May 19, 2024, 4:27 pm
শিরোনামঃ
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মৎস্যজীবী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা বিচার ব্যবস্তার সুচনার ইতিহাস জানিনা, বিতর্কের শেষ কোথায় ? বুঝতে পারছি না বঙ্গ কণ্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বাংলার মাটি কে বুকে ধারন, ইতিহাসের অংশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পাঠাগারের কমিটি গঠন জহির সভাপতি ও লিটন সাধারণ সম্পাদক গাজায় নিজেদের গোলার আঘাতে পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত তালের শাঁস খেলে যেসব উপকার হয় ঢাকা শহরে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না: ওবায়দুল কাদের বিশ্বাস পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বাংলাদেশ সফর করছি: ডোনাল্ড লু ভারতবর্ষে হিন্দু মুসলমানের রাজনীতি হয়,মহাত্মা গান্ধী সকল ধর্মের রাজনীতি নাই গুলিস্তান-মিরপুরের কাপড় পাকিস্তানের বলে বিক্রি করেন তনি!

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বাংলাদেশ ন্যাপ : মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের উদ্যোগ নিন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Tuesday, November 14, 2023
  • 47 Time View

আগামী ১৭ নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও মুক্তযুদ্ধকালিন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের উদ্যোগ গ্রহনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহŸান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখা যাবে, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী তার রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন, এমনকি স্বাধীনতার স্বপ্নের বিজ বপন করেছিল। মওলানা ভাসানী আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি চেতনার এক অভিন্ন নাম। আমাদের চেতনার দুটি স্রোতধারার মিলিত একটি মোহনা।

তারা বলেন, মওলানা ভাসানী জীবনের শুরু থেকে শেষ অবধি তিনি দেশ, মাটি আর মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। একটি শোষণহীন, অসাম্প্রদায়িক, সাম্য আর পালনবাদী সমাজব্যবস্থার জন্য নিজের জীবনের সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন। মানব মুক্তির আদর্শ থেকে তিনি এক দিনের জন্যও বিচ্যুত হন নাই বা অবসর খোঁজেন নাই। জীবনের প্রায় প্রতিটি বছর, মাস, সপ্তাহ, দিন তিনি আন্দোলন, সংগ্রাম, কর্মসূচির মধ্যেই থেকেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এত দীর্ঘকালব্যপী ও ধারাবাহিকভাবে কেউ সক্রিয় আন্দোলন, সংগ্রাম, কর্মসূচির ভেতর থেকেছেন এমন ব্যাক্তির সংখ্যা নেই বললেই চলে।

ন্যাপ নেতারা বলেন, আজকের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন মওলানা ভাসানী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক পিতা ছিলেন তিনি। মওলানা ভাসানীকে তার প্রাপ্ত মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হলে আগামী ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।

তারা বলেন. মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীসহ দেশের জাতীয় নেতাদের স্মরণ করা, নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয় কি? সেই দায়িত্ব কি রাষ্ট্র বা সরকার যথাযথভাবে পালন করছে? আমরা কে না জানি মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা। অথচ কেন মওলানার জন্মদিন ও মৃত্যুদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হয় না ? মওলানা ভাসানীর প্রতি এতো দৈন্যতা, কৃপণতা, বিদ্বেষ কেন? রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁকে স্মরণ করার বাঁধা কোথায়? আজ সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

নেতৃদ্বয় বলেন, আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস সাক্ষী আমরা ভুলে যাই সব কিছু। আমাদের এই বিস্মরণই আমাদের বড় শত্রু। আমরা স্বার্থপর। তাই কি আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের পতাকাটির চেহারা বিস্মৃত? কে আমাদের রাজনীতিকে গণমানুষের বলে চিহ্নিত করেছিলেন? গণমানুষের অধিকার কায়েমের সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন কে? সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া যে দেশের স্বাধীনতা আনা সম্ভব নয়- এই সত্য কে আমাদের শিখিয়েছিলেন? ১৯৭১ সালে বৃদ্ধ বয়েসেও তিনি মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বাধীনতার জন্য, আজকে তিনি জাতির নতুন প্রজন্মের কাছে প্রায় অচেনা, অজানা মানুষ।

তারা বলেন, সময়ে দাবী আজ জাতির নবপ্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে। তার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে তা জানাতে হবে নবাগত মানুষদের, যারা আমাদের জাতি বিনির্মাণের শক্তি। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁকে স্মরণ করার আয়োজন হোক ১৭ নভেম্বর থেকেই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বেই। তাঁর মৃত্যুদিনটিকে জাতির রাজনীতিকদের স্মরণদিন হিসেবে ঘোষণা করা হোক।

শেয়ার করুন
More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102