজও রাজনীতি হয়, রাজনীতি থাকবে এই পৃথিবী যতদিন আছে। রাজনীতির রাজনীতি করেছেন জিয়াউর রহমান। রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র,রাজনীতিকে নীতি আদর্শহীন করে জনসম্মুখে প্রকাশ্যে এনেছেন। আমি অনেক ক্ষেত্রে তাকে ঘৃনা করলেও চরিত্রহীন ও আদর্শিহীন রাজনীতিবিদ বাংলাদেশেকে উপহার দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। মাওলানা ভাষানী, আতাউর রহমান খান, মওদুদ আহমেদ সহ বাম-ডান মৌলবাদীদেরকে নিয়ে টাকার রাজনীতির জনক হয়েছিলেন। এখন নুরুল হক নুর তাদের রাজনৈতিক প্রশিক্ষক হয়েছেন, উপদেশ দিচ্ছেন : ভয়ে কেউ মিছিল থেকে পলায়ন করবেন না। রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য রাজপথে নামতে হবে। রাজনৈতিক পরিবর্তন ইতিমধ্যে লক্ষ্য করছি। সাহ এইচএম কিবরিয়ার ছেলে নুরের কাছে আশ্রয় গ্রহন করেছে। আওয়ামীলীগের তৃণমূল ইউনিট সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন হচ্ছে। বিএনপির রাজনীতি হুংকার ইউটিউবে সীমাবদ্ধ হয়ে পরেছে। জামাতের রাজনীতি এখন আওয়ামীলীগের সাথে আত্নীয় করনের ব্যস্ত হয়ে পরেছে। জাসদ বাসদ, শ্রমিক কৃষক, কমিউনিস্টরা মধ্যস্তকারীর ভুমিকা অবতীর্ণ হয়েছে। জনগণের বিশ্বাস অর্জনের জন্য কেউ কিছু বলছে না বলেই, রাজনীতির দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলেই মানব সেবার ও রাজনৈতিক প্রশিক্ষনের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা রাখা হয় নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ভর আওয়ামীলীগের উপর জনগণকে আস্থা রাখে হচ্ছে। শেখ হাসিনা বিহিন বাংলাদেশের কি হবে, এ বিষয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। জনগণের জন্য যুক্তিযুক্ত কথা বলার মতো কোনো বিরোধী দলও পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেলে পাশ, জনগণকে বাশ দেওয়ার লোকের অভাব নাই। রাজনীতিকে গৃহবন্দী করা হয়েছে বলেই আমার মনে হয়। তৃণমূলের ইউনিট আঃলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন হচ্ছে, আমি আনন্দিত। সম্মেলনে গন জাগরন সৃষ্টি হয়েছে। ধরে রাখতে হলে, তৃণমূলের সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে। সে-ই দায়ীত্ব যথাযথ পালন করতে হবে। নিয়মিত ইউনিট সম্মেলন করতে ব্যর্থ হলে রাজনৈতিক মৃত্যু হতে পারে। জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে, ক্ষমতায় থেকে অনেক কিছু করা যায় : রক্ষা করা যায় না বলে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।