মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের খোজখবর নিতে নিয়মীত যাওয়া আসা হচ্ছে। মার্কেট নির্মাণ থেকে জরিত ছিলাম। প্রতিটি দোকানের মালিক আমার পরিচিত, ১৯৭২ সালে জ্যানেবা ক্যাম্প কাঁচা বাজার সমিতি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জরিত ছিলেম বলে। সমিতির অফিস তখনো খোলা হয় নাই,চায়ের দোকানে বসার স্থান নেই, এককুনে দারিয়ে চা খাচ্ছিলাম। চায়ের দোকানে নির্বাচনি বিতর্ক নতুন নয়।চা নির্বাচনি দ্বিতীয় প্রতিক বলা হয়, চা ছাড়া নির্বাচন বাঙালির কল্পনা করতে পারে না। চায়ের কাপে মুখ দিয়ে প্রতিপক্ষের চোদ্দগুষ্টির ইতিহাস নিয়ে আলোচনা হয়, কে কীভাবে সাধারণ মানুষের দারস্থ হয়েছিল। হরতাল অবরোধে কর্মহীন এক শ্রমিকের আহাজারি, কানু এককাপ চা দে, বাকীতে। কয়দিন হলো কাজ নাই। তোমাগো বাজারের নাকি কাজ চলছে ? আমারে যদি কাজের ব্যবস্থা করে দাও। হুনলাম তোমাগো এমপি প্রধান মন্ত্রীরে কইয়া টিন টেকা আইনা দিছে। পাশে বসা বিমতের আপত্তি, মিয়া টাকা ও টিন ত্রান মন্ত্রনালয় দিছে। বাজারের এক দোকানদার খেপে উঠলো, আলহাজ্ব মোঃ সাদেক এমপি ছাড়া কি ত্রান মন্ত্রনালয় আপনি আপনি কৃষি মার্কেট চিনা লইছে ? এই মার্কেট নির্মাণের সময় সাদেক খান টেন্ডার কমিটি সভাপতি ছিলো, মেয়র হানিফের সাথে দেনদরবার করছে, আগুন লাগাতে ভোরে হাজির হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফোনে কথা কইছে। ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রীকে নিয়ে আইছে। উত্তরের মেয়রকে বুঁজিয়ে আজকে বাজারের উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। এমপি না থাকলে, গুলিস্তানের পোড়ামাটি এখনো দেখতে হতো। মিয়া সত্য শিকার না করলে এই দেশের মানুষের জন্য কেউ কাম করবো না। শেখ হাসিনার আবিস্কার সাদেক খান, জোনায়েদ আহম্মেদ পলক, মাশরাফি বিন মুর্তজা, নাঈম রাজ্জাক, শিরিন শারমিন চৌধুরীর সংসদ থেকে বহিঃবিশ্ব, উন্নয়ন থেকে রাজপথ ভোটের জন্য নৌকার বিকল্প দেখাইতে পারবা ? দোকানদার দম নিতে চায় না। আরে মিয়া কওয়ার আগেই শ্রমিক, মিয়া ভাই একটা কাম দিয়েন। আচ্ছা বলে চলে যাওয়ার দৃশ্যটা মনে রাখার মতো। বিমতের পলায়ন দেখার মতো, কী বলার আছে ? বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, সরকার উল্টাইতে পারে না, জনগণের জানমালে আগুন। বিদেশী হাস দেশে নাই। এদিকে দলের সাবেক এমপি মন্ত্রীরা দলে থাকছে না। একাধিক দলে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েল গাজা হামলার বিরুদ্ধে মুখ না খোলায় বিশ্ব মুসলিম দেশগুলো বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। চায়ের দোকানে কীআর এতসব সমস্যার সমাধান আছে ? চায়ের দোকানে এখন নৌকা আর ধানের শীর্ষ নিয়ে মত প্রাকাশের আড্ডা। শীর্ষ নিয়ে ফিস ফিস করার মানুষ আছে, শীর্ষের মার্কা নাই।যারা চায়ের কাপ গরম করবে, তাঁদের কী হবে ? বিএনপির নেতারা গুহা থেকে বের হচ্ছে না, হাঁসের অপেক্ষা করছে। যারা ধানের শীর্ষ নিয়ে ফিস ফিস করে, গাড়ীতে আগুন দেয়, পেট্রোল বোমা মারে, জ্বালাও পোড়াও নিয়ে বিদেশীরা বিব্রত, গনতন্ত্র কীআর আগুনের কাছে টিকতে পারে ? বাংলাদেশ এখন আকাশে, পাতালে,বাইওমন্ডলে, বিশ্ব উন্নয়নের মডেল হতে চলেছে। চায়ের দোকান জয় হউক।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।