May 19, 2024, 2:56 pm
শিরোনামঃ
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মৎস্যজীবী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা বিচার ব্যবস্তার সুচনার ইতিহাস জানিনা, বিতর্কের শেষ কোথায় ? বুঝতে পারছি না বঙ্গ কণ্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বাংলার মাটি কে বুকে ধারন, ইতিহাসের অংশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পাঠাগারের কমিটি গঠন জহির সভাপতি ও লিটন সাধারণ সম্পাদক গাজায় নিজেদের গোলার আঘাতে পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত তালের শাঁস খেলে যেসব উপকার হয় ঢাকা শহরে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না: ওবায়দুল কাদের বিশ্বাস পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বাংলাদেশ সফর করছি: ডোনাল্ড লু ভারতবর্ষে হিন্দু মুসলমানের রাজনীতি হয়,মহাত্মা গান্ধী সকল ধর্মের রাজনীতি নাই গুলিস্তান-মিরপুরের কাপড় পাকিস্তানের বলে বিক্রি করেন তনি!

মাংসের দাম নিয়ে বিতর্কে, ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ হবে না

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Tuesday, December 5, 2023
  • 113 Time View
মাংসের নিম্নমুখী দামের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।মাংসের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগীতায় ব্যবসায়ীরা সর্বশান্ত। ভোক্তা, মাংস খাওয়া থেকে বিরত। একের পর এক মাংসের দোকান বন্ধ হওয়াতে ৬০ লক্ষ গরু মহিষ জবাই থেকে ৩০/৩৫ লক্ষে এসে নেমেছে। কোরবানীর গরু ২৪ লক্ষ ফেরত গিয়েছে ,ফার্মার এসোসিয়েশন ও প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের হিসেব মতে। জানি না এই হিসেবের বাস্তবতা কতটুকু । সাধারণ কৃষক দানাদার খাদ্য পরিহার করে ন্যাচারাল খাদ্যে গরু মহিষ লালন পালনে অবস্থ হচ্ছে।ভারত মিয়ানমা থেকে অবৈধ গরু পাচায় হয়ে আসছে। গরুর দাম কম হওয়াতে মাংস ব্যবসায়ীরা নতুন কৌশল আবিস্কার করে নিয়েছে। মাংসের বিক্রি বাড়ানোর জন্য,ফেসবুকের সহায়তায়। লাইবে একের পর এক অফার নিয়ে হাজির। অমুক ভাইএর মাংসের দোকানে আসুন, ৬৫০, ৫৮০, ৫৫০ টাকায় মাংস পাওয়া যায়। ক্রেতা বেসামাল, দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর দামের নাগাল পাওয়াতে, মাংস কিনার হিরিক।
গরুর ফার্মের মালিকরা পরেছে বিপাকে, অতিরিক্ত গরুর দাম কমে যাওয়াতে। ইতিমধ্যে প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়কে ভুল বুঁজিয়ে তারা স্বার্থ আদায় করেছিলো, রমজান উপলক্ষে ন্যায্য মুল্যে মাংস ৬৫০ টাকা বিক্রি করে। ৩০ হাজার কেজি মাংস বিক্রির জন্য দুইকোটি তিরিশ লক্ষ টাকা ভর্তকী আদায় করেছে সরকার থেকে। এবার ভোক্তা অধিকারের সরহায়তার মাধ্যমে মাংসের মুল্য নির্ধারণ করার ষড়যন্ত্রের অংশগ্রহন করেছেন,মনে হয়। যেভাবে মাংস ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে মাংসের দাম কমানোর প্রতিযোগীতায়, সেখানে ভোক্তা অধিকারের মুল্য নির্ধারণের অতিরিক্ত আগ্রহে সন্দেহ ঘনিভুক্ত হচ্ছে। দাম নির্ধারণের বৈধতা ভোক্তা অধিকারের আছে কিনা ? নির্ধারণ হলে সাড়া বাংলাদেশে বাস্তবায়ন সম্বব হবে কিনা ? নাকি আলু পেঁয়াজ ডিমের দামের মতো শুভংকরের ফাকি হতে পারে।
যদি তাই হয়, তবে মাংসের নিম্নমুখী দামে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। কারন এইমুহুর্তে ৬০০ টাকার নিচে মাংসের দাম নির্ধারণ সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে অনেক দোকানে ৫৫০/৫৮০ টাকায় মাংস বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার ৬০০ টাকায় মাংস বিক্রি করার পরামর্শ দিচ্ছেন। আমি সন্দিহান, ভোক্তা অধিকার কার অধিকার রক্ষা করছে ? মাংস ব্যবসায়ীরা মুল্য নির্ধারণের বিরুদ্ধে নয়। ইতিপুর্বে সুদীর্ঘ ৪৫ বছর মাংসের মুল্য নির্ধারণ হয়েছে, মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সহায়তায়, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে।স্থানীয় সরকার ও বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন ক্রমে। ২০১৮ সাল প্রযন্ত ৩২০ টাকা মুল্য নির্ধারণ হয়েছিলো।২০১৯ সালে মুক্ত বাজার অর্থনীতির নামে মুল্য নির্ধারণী সভা বাতিল করাতে,
এক লাফে মাংসের দাম ৫০০ টাকা, ২০২০ সালে ৬০০ টাকা, ২০২১ সালে ৬৫০ টাকা, ২০২২ সালে ৭০০ টাকা, ২০২৩ সালে ৮০০ টাকা।এই অস্বাভাবিক মাংসের দাম বৃদ্ধির জন্য কাকে দায়ী করবেন ?বাংলাদেশের জনগণ। আমি বিশ্বাস করি, ভোক্তা অধিকার অনেক ভালো ভালো কাজ করেছে,ভেজার বিরোধী অভিযানে। কিছু খারাপ কাজও হয়েছে নিজেদের অজান্তে। ১০ কেজি আলু বিক্রেতা কে জরিমানার আওতায় এনে। মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে জবাবদিহিতার জন্যে। মাংসের মুল্য নির্ধারণের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ হবে না। মাংসের দাম কমানোর জন্য করনীয় সম্পর্কে ভোক্তা অধিকার কে অভিহিত হতে হবে। (১) চামড়া শিল্প ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি সচল (২) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বাড়ী একটি খামার পশুপালনে উৎসাহিত এবং সাধারণ কৃষক কে ন্যাচারাল খাদ্যের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। (৩) প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে একটি বিহৎ চর কে পশুর প্রজ্জলন কেন্দ্রে গড়ে তুলা এবং বিনেপয়সায় উন্নত জাতের গরু মহিষের বাচ্চা বিতরন করা। (৪) গরুর হাটের ইজারাদার দের কে জবাবদিহিতার আওতায় আনা।আইনের সমঅধিকার বাস্তবায়ন এবং পশুজাত পণ্যের রপ্তানীর জন্য একটি মন্ত্রনালয়ের অধিনে অন্তভূক্ত করা।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ না করলে এই লেখাটি অসম্পূর্ণ থাকবে। সম্পুর্ন করার জন্য বিহৎ আলোচনার প্রয়োজন। প্রতি বছর মাংস ও পশুর জন্য ৫০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের পশুপালনে দুইশ কোটি টাকা ঋণের মাধ্যমে পাচার প্রতিরোধ সম্ভব হবে না। ২০ হাজার কোটি টাকার মুলধনের মাধ্যমে ১০ টি চরকে পশুপালনের আওতায় আনতে পারলে, ১৪৬ দেশে মাংস ও পশুর বর্জ্য রপ্তানীর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কে ইতিহাসে স্মরণীয় করা যাবে। গার্মেন্টস এক নম্বর রপ্তানীর খাত হয়েছে আমদানির উপর নির্ভরতা নিয়ে। মাংস ও পশুজাত পণ্য সম্পুর্ন কৃষি, রপ্তানীর দ্বিতীয় অবস্থানে।এই খাত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে একনম্বর অবস্থানে আসতে বেশী সময় লাগবে না। অজ্ঞাত ভোক্তা অধিকারের অনধিকার চর্চার জন্য দেশ ও জাতির সর্বনাশ ডেকে আনবেন না। যার যে কাজ তাদেরকে করতেদিন।
অভিজ্ঞতা কে মুল্যায়ন করুন, মাংসের মুল্য নির্ধারণ করে ভোক্তার অধিকারের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না। বিলাশী গরুর ফার্মের দানাদার খাদ্যে পশুপালন ব্যায়বহুল, কোরবানীর চাহিদা পুরণে সক্ষম হলেও মাংসের চাহিদা পুরণে ব্যর্থ। সাধারণ ক্রেতার কাছে মাংস সুস্বাদু নয়। সাধারণ কৃষকের ন্যাচারাল খাদ্যে গরু মহিষের মাংস সুস্বাদু হওয়াতে বাংলাদেশ পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে চাহিদা। ফার্মার এসোসিয়েশনের পরামর্শ থেকে সাবধান।
লেখক-মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102